তিন বছর আগে ইস্টবেঙ্গলের চতুর্থ গোলকিপার হিসেবে সারা মরসুমেই সাইডলাইনের ধারে বসে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে কাটাতে হয়েছিল বৈদ্যবাটির সন্দীপ পালকে৷ আর সেই সন্দীপ পালের ঘাড়ে ভর করে ইস্টবেঙ্গলের মতো শক্ত দলকে টপকে পিয়ারলেস রাণার্স৷ বেশ কয়েক বছর পর কলকাতা লিগে রাণার্স পিয়ারলেস৷ পিয়ারলেসের এই সাফল্যের পেছনে দলের গোলরক্ষক সন্দীপের অবদান অনস্বীকার্য৷ কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য মনে করেন বড় গোলকিপার হওয়ার সমস্ত গুণ সন্দীপের আছে৷
বছর দশেক আগেকার কথা৷ পাড়ার মাঠেই তাঁর ফুটবলের হাতেখড়ি৷ এরপর শেওড়াফুলির চলমান সমিতির প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হন৷ তার কোচ ও ক্লাবের কর্মকর্তারাই তাকে গোলরক্ষক হওয়ার পরামর্শ দেন৷ এরপর ২০১২-১৪ পর্যন্ত আই.এফ.এ. একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেন৷ ২০১৫-তে ইষ্টবেঙ্গলে সুযোগ পান৷ ২০১৬ তে রেনবো ক্লাবে৷ ২০১৭-তে জর্জ টেলিগ্রাফ৷ এখন তিনি পিয়ারলেসে সই করেছেন৷
এ বছর ইস্টবেঙ্গল, মহামেডানের বিপক্ষে জয় ও মোহনবাগানের সঙ্গে ড্র করে পিয়ারলেস৷ প্রতিটি ম্যাচেই তাদের শেষ ডিফেন্স সন্দীপের পারফরমেন্স কোচ বিশ্বজিৎকে ভরসা যুগিয়েছে৷ ডিপান্ডা ডিকা থেকে শুরু আল আমনাদের মতো তারকাদের বিপক্ষে গোলরক্ষা করেছেন সাবলীলভাবে৷ তাই অদূর ভবিষ্যতে বড় আসরে নামার স্বপ্ণ দেখছেন সন্দীপ৷
কিন্তু এই স্বপ্ণপূরণের জন্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাঁর দারিদ্রতা৷ এক সময় শেওড়াফুলি স্টেশনের একটা ছোট্ট ঘুমটিতে চা বিক্রি করত সন্দীপ৷ জিটি রোড ধরে বৈদ্যবাটি রাজার বাগানের রাস্তা ধরে কিছুটা গেলে খড় পাড়ায় সন্দীপের একটা টালির ছোট বাড়ি স্যাঁতসেতে দেওয়াল খুবই দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে তাঁকে তখনও জীবন কাটাতে হয়েছিল এখনও হচ্ছে৷ শুধু কি স্বপ্ণ দেখলেই হবে জীবনে চলতে গেলে প্রতিমূহূর্তে অর্থেরও প্রয়োজন আছে৷ অর্থোপার্জনের স্থায়িত্ব এখনও সন্দীপ করতে পারেননি৷
পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাঙলাদেশ
ক্রীড়া প্রতিনিধি ঃ মরু শহরে আয়োজিত এশিয়া কাপের ফাইনাল হবে ভারত ও বাঙলাদেশের মধ্যে৷ গত বুধবার রাতে পাকিস্তানকে ৩৭ রাতে হারিয়ে দেয় বাঙলাদেশ৷ বিজয়ী দলের পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ৪৩ রানের বিনিময়ে ৪ জন পাক ব্যাটসম্যানদের প্যাভেলিয়নের পথ দেখান৷ প্রথমে ব্যাট করে বাঙলাদেশ ২৩৯ রান করে৷ সরফরাজ ৯৯, মহম্মদ মিঠুনক করেন ৬০ রান করেন৷ ফাইনালে রোহিত-বুমরাদের মুখোমুখি বাঙলাদেশ৷