অসম ঃ অসমে নাগরিকপঞ্জী উন্নীতকরণ প্রক্রিয়ায় বংশবৃক্ষ পরীক্ষা নিয়ে শুরু হয়েছে তুঘলকী কাণ্ড৷ নাগরিকপঞ্জী উন্নীতকরণের এক আধিকারিক বলেছেন প্রায় ৪৭ (সাতচল্লিশ) লক্ষ নামের বংশ পরিচয়ে গরমিল ধরা পড়েছে৷ এই কারণে এক জেলার লোককে আরেক জেলায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে৷ যারা কোনদিন বাড়ীর এলাকা থেকে বের হয়নি, তাদের ৫০০/৬০০ কিলোমিটার দূরের কোন জেলায় পাঠানো হচ্ছে৷ যেমন কাছাড় জেলার অন্তর্গত (লক্ষিপুর সমষ্টি) জয়পুরের স্মৃতি আচার্য ও ঊষা আচার্য্যের নামে নোটিশ এসেছে, তাদের উদালগুড়ি জেলার, মহানপুর নামক স্থানে গিয়ে বংশবৃক্ষের পরিচয় দিতে হবে৷ তেমনি, স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রতাপচন্দ্র ধরের দুই মেয়ে যারা কাছাড় জেলার পালইবাসান এলাকার বাসিন্দা---শ্রীমতী দিপালী ধর ও শেলী ধরকে বাড়ী থেকে ৫০/৬০ কি.মি. দূরে বড়খলা নামক স্থানে ২১ তারিখে গিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়৷ এইভাবে এক জেলা থেকে দূরবর্তী অন্য জেলায় গিয়ে যদি প্রমাণ দিতে হয়, তাহলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে যাওয়া বা প্রমাণ দেওয়া সম্ভব নয়৷ তাতে সাতচল্লিশ লক্ষের মধ্যে বেশীরভাগের নাম নাগরিকপঞ্জীতে উঠবে না৷ চিহ্ণিত হবে রাষ্ট্রহীন ভাসমান জনগোষ্ঠী হিসেবে৷
এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বাঙালীর অসমের রাজ্য সচিব শ্রী সাধন পুরকায়স্থ এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, এই ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলি ও কেন্দ্রীয় সরকারের নীরবতাকে আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি৷ শ্রী পুরকায়স্থ আরও বলেন, আমরা অবিলম্বে প্রতিটি বাঙালীর নাম নাগরিকপঞ্জীতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবী রাখছি৷ অসম সহ সমস্ত উত্তর-পূর্র্বঞ্চল থেকে বাঙালী বিতাড়নের যে প্রক্রিয়া বা ষড়যন্ত্র চলছে, তার বিরুদ্ধে সমস্ত বাঙালীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান রাখছি৷