আনন্দমার্গের সর্বানুস্যূত আদর্শের ওপর মেমারীতে সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সারা দেশ আজ আদর্শহীনতায় ভুগছে৷ পূর্ণাঙ্গ জীবনদর্শনের অভাবে ধর্মীয়, সামাজিক, সাংসৃকতিক, রাজনৈতিক সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক অবক্ষয় ও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে৷ দুর্নীতি, বিশৃঙ্খলা, ব্যভিচার আজ তাই সমাজের সর্বক্ষেত্রে মহামারীর মত দেখা দিয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে আনন্দমার্গের সর্বানুস্যুত পূর্ণাঙ্গ দর্শন তথা সর্বাত্মক জীবনাদর্শই মানব সমাজকে যথার্থ পথ দেখাতে পারে৷ এই কারণে আধ্যাত্মিক, সাংসৃকতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সমাজের সর্ববিধ সমস্যা সমাধানের যে সুষ্ঠু পথ নির্দেশনা দিয়েছেন তা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্যে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে ভারতের সমস্ত রাজ্যে ও ভারতের বাইরেও বিভিন্ন দেশে ব্যাপকভাবে সেমিনারের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷

মেমারী থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, গত ২,৩,৪ ফেব্রুয়ারী বর্ধমান জেলার  মেমারী আনন্দমার্গ  সুকলে আনন্দমার্গের সেমিনার (ফার্ষ্ট ডায়োসিস) অনুষ্ঠিত হল৷ হুগলী, হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান  ঝাড়খণ্ডের  দুমকা, পাকুড়, দেওঘর প্রভৃতি এলাকা থেকে আনন্দমার্গীরা এতে যোগদান করেন৷ সেমিনারের আলোচ্য বিষয় ছিল  ‘তারকব্রহ্ম’, ‘মনের ক্রমবর্ধমান বিস্তার’ ‘প্রাউট’ দর্শনের ‘উৎপাদক ও উপভোক্ত সমবায়’ আর  ‘প্রভাত সঙ্গীত  ও বিশ্ব নবজাগরণ’৷ ‘তারকব্রহ্ম’ বিষয়ে আলোচনা করেন আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত৷ অন্যান্য বিষয়গুলির ওপর আলোচনা করেন আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত৷

তিনদিনব্যাপী এই সেমিনারে উপরিউক্ত বিষয়গুলির ওপর আলোচনা ছাড়াও অন্যান্য কর্মসূচীগুলির মধ্যে ছিল দুবেলা  মিলিত সাধনা, প্রতিদিন  নগরকীর্ত্তন, আসন, তাণ্ডব, কৌশিকী নৃত্য শিক্ষা প্রভৃতি৷

৩ তারিখে আনন্দমার্গীদের পক্ষ থেকে  এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়৷ মার্গের বিভিন্ন শ্লোগান দিতে দিতে  ওই শোভাযাত্রা সারা শহর  পরিক্রমা করে৷ মাঝে বিভিন্ন স্থানে  পথসভাও  হয়৷ ওই পথসভাগুলিতে  আনন্দমার্গের  আধ্যাত্মিক  জাগরণ ও আদর্শ সমাজরচনার মহান আদর্শের ওপর বক্তব্য রাখেন---আচার্য সত্যস্বরূপানন্দ অবধূত,  আচার্য মুক্তিচেতনানন্দ অবধূত, আচার্য সৌম্যশুভানন্দ অবধূত আচার্য সৌম্যসুন্দরানন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দদ্যুতিময়া আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ গতিময়া আচার্র্য, অবধূতিকা আনন্দসর্বাণী আচার্যা, চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস প্রমুখ৷

সেমিনারটির ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার মুখ্য দায়িত্বে ছিলেন আচার্য সর্বজ্ঞানানন্দ অবধূত৷ তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা করেন মেমারী আনন্দমার্গ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোপীনাথ ঘোষ ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ৷