দিল্লির বুরারির সন্তনগরে গত ৩০শে জুন একই পরিবারের ১০ জনের ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়, আর ১ জন বৃদ্ধার মৃতদেহ পড়েছিল পাশের ঘরে৷ সবার হাত-পা বাঁধা৷ একইভাবে বাদুড়ের মত ঝুলছিল এতগুলি মৃতদেহ৷ পরদিন সকালে পুলিশ এই মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে৷ পুলিশী তদন্তে মনে হয়েছে, সবাই স্বেচ্ছায় আত্মহত্যাই করেছে৷
পুলিশ এই রহস্যময় মৃত্যুর তদন্তে নেমে ২টি নোটবুক পেয়েছে৷ তাতে যা লেখা আছে৷ তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, অন্ধবিশ্বাসের বলি হয়ে তারা সহজে মোক্ষলাভ করবে এই আশায় এভাবে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছে৷ ওই নোটবুকে নাকি লেখা ছিল, মোক্ষলাভের বেশ কিছু উপায়ের কথা৷ তাতে লেখা ছিল মোক্ষলাভ করতে হলে হাত পিছমোড়া করে বাঁধা থাকতে হবে, মুখ ঢাকা থাকবে ও মুখে টেপ লাগানো থাকবে৷ সবাইকে বটগাছের ঝুরির মত ঝুলে আত্মহত্যা করতে হবে৷
সন্তনগরের এই পরিবারটি হ’ল ভাটিয়া পরিবার৷ এদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্কা হলেন ৭৭ বছর বয়সের নারায়ণী দেবী৷ তাঁর দুই পুত্র ভবনেশ ভাটিয়া ও ললিত ভাটিয়া৷ বাকিরা ছিলেন তাঁদের স্ত্রী-পুত্র-কন্যারা৷
চরম কুসংস্কারের ফল যে কী মর্মান্তিক হতে পারে, এই ভাটিয়া পরিবারের মৃত্যু তারই এক উদাহরণ৷ একই সঙ্গে ১১ জনের মৃত্যু, বাইরে থেকে কেউ খুন করেছে তার কোনো প্রমাণ না মেলা, বাড়ীতে কোনকিছু চুরি না হওয়া এতগুলো মৃত্যু অথচ ধবস্তাধবস্তিরও কোনও চিহ্ণ নেই৷ তার ওপর ২টি রহস্যময় নোটবই উদ্ধার৷ এসব থেকে এটা অন্ধবিশ্বাসের বলি বলেই সিদ্ধান্তে আসা গেলেও, তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আদৌ আছে কিনা--- এ নিয়ে তদন্ত অবশ্য চলছে৷