বাতাসে বারুদের গন্ধ, তবু নাদিয়া লক্ষ্যে অবিচল সফল মহিলা ফুটবল কোচ হয়ে এখন লক্ষ্য ক্রীড়াস্কুল গড়ার

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

অশান্তি একরকম শ্রীনগরের নিত্য সঙ্গী৷ গোলা-গুলি-রক্ত, খুন-খারাপি শ্রীনগরের রাস্তাঘাটে, অলিতে-গলিতে৷ এযেন এক দমবন্ধ করা পরিবেশ৷ এখানে স্বপ্ণেও Nadiaযেন মৃত্যু ঘনিয়ে আসতে চায়৷ সেইরকম পরিবেশে থেকে কেউ একজন স্বপ্ণ দেখছেন ফুটবল নিয়ে৷ এমন পরিবেশের মধ্যেও  অন্তরে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা ও স্বপ্ণটাকে বাস্তবে রূপ দিতে বদ্ধপরিকর একটি মেয়ে৷ নাম নাদিয়া নিঘাত৷ তাঁর চারিপাশে ঘিরে রয়েছে আতঙ্ক তবুও তিনি বল পায়ে মাঠে ফুল ফোটান বাচ্চা ছেলেমেয়েদের পায়েও সেই স্বপ্ণটাকে ছুঁড়ে দিতে চান বছর ২১শের নাদিয়া৷

শ্রীনগরে রামবাগে একটি ফুটবল একাডেমি চালান তিনি, তাঁর কাছে সেখানে ৩০ জন ছেলেমেয়ে ফুটবল শেখে৷ এঁদের মধ্যে তিনজন মেয়ে৷ ফুটবলার হিসাবে জাতীয় ও রাজ্যস্তরের বহু পুরস্কারে সম্মানিত  হয়েছেন তিনি৷ জম্মু-কাশ্মীরের অনূর্ধ ১৫, ১৬ ও সিনিয়র দলেরও প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি৷ তাঁর এই সফলতায় অন্যান্য রাজ্যের মেয়েরাও তাকে দেখে উৎসাহিত হচ্ছে---অনেকেরই স্বপ্ণ দেখছেন কিছু করে দেখানোর৷

এই সাফল্য পাওয়ার জন্য নাদিয়াকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে, কারণ জম্মু-কশ্মীরে মেয়েদের ফুটবল খেলা নিয়ে কেউই বেশী মাতামাতি করতে পছন্দ করত না৷ সেই প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে সমস্ত বাধাকে পরোয়া না করে এগিয়ে গেছে নাদিয়া৷ এখন তিনি কাশ্মীরের ফুটবল দলের কোচ৷ এই লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরে স্বভাবতই তিনি খুব খুশী৷ দেশের ফুটবলকে আরও উন্নতির স্তরে দেখতে চান তিনি ও  জম্মু-কাশ্মীরের ছেলেমেয়েদের জন্য ক্রীড়াস্কুল খোলা হোক---এটাই তাঁর দাবী৷ ফুটবলের এই বীর সেনানী ফুটবলারদের কাছে বিশেষ করে মহিলা ফুটবল জগতে স্বপ্ণের ফেরিওয়ালা৷