অসমের আমবাগানে গত ৬ ও ৭ই আগষ্ট ইয়ূ.পি.এস.এফ ও ইয়ূ.পি. ওয়াই.এফ-এর অসম রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সম্মেলনে ১১৪ জন ছাত্র-যুবা যোগদান করেছিলেন৷ সম্মেলনের মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত, আচার্য সত্যস্বরূপানন্দ অবধূত ও গুয়াহাটি আই.আই.টি.-র অধ্যাপক ডঃ শুভেন্দু বাগ৷
৬ তারিখের সম্মেলনের উদ্বোধন হয়৷ এরপর আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত যোগ, স্বাস্থ্য ও সার্বিক বিকাশ এই বিষয়ে বিশদ আলোচনা করতে গিয়ে কীভাবে ছাত্র-যুবকরা তাদের শরীরকে সুস্থ রাখবে, মনের একাগ্রতা অর্জন করবে ও মনঃশক্তি লাভ করতে পারবে ও তার সঙ্গে কীভাবে আধ্যাত্মিক উন্নতি করতে পারে তার উপায় হিসেবে যোগাসন ও যোগ সাধনার ওপর বক্তব্য রাখেন৷ এদিন সন্ধ্যায় প্রাউট দর্শনের ওপর এক সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হয়৷ এই সিম্পোজিয়ামে আমবাগানে বহু শিক্ষিত মানুষ উপস্থিত ছিলেন৷ ‘আনন্দম্’-এর শিল্পীগোষ্ঠী প্রভাত সঙ্গীত পরিবেশন করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন৷ এরপর প্রাউট দর্শনের বিভিন্ন দিকের ওপর বক্তব্য রাখেন ডঃ শুভেন্দু বাগ, আচার্য সত্যস্বরূপানন্দ অবধূত ও আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ অবধূত প্রমুখ৷
ছাত্র সমাবেশে ডঃ শুভেন্দু বাগের বক্তব্যের বিষয় ছিল ‘নব্যমানবতাবাদী শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্বভ্রাতৃত্বের প্রতিষ্ঠা’৷ ডঃ বাগ মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার প্রবর্তিত নব্যমানবতাবাদ দর্শনের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন ও বলেন নব্যমানবাদই নিপীড়িত মানবতার শেষ আশ্রয়৷ আচার্য সত্যস্বরূপানন্দ অবধূতের আলোচ্য বিষয় ছিল স্মৃতিশক্তি ও ব্যষ্টিত্বের বিকাশের উপায়৷ এই প্রসঙ্গে তিনি যোগ সাধনা ও যোগাদর্শের ওপর আলোকপাত করেন৷ আচার্য বিশ্বমিত্রানন্দ অবধূত প্রাউটের ওপর আলোচনা করেন৷ আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত বলেন---প্রাউট দর্শন ছাড়া বিশ্বজুড়ে নবজাগরণ আনার কথা বলছে৷ আর আজকের ছাত্র-যুবারাই হবে সেই নবজাগরণের পথিকৃৎ৷