মেমারী ঃ অতি বৃষ্টির কারণে ও রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলায় কম-বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ অক্টোবর ও নবেম্বর মাসের প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া ফুল আসা ও সদ্য ফুলানো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে৷ যে সমস্ত এলাকায় ধানের জমি প্রায় একমাস ধরে জলের তলায় চলে যায় সেখানে অধিকাংশ ধান পচে যায়৷ তবে বেশ কিছু এলাকায় ধান ডুবে না থাকলেও ক্ষতি কোন অংশে কম হয় নি৷ ঝড়ের ফলে ধানের শিস ফেটে যায়৷ ধান পড়ে যায় ফলে ধানের ফলন একেবারেই কমে যায়৷ এলাকা পরিদর্শনে এসে কৃষি আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা শুধুমাত্র যে সমস্ত এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছিল সেগুলিই দেখা হবে বলে ঘোষণা করেন৷ এছাড়া গোটা মাঠ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়৷ ক্ষতিপূরণের এলাকা এইভাবে সংক্ষেপ করার ফলে বহু ক্ষতিগ্রস্ত চাষী খয়রাতি থেকে বঞ্চিত হয়েছে৷ ঝড়ের ফলে যাদের ফলন অর্ধেক বা তার চেয়েও কম হয়েছে তারা ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে৷ যাদের কে.সি.সি. ঋণ ছিল তাদের জন্য বীমার টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে অথচ তারা ক্ষতিগ্রস্ত শস্যের জন্যে বীমার কোন সুফল পেল না৷ ব্যাঙ্কের কর্মীরা বীমার টাকা কাটেন আহ্লাদের সঙ্গে কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেলেও শস্যবীমার টাকা দেবার সময় চরম অনীহা প্রকাশ করেন৷ কোন রকমের সহযোগিতা করেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জামালপুরের চাষী বাসুদেব পাত্র৷ বিগত কয়েক বছর ধরে চাষীরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হচ্ছে না হয় অভাবী বিক্রিতে চরম লোকসান হচ্ছে৷ এরকম অবস্থায় সরকারের উচিত ছিল চাষীদের পাশে দাঁড়ানো৷ এমনটা মনে করেন মেমারীর আলু চাষী মান্নান শেখ৷ তবে ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে বেজায় খুশী ভাতারের ও বর্ধমান সদরের কর্ষকগণ৷ বড়শুল ব্লকের ধানচাষী শেখ রফিক বলেন, এর আগেও চাষীরা অনেকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিন্তু বিগত বাম সরকার কোনদিন এইভাবে চাষীদের পাশে দাঁড়ায়নি৷ কিন্তু এই সরকার পরপর দু’বার চাষীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে নজির স্থাপন করল৷
সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়