অনন্য প্রাউট

লেখক
জিজ্ঞাসু

অতি দ্রুত ভারতের প্রতি রাজ্য সমৃৃদ্ধিতে ভরে যেতে পারে৷ এমন কি সেই ভারতীয় মডেলে সমস্ত পৃথিবীর দুঃখ দূর হতে পারে৷ স্থানীয় ভাষায় কথা বলা মানুষের, ভাষাভিত্তিক সমাজ বানিয়ে নেবেন৷ নিজের মাতৃভাষা ভিত্তিক অঞ্চলে মানুষটিকে পেশার জীবন, উন্নততর বাসস্থান, নিরন্তর সমৃদ্ধি স্বাস্থ্য-গতি নিপুণতা, পরিচ্ছন্নতা, গভীর সংযোগ ব্যবস্থা, তার সাথে মানসিক জগতে ঋদ্ধি ও আধ্যাত্মিক জগতে একত্ব, সংশ্লেষণ, সমবায় ও পূর্ণতার বোধ, সার্বিক সামাজিক সুরক্ষার আঞ্চলিক পরিকাঠামো দিতে হবে৷ কে দেবে ? স্থানীয় সমবায়-শক্তি-বুদ্ধির প্রশাসন প্রত্যক্ষভাবে ও স্থানীয় রাজ্য সরকার পরোক্ষভাবে৷ কেন্দ্রীয় সরকার আরো পরোক্ষভাবে, স্থানীয় সমবায় সম্পদ শক্তি উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থায় দায়িত্ব ভার নেবেন৷ স্থানীয় প্রতিটি সক্ষম নাগরিক ওই অঞ্চলের সমবায় সম্পদ শক্তি উৎপাদন ও বন্টন ব্যবস্থায় দায়িত্ব ভার নেবেন৷ স্থানীয় প্রতিটি সক্ষম নাগরিক ওই অঞ্চলের সমবায় কৃষি শিল্প বাণিজ্য ও বাজারের কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত থাকবেন৷ স্থানীয় অঞ্চলে পেশার দক্ষতার ট্রেনিং, আত্মরক্ষার ট্রেনিং ও মানবিক সামর্থ্যের ট্রেনিং সব পাশাপাশি চলবে ও ওই কাজের জন্যে সে আর্থিক দাম পাবে৷ পেশার অঙ্গ হিসাবে  এটা স্বীকৃতি পাবে৷ শক্তি ও সম্পদের উৎপাদন বহুগুণিত করে তা স্থানীয় পরিবারে, যুক্তি সংগত বিতরণ করার কাজে সর্বাধুনিক যন্ত্র বিজ্ঞানের সহায়তা নিতে হবে৷ উৎপাদন ব্যবস্থায় এত গতি থাকবে যে আট ঘন্টার কাজ দুঘন্টায় শেষ হবে ৷ বাকি ছ ঘন্টা মানুষটি স্বাস্থ্য সংস্কৃতি ও মানবিক কাজে নিয়োগ করার স্বাধীনতা পাবে৷ এরই নাম প্রগতি৷

জিনিস পত্রের দাম সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দিয়ে বেড়ে চলেছে৷ এই বেড়ে চলাটাকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ নাগরিককে৷ যারা লুঠ করার লুট করছে৷ চাষী পরিশ্রম করে ফসল ফলাচ্ছে, এই শ্রমিকরা এর দাম পায়না, কেননা ফসল উৎপন্ন করে সেটা শহরের বাজারে এনে বিক্রি করার বুদ্ধি গতি আর্থিক সামর্থ্য ওদের নেই, গ্রাম্য সন্দেহ ঈর্র্ষর মানসিকতার কারণে, কর্ষক রূপী শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হতে জানে না৷ সমবায় শক্তি, সমবায় কৃষি শিল্প , সমবায় পরিবহন, সমবায় বাজার , সমবায় বাণিজ্য, সমবায় সুরক্ষা বল থাকলে কর্ষক তার শ্রমের সঠিক মূল্য পেত, মানুষ উন্নত মানের খাঁটি জিনিস পেত৷ জিনিষের দাম ক্রমশঃ কমত৷ মানুষের নৈতিকতা কান্ডজ্ঞান যত বাড়বে, মানুষের বেঁচে থাকার মানে যত পরিষ্কার হবে, মানুষ যত সমবায় বিজ্ঞান বোধে প্রতিষ্ঠিত হবে, সর্বাধুনিক যন্ত্র বিজ্ঞানকে কাজে লাগাতে শিখবে, প্রতিক্ষণ মানুষ মানবিক হবে৷ আর সমবেত মানবিক মানুষের সংখ্যা যেমন যেমন বাড়বে উৎপাদিত প্রয়োজনের প্রতিটি বস্তুর দাম তেমন তেমন কমবে৷ তেমন এক মানবিক সমাজ ব্যবস্থা বানাবার জন্য প্রাউট অর্থনৈতিক-সামাজিক দর্শনের জন্ম হয়েছে৷ এই নোতুন সমৃদ্ধি পৃথিবীর বানাবার প্রধান কারিগর কর্ষক ও শ্রমিক৷ শিক্ষিত ও সামর্থ্যবান কর্ষক-শ্রমিক এগিয়ে এসে প্রাউট দর্শন যত দ্রুত বুঝে নেবেন, আমাদের দুঃখের দিন তত দ্রুত শেষ হবে৷ মানুষের ভাল দিনের যাত্রা হবে শুরু৷ মানুষ পারবেই৷