বিজেপি বাঙালী-ঐক্য ভাঙ্গতে বদ্ধপরিকর

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ইসলামপুর স্কুলে ছাত্র-হত্যাকে কেন্দ্র করে ২৬ শে সেপ্টেম্বর বিজেপির ডাকা বাঙলা বন্ধ্কে সফল করতে বিজেপি সমর্থকরা ৪টি সরকারী বাস জ্বালিয়েছে , অন্ততঃ ৪টি বাস ভাঙ্গচুর করেছে ৷ এতে কার লাভ হ’ল? কার ক্ষতি হ’ল? তৃণমূলের ? না, ক্ষতি হয়েছে পশ্চিমবাঙলার৷ এ রাজ্যের সম্পদ নষ্ট হয়েছে৷ নেতাদের ক্ষতি হয়নি৷ ক্ষতি হয়েছে জনগণের  এটা কি তারা বুঝেছে?

এই বাঙলা বন্ধের প্রভাব কলকাতা শহরে তো পড়েইনি বলা চলে৷ তবে জোর করে বন্ধ্ সফল করতে গিয়ে বন্ধ সমর্থকরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বহু ক্ষেত্রে হিংসা ছড়িয়েছে ৷ অনেক ক্ষেত্রেই গাড়ি, দোকান পাট, ভাঙ্গচুর , অগ্ণিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে৷ ইসলামপুরে ৪টি সরকারী বাসে বনধ্ সমর্থনকারীরা আগুন ধরিয়েছে ও ৪টি বাস ভাঙচুর করেছে৷ পুলিশের সঙ্গে বণ্ধ সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষও হয়৷

কেশিয়াড়িতে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা গুলি বিদ্ধ হয়ে মারা গেছে ১ জন৷ নাম বিভুরঞ্জন দাস৷ বিভূরঞ্জন বনধের দিনে দোকান খোলা রেখেছিল ও সে তৃণমূল সদস্য৷ গাড়ীতে করে অপরিচিত দুষ্কৃতীরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়৷ যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের সমর্থকরা গুলি করেনি ৷ তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে৷

তবে এটা অস্বীকার করা যায়না যে, বিজেপি বাঙালীদের মধ্যে হিন্দু-মুসলমান বিভেদ সৃষ্টি করে বাঙালী ঐক্য নষ্ট  করতে বদ্ধপরিকর৷ এতে আখেরে বাঙলারই ক্ষতি৷ বিজেপি নিজেরা ক্ষমতায় আসতে বাঙালী ঐক্য নষ্ট করতে চাইছে৷