আনন্দমার্গ মহাবিদ্যালয়ের অভিভাবকদের সভায় আনন্দমার্গের শিক্ষা ও আদর্শ সম্পর্কে আলোচনা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২৩শে মার্চ আনন্দনগরে আনন্দমার্গ মহাবিদ্যালয়ের অভিভাবকদের সভায় আনন্দমার্গের শিক্ষা ও আদর্শ সম্পর্কে এক আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়৷ এই আলোচনা সভায় পৌরোহিত্য করেন মহাবিদ্যালয়ের প্রশাসক আচার্য ধ্যানাত্মানন্দ অবধূত৷ প্রধান অতিথি ও বিশিষ্ট অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত ও টংলা কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক শ্রী ভাগবৎ সাহা মহাশয়৷ আলোচনা সভায় আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত বলেন--- সভ্যতার আদিবিন্দু হল রাঢ় আর রাঢ়ের প্রাণকেন্দ্র হল আনন্দনগর৷ গুরুদেব শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী এই স্থানটির নাম দিয়েছেন ‘‘আনন্দনগর’’ এই আনন্দনগর নাম করণের মধ্যেই গুরুদেব শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর অনেক আশা ও আশীর্র্বদ নিহিত রয়েছে৷ অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন-আপনারা আনন্দনগরের ভূমি সন্তান৷ গুরুদেব সৃষ্ট সমস্ত সম্পদ ও সম্পত্তির আপনারাই হবেন যথার্থ উত্তরাধিকারী৷

স্থানীয় মানুষ তথা মানবজাতীর কল্যাণের উদ্দেশ্যে আনন্দমূর্ত্তিজী আনন্দনগরে শিক্ষা, সংসৃকতি, চিকিৎসা, উদ্ভিদবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, পরিবেশবিজ্ঞান ও যোগবিজ্ঞান সম্পর্কিত যে সমস্ত মহৎ কর্মযজ্ঞ স্থাপনা করে গেছেন, সে সব কিছুকে পরিবর্দ্ধিত করার দায়িত্ব আপনাদের ও আমাদের সবার৷ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শ্রদ্ধায় আপনাদেরকে স্মরণ করবে৷ বিশিষ্ট অতিথি শ্রী ভাগবৎ সাহা বলেন ---যেমনভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাচীনকালে ভারতবর্ষের নালন্দা, বিক্রমশিলা, তক্ষশিলার শিক্ষাকেন্দ্রে বিদ্যার্জন করতে আসতেন তেমন ভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জ্ঞানতপস্বী ও মুক্তিকামী মানুষ আনন্দনগরে আসবেন৷ আপনারা নিষ্ঠা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে এই সমস্ত শিক্ষা ও সেবা প্রতিষ্ঠানগুলিকে সংরক্ষণ ও সংবর্দ্ধনের পবিত্র দায়িত্ব পালন করছেন৷ শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর আশীর্বাদে আপনারা এই শুভকর্মে সফল হবেন৷ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শ্রী রাধানাথ নাথ আনন্দমার্গ মহাবিদ্যালয়ের আদর্শ ও লক্ষ্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন ও মহাবিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতিকল্পে অভিভাবকদের সক্রিয় সাহায্য ও সহযোগিতা দানের জন্য অনুরোধ জানান৷ মহাবিদ্যালয়ের প্রশাসক আচার্য ধ্যানাত্মানন্দ অবধূত মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা সময় হতে কিভাবে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সমাজ সেবার পথে এগিয়ে চলছে তার একটি সুন্দর বিবরণী সবার সামনে উপস্থাপনা করেন৷ তিনি দৃপ্ত কন্ঠে বলেন পিছিয়ে পড়া দুর্বল জনগোষ্ঠীর কল্যাণের উদ্দেশ্যেই ধর্মগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী এই অনুন্নত অঞ্চলটিকে তাঁর মহান কর্মযজ্ঞের কেন্দ্ররূপে নির্বাচন করেন৷ এই সভায় উপস্থিত অভিভাবকবৃন্দ মহাবিদ্যালয় সহ বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠানের উন্নতিকল্পে সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন ৷ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক শ্রী দেবাশীষ ভট্টাচার্য মহাশয় এই সভাটি সঞ্চালনা করেন৷না করেন৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্রী গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য৷