অসম রাজ্যের হোজাই শহরে আনন্দমার্গের ধর্ম অনুষ্ঠান ও সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

লামডিং ঃ অসমের হোজাইতে গত ৯, ১০ ও ১১ই ফেব্রুয়ারী ত্রিদিবসীয় আনন্দমার্গের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয ও তৎসহ মিলিত সাধনা, নগরকীর্ত্তন, দুঃস্থদের মধ্যে কম্বল বিতরণ প্রভৃতি অনুষ্ঠিত হয়৷ ডিমাপুর, নামডি, জাগীরোড, গুয়াহাটি, নওগাঁ, হাফলং প্রভৃতি এলাকা থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক আনন্দমার্গী ভক্ত ত্রিদিবসীয় সেমিনারের (ফার্স্ট ডায়োসিস) যোগদান করেন৷

সেমিনারে  কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত ও আচার্য হরাত্মানন্দ অবধূত৷ সেমিনারে আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়৷ প্রতিদিন নিয়মিত কীর্ত্তন, প্রভাতসঙ্গীত, ধ্যান, আসন, প্রাণায়াম সহ গুরুপূজা অনুষ্ঠিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, চিকিৎসা, ওষুধ বিতরণ ও কম্বল বিতরণ করা হয়৷ অনুষ্ঠিত হয় ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড ‘বাবানাম কেবলম্’ কীর্ত্তনও৷ এই অখণ্ড কীর্ত্তনে অসম রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে  বহু আনন্দমার্গী ও ভক্তবৃন্দ যোগদান করেন৷ কীর্ত্তন অনুষ্ঠানে ভক্তিভাবে আপ্লুত সমস্ত আনন্দমার্গী ও হোজাই আনন্দমার্গ আশ্রমের চারপাশের মানুষ উপলব্ধি করেন---ভক্তিই মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ৷ ভক্তি---পথ ও পাথেয়, আর ভক্তি সম্পদই সাধকের লক্ষ্য৷ কারণ  ভক্তির সঙ্গে ভগবান ওতঃপ্রোতভাবে মিলে আছেন৷ ভক্তিতেই মানুষের সমস্ত প্রকার সমস্যার সমাধান৷ আর সবকিছুর মূলে অদৃশ্যভাবে রয়েছে গুরুকৃপা৷ কীর্ত্তনের পরে সমবেত ধ্যান ও গুরুপূজা অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর ‘কীর্ত্তন মহিমা’ গ্রন্থ থেকে পাঠ করেন আচার্য অজেয়ানন্দ অবধূত৷ তারপর ‘গুরুকৃপা’ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য হরাত্মানন্দ অবধূত ও তাত্ত্বিক চিদানন্দ দেবনাথ৷

তিনদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেনআচার্য গুরুধ্যানানন্দ অবধূত৷ তাঁকে বিশেষভাবে সাহায্য করেন আচার্য সৌম্যশুভানন্দ অবধূত, আচার্য অজেয়ানন্দ অবধূত, শ্রীমতী রত্না দে, শ্রী প্রদীপ চউধুরী প্রমুখ৷ এই অনুষ্ঠানে বেশ কিছু ধর্মপিপাসু মানুষ আনন্দমার্গের সাধনায় দীক্ষিত হন৷