আনন্দপূর্ণিমা উৎসব উপলক্ষ্যে আনন্দমার্গের শাখা সংঘটন রেণেসাঁ ইয়ূনিবার্র্সলের পক্ষ থেকে আজ এখানে ‘সমাজের বিভিন্নক্ষেত্রে’’ শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর অবদানে’র ওপর এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়৷ এই আলোাচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ডঃ অরুণ ঘোষ, ডঃ দেবব্রত নস্কর, ডঃ দিলীপ হালদার ও কল্যাণী কৃষি বিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ পবিত্র কুমার গুপ্ত৷ সভায় সভাপতিত্ব করেন আনন্দমার্গের প্রবীণ সন্ন্যাসী ও প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত৷ আলোচনা সভার উদ্বোধনী ভাষণ দেন আচার্য রবীশানন্দ অবধূত৷ তিনি বলেন, শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী দিয়েছেন এমনই সর্বানুস্যুত দর্শন--- যা সমাজের প্রতি ক্ষেত্রেরই সমস্ত সমস্যারই সমাধানের পথ দেখিয়েছে৷
ডঃ অরুণ ঘোষ তাঁর ভাষণে বলেন, বর্তমানে মানব সমাজ দিশাভ্রষ্ট, শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর আদর্শের বৈশিষ্ট্য হ’ল, তিনি মানব সমাজের সর্বক্ষেত্রে সুষ্পষ্ট দিশা দেখিয়ে গেছেন৷
তিনি বৃহত্তর বাংলাকে অর্থনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার জন্যেও নোতুন পথনির্দেশনা দিয়েছেন৷
ডঃ দেবব্রত নস্কর বলেন, আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে সমস্ত অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারকে দূরে সরিয়ে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী মানুষকে প্রকৃত আধ্যাত্মিক বিকাশের পথ দেখিয়েছেন৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান শ্রী দিলীপ হালদার বলেন, বর্তমানে সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এক বিরাট শুণ্যতা দেখা দিয়েছে৷ কারণ ধনতন্ত্র ও মার্কসবাদ উভয়ই আজকের সমাজের সমস্যা সমাধানে তাদের ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে, এক্ষেত্রে শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার যে বিকল্প সামাজিক-অর্থনৈতিক দর্শন ---‘প্রাউট’ দিয়েছেন, তাতে সমাজের সমস্ত সমস্যারই সমাধানের পথ রয়েছে৷ প্রাউট সমস্ত মানুষেরহ নূ্যনতম চাহিদাপূরণ ও ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির গ্যারান্টি দিচ্ছে৷ ডঃ পবিত্রগুপ্ত তাঁর ভাষণে ধর্ম, শিক্ষা, সংসৃকতি৷ ভাষাবিজ্ঞান, ইতিহাস প্রভৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের বিশিষ্ট অবদানের কথা তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, শ্রদ্ধেয় শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার সাধারণ মানুষের মত থেকেছেন, কিন্তু অসাধারণ কাজ করেছেন৷ তিনি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের যে পথনির্দেশনা দিয়েছেন, তিনি যা দিয়েছেন সবকিছুই নোতুন, প্রতিটিক্ষেত্রেই দিশাহারা মানুষকে যথার্থ দিশা দেখিয়েছেন৷
তিনি বলেছেন, বাঙলার ইতিহাসে অনেকেই লিখেছেন, কিন্তু শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘বাংলা ও বাঙালী’ না পড়লে বাঙলা ও বাঙালীর প্রভৃতি ইতিহাস জানা যাবে না৷
সভাপতির ভাষণে আচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত বলেন, শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী আজকে সমাজের চরম অবক্ষয় তথা দিশাহারা অবস্থা থেকে উত্তরণের যে পথ দেখিয়েছেন এই বার্র্তকে সমাজের সমস্ত মানুষের মধ্যে পৌছে দিতে হবে৷ আজকের দিনে এটাই আমাদের সংকল্প হোক৷