আনন্দনগর সংবাদ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

 গত ৯ই জুন টাটোয়াড়াতে  এখানকার  বিশিষ্ট আনন্দমার্গী কালাচাঁদ কুমারের বাড়ীতে অখণ্ড কীর্ত্তনের অনুষ্ঠান হয়৷ ‘‘বাবা নাম কেবলম্’’ এই মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন পরিচালনা করেন চক্রধর কুমারের হরিপরিমন্ডল গোষ্ঠী৷  কীর্ত্তন শেষে যথারীতি মিলিত সাধনা, গুরুপূজান্তে আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত কীর্ত্তন মাহাত্ম্য ও সাধনার ওপর বক্তব্য রাখেন৷ তিনি বলেন সাধনা প্রতিটি মানুষের জীবনের আবশ্যিক কর্ত্তব্য৷ সাধনা অপূর্ণতা থেকে পূর্ণত্ব অর্জনের উপায়৷ আর কীর্ত্তন সাধনার  সহায়ক৷  কীর্ত্তন দেহমনকে পবিত্র করে৷ মনের কলুষতা দূর করে৷

ইমাংদা ঃ আনন্দনগরের নিকটস্থ ইমাংদা গ্রামে গত ১৬ই জুন অখন্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ অখণ্ড কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার পর আনন্দমার্গের সাধনা ও কীর্ত্তন সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত৷ এরপর নারায়ণ সেবার (Mass feeding)  বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল৷  এতে প্রায় ৬০০ গ্রাম বাসীকে তৃপ্তি সহকারে মধ্যাহ্ণ ভোজনে আপ্যায়িত করা হয়৷ এর ব্যবস্থাপনায় ছিলেন রাঢ় হোষ্টেলের অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দতীশা আচার্যা৷ সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য সংশুদ্ধানন্দ অবধূত৷

বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠান ঃ গত ২৪শে জুন তারিখে পাঠ ঝালদা গ্রামে (ঝালদা ব্লক) আনন্দমার্গীয় রীতিতে এক বৈপ্লবিক বিবাহানুষ্ঠান হয়৷ জাতিভেদ, পণপ্রথা কুসংস্কার বর্জিত  এই বৈপ্লবিক বিবাহানুষ্ঠানের পাত্রী ছিলেন পাটঝালদা নিবাসী  বিষ্ণুরাম কুইরীর জেষ্ঠ্যা কন্যা সারদা কুমারী৷ আর পাত্র ছিলেন পুরুলিয়া শহরের  কেতকা এলাকার  স্বর্গীয় জিতেন্দ্রনাথ পালের পুত্র বিদ্যুৎ কুমার পাল৷ পুরুলিয়া শহরের গণপতি লজে এই বিবাহানুষ্ঠান হয়৷ এই বিবাহানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন পাত্রপক্ষে  আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা আনন্দনুময়া আচার্র্য৷

আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত আনন্দমার্গের বৈপ্লবিক বিবাহানুষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, এই বিবাহানুষ্ঠানে কোনোপ্রকার কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসকে প্রশ্রয়  দেওয়া হয়না৷ বৈদিক মন্ত্রপাঠের  পর পাত্র ও পাত্রী দুজনেই পরস্পরের দৈহিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির দায়িত্ব গ্রহণ করার শপথ গ্রহণ  করেন৷ অন্যান্য বিবাহানুষ্ঠানে পাত্রীকে কোনো  শপথ  গ্রহণ করতেই হয় না৷  নারীকে কেবল দানের সামগ্রী মনে করা  হয় যা নারীর প্রতি অবমাননাকর৷ আনন্দমার্গে নারী-পুরুষের সমানাধিকার স্বীকৃত৷

চিতমু ঃ আনন্দনগরের সন্নিকটস্থ চিতমু গ্রামেও ১৮ই জুন আনন্দমার্গীয় বিধিতে  এক বিবাহানুষ্টান  হয়৷ এতে  পাত্র ছিলেন চিতমু নিবাসী সীতারাম গরাঞ এর পুত্র  রঞ্জিত গরাঞ ও কন্যা চিলগাড্ডা গ্রাম নিবাসী কপিলা মাহাতর  কন্যা লীলাকুমারী৷ এই বিবাহানুষ্টানের পৌরোহিত্য করেন  পাত্রপক্ষে আচার্য মোহনানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা  আনন্দ অনুময়া আচার্যা৷

আনন্দমার্গের বিবাহানুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্যের ওপর  বক্তব্য রাখেন আচার্য মোহনানন্দ অবধূত৷

রোলা ঃ গত ২৩শে জুন ভলেণ্টিয়ার্স সোস্যাল সার্ভিসের তরফ থেকে আচার্য সংশুদ্ধানন্দ অবধূত পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসীকে নারায়ণ সেবায় আপ্যায়িত করেন৷ এর আগে সবাইকে নিয়ে অখণ্ড কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনা করেন৷

জেড়াডি ঃ সিদি অঞ্চলের জেড়াডি গ্রামে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়৷ এই অখণ্ড কীর্ত্তনের আয়োজন করেন সুরেশ কেওট৷ তাঁকে সহযোগিতা করেন কৌশিক সিং ও অন্যান্য মার্গীভাইবোনেরা৷ কীর্ত্তনের মাহাত্ম্যের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য সংশুদ্ধানন্দ অবধূত৷ এরপর গ্রামবাসীদের নারায়ণ সেবার মাধ্যমে মধ্যাহ্ণ ভোজনে আপ্যায়িত করা হয়৷