October 2017

অশ্বগন্ধা

অশ্বগন্ধা একটি ঔষধীয় গাছ৷

অন্যান্য ভেষজ গাছের সঙ্গে মিলিয়ে এর থেকে যক্ষ্মা রোগের উত্তম ভেষজ ঔষধ তৈরী হয়৷

ব্যবহার বিধি ঃ ৰেড়েলা, গাম্ভোরী, শতমূলী, অশ্বগন্ধা ও পুনর্নবা সমপরিমাণ একত্রে (শেকড়) শুষ্ক্ ও চূর্ণ করে দু’বেলা মধুসহ সেব্য৷ সেবনান্তে কিছুটা পরে এক ক্ষলকের মত ছাগদুগ্ধ পান করলে এই রোগে দ্রুত ফল পাওয়া যায়৷

অর্জুন ছালের সঙ্গে অশ্বগন্ধার শেকড় মিলিয়ে আয়ুর্বেদে হূদ্রোগের ঔষধ প্রস্তুত হয়৷ খোসাসহ মুগ ডাল আগের দিন রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে, পরের দিন সকালে শিলে ৰেটে, দই–এর সরের সঙ্গে শরৰেৎ বানিয়ে খালি পেটে খেলে যক্ষ্মা রোগে অতি উত্তম ফল পাওয়া যায়৷

বাসক ও রাম বাসক

বাসক ও রাম বাসক গাছ পূর্ব ভারতে ভালই জন্মায়৷ রাম বাসক উচ্চতায় তেমন ক্ষড় হয় না৷ অনেক সময় গাছ একটু ক্ষড় হলে শুয়ে পড়ে৷ রাম বাসকের সঙ্গে শেয়ালের ন্যাজের কেমন যেন একটা সুদূর সম্পর্ক রয়ে গেছে৷ তাই রাম বাসককে ক্ষলা হয় ক্রোষ্টুপুচ্ছী, ক্রোষ্টুপুচ্ছিকা, ক্রোষ্টুকপুচ্ছী, ক্রোষ্টুকপুচ্ছিকা৷

বাসক গাছও উচ্চতায় তেমন ক্ষড় হয় না, কিন্তু ডালপালা শক্ত থাকে৷ এর পাতা ঘন সবুজ ও লম্বা৷ এর সবচেয়ে বেশী গুণ পাতায়৷

বাসক পাতার বা বাসক রসের গুণ কফ মুক্তিতে ও জ্বর প্রতিরোধে৷ সর্দির ৰাড়াৰাড়িতে ও পালাজ্বরের আক্রমণে বাসকের জুড়ি মেলা ভার৷

            ‘‘বাসি মুখে বাসকের রস খেও মধু সাথে

আদা

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ সংস্কৃত ‘আর্দ্রক’ থেকে ৰাংলা ‘আদা’ শব্দটি এসেছে৷ আদা শরীরকে ভিজিয়ে দেয়, স্নিগ্ধ রাখে, নিজেও ভিজে ভিজে–স্যাঁৎসেতে৷ তাই সংস্কৃতে নাম আর্দ্রক৷ (আর্দ্রক>আদ্দঅ>আদ্দা>আদা)৷ বিহারে ও উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশে বলা হয় ‘আদী’৷ আদাকে উর্দূ–হিন্দী–হিন্দোস্তান্ ‘আদরক’ বলা হয় যা সংস্কৃত আর্দ্রক শব্দ থেকে এসেছে৷

নারী কি মুক্তি–মোক্ষ পেতে পারে?

সম্প্রতি আমাকে একটি দুরূহ সমস্যার সম্মুখীন হ’তে হয়েছিল৷ সমস্যাটা বা প্রশ্ণটা হয়তো কিছুটা দুরূহ কিন্তু উত্তরটা খুবই সরল৷ প্রশ্ণ ছিল, মহিলারা মুক্তি–মোক্ষের অধিকারী কি না৷

কিছুদিন আগে তোমাদের বলেছিলুম যে তন্ত্রে বলা হয়েছে, ‘‘দেহভৃৎ মুক্তো ভবতি নাত্র সংশয়ঃ’’৷ আত্মজ্ঞান লাভের নূ্যনতম যোগ্যতা হ’ল এই যে সাধককে মানুষের শরীর পেতে হবে৷ এটাই হ’ল তার নূ্যনতম যোগ্যতা৷ কৈ, এখানে তো উল্লেখ করা হয়নি যে সে সাধক নারী বা পুরুষ হবে৷ এর থেকে এটাই পরিষ্কার যে নারী–পুরুষ উভয়েই মুক্তি–মোক্ষ লাভের সমান অধিকারী৷

নোতুন দিনের স্বপ্ন

সুখরঞ্জন সরকার

নোতুন যুগ এসে গেছে, এলো নতুন দিন,

নোতুন দিনের স্বপ্ণে আমার  মন হ’ল রঙিন৷

নোতুন দিনে মনটাকে তাই নোতুন করে নিয়ে,

মিশে যাব সবার মনে ভালোবাসা দিয়ে৷

মনের মাঝে উঠছে বেজে, নোতুন নোতুন সুর,

এই সুরেতে মনের বিষাদ করব আমি দূর৷

সবার সাথে মিলে মিশে বাঁধব সুখের ঘর,

সবাই আমার হবে আপন থাকবে না কেউ পর৷

হাসিমুখে সবার সাথে করব আলাপন,

করব নাকো কারো সাথে অসদ্ আচরণ৷

সুখ–দুঃখের সমভাগী হব সবার সনে,

হিংসা দ্বেষের ঘৃণ্য বাসা বাঁধবো নাকো মনে৷

ধর্ম বর্ণের বিঘ্ণ বিভেদ ভুলে যাবে মন,

ভক্তের ভগবান

কল্যাণী ঘোষ

এসো তুমি দীনদয়াল

            দীনের কুটিরে

বসে আছি তব প্রতীৰায়....

            ভপ্ভঢ( ভতযভঢষ্ঠক্কত্রট্ প্রম্ভবপ্ত–

(ত (ভঢতয ফুল করেছি চয়ন

সযতনে গেঁথেছি মালা৷

পরাবো তোমার গলে–

মালা যে শুকায়....

চুপে চুপে এস তুমি

সুরভিতে মাতাও....

            আকাশ বাতাস৷

নামে গানে মত্ত আমি

এবার বসেছি পূজোয়

মর্মমূলে এস তুমি

            বোস আসনে৷

দীন আমি, হীন নয়–

তোমার গুণে গুণী

তোমার রূপে রূপসী,

তুমি আমার অহংকার–

তোমারেই পূজি

তোমারেই প্রণমি৷

তোমায় আমি ভালবাসি

রামদাস বিশ্বাস

আমার গানের সুরে নীল–নীলিমায় দূরে

তোমার গীতির ধারা বয়ে যায়৷

তোমার প্রেমের স্রোতে অনন্ত এই পথে

আমার জীবন যায় ভেসে যায়৷৷

গান শোণাতে বাজাও বাঁশী

মধুর চেয়েও মিষ্টি হাসি

হাসো তুমি কাছে–দূরে বিশ্বভূবন ঘুরে ঘুরে

দোলাও হূদয় মধুর দ্যোতনায়৷৷

তোমায় আমি ভালবাসি

ভালবাসি ভালবাসি

আমার মুখে তোমার ভাষা আমার বুকে তোমার আশা

আমার আশা যাচি গো তোমায়৷৷

ছীতল অইয়া জায়

গুপ্তযুগের সবচেয়ে ৰড় রাজা ছিলেন সমুদ্রগুপ্ত৷ কিন্তু গুপ্তযুগের কথা বলতে গিয়ে যে নামটি প্রথমেই ভেসে ওঠে তিনি চন্দ্রগুপ্ত৷ যদিও সমুদ্রগুপ্ত দিগ্বিজয়ী বীর হিসেবে প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন, ....ভারতে এক অতি  ক্ষৃহৎ সাম্রাজ্য স্থাপন করেছিলেন....সাংসৃক্তিক জীবনে বিরাট পরিবর্ত্তন এনেছিলেন কিন্তু গুপ্তযুগের অনল–পুরুষ ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত৷ তাঁর প্রজা–প্রীতি ছিল ইতিহাসপ্রসিদ্ধ৷ তাঁর প্রেরণা ও প্রচেষ্টাতেই সংস্কৃত ভাষা নবজীবন লাভ করেছিল৷

রাজ্য সরকারের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য গোর্খাল্যাণ্ড আন্দোলনের পিছনে নেপালের নেপালীদেরই হাত আছে

নবান্নের সূত্রের প্রাপ্ত সংবাদ, নেপালীদের দার্জিলিংয়ে অনুপ্রবেশ যে ব্যাপকভাবেই চলছে- রাজ্য সরকারের কাছে তার  সমস্ত প্রমাণ রয়েছে৷ দার্জিলিং পুরসভার  ৪ জন কাউন্সিলার  এখনও নেপালের নাগরিক৷ তাঁরা দার্জিলিংয়ে এসে রেশন কার্ড, সচিত্র ভোটার পরিচয় পত্র করে ভোটেও দাঁড়াচ্ছেন৷ ওদিকে কিন্তু নেপালের নাগরিকত্ব আছে৷

সম্প্রতি পাহাড়ে যে আন্দোলন চলছে তাতে দার্জিলিংয়ের এক কাউন্সিলার নেপালের ইলন জেলার ছড়িয়াল থেকে ১৫০  জনকে দার্জিলিংয়ে নিয়ে এসে তাদের নিয়ে এখানকার শাস্তি বিঘ্ন করেছে, এরাই জোড়াবাংলাতে তান্ডব চালিয়েছিল৷

মায়ানমারে রোহিঙ্গা বাঙালী নির্র্যতনের প্রতিবাদে আমরা বাঙালী

 মায়ানমারে যেভাবে  দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা বাঙালীদের ওপর  নির্মম অত্যাচার ও দমন পীড়ন চলছে  তার বিরুদ্ধে   আমরা বাঙালী তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে গত ২২ সেপ্ঢেম্বর বিকেলে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে  একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়৷ মিছিল আমির আলি এভিনিউ হয়ে বালিগঞ্জ সারকুলার রোড ধরে  মায়ানমার কনসুলেটে পৌঁছোয়৷ সেখানে মায়ানমারের রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷ কনসাল জেনারেল মি.পি.সো মহোদয়ের নিকট স্মারকলিপি প্রদানকালে  উপস্থিত ছিলেন সচিব বকুল চন্দ্র রায়, সহসচিব তারাপদ বিশ্বাস, প্রকাশন সচিব রবীন্দ্রনাথ সেন, সাংঘটনিক  সচিব খুশিরঞ্জন মন্ডল , সদস্য সাগরিকা পাল ও স্বপন দে৷