আনন্দনগরঃ আনন্দনগরে ১লা, ২রা ও ৩রা জানুয়ারী তিনদিন ধরে যে ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হ’ল, এই ধর্মমহাসম্মেলনে ধর্ম আলোচনার পাশাপাশি আনন্দমার্গের সাংস্কৃতিক প্রকোষ্ঠ-‘রাওয়া’র তরফ থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ রাওয়া-শিল্পীরা মার্গগুরুদের -রচিত ও সুরারোপিত ৫০১৮টি প্রভাত সঙ্গীতের মধ্যে বেশ কিছু কিছু সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ রাওয়ার নৃত্যশিল্পীরাও প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য পরিবশেন করে সবাইকে আনন্দ দেন৷ এছাড়া প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্যনাট্যের আয়োজন করা হয়৷
তিনদিন ধরে প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করে আনন্দ নগরে সঙ্গীত বিদ্যালয়ের ছাত্ররা, রাওয়া কোটশিলা শাখার শিল্পীরা, উমানিবাসের রাঢ় হোষ্টেলের ছাত্রারা ও বোলপুর শান্তিনিকেতনের রাওয়া-শিল্পীরা৷
এছাড়াও প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করেন আচার্যশুভপ্রসন্নান অবধূত, আচার্য সুদত্তানন্দ অবধূত, আচার্য অনির্র্বণ ব্রহ্মচারী, আচার্য ভবরঞ্জন ব্রহ্মচারী, প্রণবেশ ভদ্র, (নদীয়ার রাওয়া শিল্পী) আচার্য দীপাঞ্জনানন্দ অবধূত, তনুশ্রী দাস (গুয়াহাটি), সুচন্দ্রা রায় (আগরতলা) প্রমুখ৷
প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্যনাট্য প্রদর্শন করে’ সকলের আনন্দবর্ধন করেন ১ম দিনে সিউড়ীর রাওয়া শিল্পীগোষ্ঠী৷ নৃত্যনাট্যটির নাম ছিল ‘মন-বৃন্দাবন’৷ গ্রন্থনায় আলোক ঘোষ দস্তিদার৷
দ্বিতীয় দিনের পরিবেশিত নৃত্যনাট্যটির নাম ছিল ‘প্রণাম তোমায় সদাশিব’৷ পরিবেশনায় বোলপুর শান্তিনিকেতনের ‘রাওয়া-শিল্পীগোষ্ঠী৷ গ্রন্থনায়---আচার্য হরাত্মানন্দ অবধূত৷
তৃতীয় দিনে প্রদর্শিত নৃত্যনাট্যটির নাম ছিল ‘তোমার নামের তরী বেয়ে’৷ পরিবেশনায় আনন্দনগরের রাওয়া শিল্পীগোষ্ঠী৷ গ্রন্থনায় ও পরিচালনায় আচার্য সত্যসাধনানন্দ অবধূত৷ এরপর আরও একটি নৃত্যনাট্য পরিবেশিত হয়৷ নৃত্যনাট্যটির নাম ‘সমর্পণ’৷ গ্রন্থনায় বকুলচন্দ্র রায়৷ পরিবেশনায় টাটার রাওয়া শিল্পীগোষ্ঠী৷