বিশ্বকাপে চাপের মুখে জার্মানি

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

বিশ্বকাপের প্রথমদিকের খেলার ধারাপাতে জামার্নের অঙ্কটা মিলছে না কিছুতেই৷ প্রথম হেরে যাওয়ার ফলে ভীষণ চাপের মধ্যে পড়েছে জার্র্মনি৷ গতবার এই টিমই হয়েছিল চ্যাম্পিয়ান৷ কিন্তু এবারে প্রথম থেকে চাপের মধ্যে এই টিম তা স্বচ্ছন্দ্যে স্বীকার করেছেন টিমের কোচ ওয়াকিম লো৷ জার্র্মনের এই হারের পিছনে সবাই একজনকেই দায়ী করছে তার নাম ওজিল৷ কারণ প্রথম ম্যাচের হারার কারণ ছিল ওজিল এটাই মনে করছেন সমালোচকবৃন্দ আর দর্শকমহলেও ওজিল নিয়ে নানান  সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ প্রথম ম্যাচে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে অর্র্থৎ আগামী শনিবার ২৩শে জুন জামার্ন  সুইডেনের মুখোমুখি হতে চলেছে৷ মেক্সিকোর হারের পর যথেষ্ট চাপের সৃষ্টি হয়েছে তাদের দলের ওপর৷

প্রথম ম্যাচের হারের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী করা হচ্ছে ওজিলকে , সমালোচক ও দর্শকরা বলছেন ওজিল কোনদিন মন থেকে দেশের জন্য খেলেন না৷ তাই এর ভিত্তিতে অলিভিয়র বিয়েরহফ বলেন, ‘‘ প্রথম ম্যাচে সুইডেনের কাছে হারার ফলে সমালোচনার স্বীকার তো হতেই হবে৷ তা মুখ বুঝে তাদের সহ্য করতে হবে৷ কিন্তু কিছু কিছু বক্তব্য অসহনীয় হয়৷ কারণ তারা একটি ম্যাচে হারলেও তারা কিন্তু বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন তাই তাদের এত খারপ মন্তব্য করাটাও উচিৎ নয় বলে মনে করেন তিনি৷’’ ওপর থেকে  জার্র্মন দলের কোচের ওপর সবসময় চাপ আসছে যে ওজিলকে যেন প্রথম দলে না রাখা হয়ে৷

জামার্নির প্রাক্তন অধিনায়ক সংবাদপত্রের মাধম্যে প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন ‘‘ওজিল দেখে মনে না যে ও জার্র্মনির পোশাকটি পরে দেশের কেলার ওর কোন ইচ্ছা আছে বলে৷ ওর  এই দলে খেলাই উচিৎ নয়৷

কিন্তু একে অপরের দোষ না দেখে জার্র্মনি চাপের মধ্যে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে  সুইডেনের সঙ্গে পরের ম্যাচের জন্য৷ এই ম্যাচটা যদি হেরে যায় তবে জার্র্মনি দলের বিশ্বকাপ থেকে ফিরে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না৷

তাই এখন কোন ঝগড়া না করে একে অপরের দোষ না দেখে পরের ম্যাচটা কীভাবে জিতবে সেটা নিয়ে চিন্তা করাটাই হল মূল লক্ষ্য৷