গত ২৬, ২৭ ও ২৮শে মে আনন্দনগরে ধর্মমহাসম্মেলন মঞ্চে বহু আনন্দমার্গীর উপস্থিতিতে আনন্দমার্গের সাংস্কৃতিক প্রকোষ্ঠ ‘রাওয়া’র পক্ষ থেকে তিন দিনই মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ করা হয়৷ এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মূলতঃ মার্গগুরুদেবের প্রভাতসঙ্গীতের বিশাল ভাণ্ডার (৫০১৮) থেকে অনেকগুলি প্রভাতসঙ্গীত পরিবেশিত হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্যনাট্য মঞ্চস্থ করা হয়৷
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রথম দিন সমবেত প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন আচার্য সুদত্তানন্দ াবধূত, আচার্য অনির্বান ব্রহ্মচারী, আচার্য জগন্নাথ ব্রহ্মচারী, আচার্য নবেন্দু ব্রহ্মচারী ও আচার্য শুভপ্রসন্নানন্দ অবধূত৷ এঁদের সঙ্গে তবলায় সহযোগিতা করেন হিতেশ পাল৷
দিল্লী থেকে আগত রাওয়া শিল্পী জয়স্মিতা বিশ্বাস ও আঁচল পাণ্ডে প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করেন৷
উমা নিবাস চিলড্রেন্স হোমের ছাত্রাবৃন্দ কর্তৃক পরিবেশিত প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য দর্শকবৃন্দ দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে৷ উমানিবাস হাইসুকলের ছাত্রারা যেমন সোয়েতা দে, অর্চনা মাহাত, পিঙ্কি দাস, নেহা মাহাত প্রমুখ সকলেই প্রশংসা অর্জন করে৷ সঙ্গীত বিদ্যালয়ে বকুল বিতানের ছাত্রাবৃন্দ রিমা অধিকারী, দেবাস্মিতা মাণ্ডি, অর্চনা বাউড়িদের নৃত্যের সবাই প্রশংসা করে৷ অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যার নেতৃত্বে সন্ন্যাসিনী দিদিরা প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ তাছাড়া ত্রিপুরা থেকে সুবীর বিশ্বাস, ডিমাপুরের আনন্দভূষণ দেবনাথ ও টাটানগরের রাওয়া শিল্পী ইপ্সিতা মাহাত, জয়শ্রী মাহাত, শিল্পী মাহাত প্রমুখ চমৎকার নৃত্য পরিবেশন করেন৷ রামপুরহাটের রাওয়া শিল্পীদের নৃত্যও প্রশংসনীয়৷ এদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল আচার্য সত্যসাধনানন্দ অবধূতের পরিচালনায় পরিবেশিত নৃত্যনাট্য ‘তোমার রথের চাকা প্রভু’৷
ধর্মসম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রধান আকর্ষণ ছিল কলকাতা রাওয়া শিল্পীদের পরিবেশত নৃত্যনাট্য ‘মুক্ত ভূমির মেয়ে’৷ গ্রন্থনা ও পরিচালনায় আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত৷ এছাড়া পুরুলিয়ার জনপ্রিয় ‘ছো নৃত্য’ও পরিবেশিত হয়৷
তৃতীয় দিনের প্রধান আকর্ষণ ছিল আচার্য হরাত্মানন্দ অবধূত কর্তৃক রচিত ও নির্দেশিত হিন্দী নাটক ‘মুশাফির’৷