বজবজের ভাগাড় কান্ডের অদৃশ্য দানবের দেখা মিলেছে রাজ্যের বিভিন্নস্থানে, এমনকি এ রাজ্য পেরিয়ে সুদূর চেন্নাই পর্যন্ত এর গতিবিধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ অভিজ্ঞ মহলের ধারণা এই দানবের রাজত্ব চলছে সারা দেশ জুড়ে৷
বজবজ ভাগাড় থেকে মৃত গোরু, ভেড়া, কুকুর, বেড়ালের পচা মাংস হোটেল-রেস্তোরাঁয় পাচারের ঘটনা ধরা পড়ার পর ব্যাপক পুলিশী তদন্ত যতই এগুচ্ছে ততই সত্যিই কেঁচো খুড়তে বিষধর সমস্ত সাপের দেখা মিলছে৷
ধৃত এই মৃত পশুমাংস পাচারের চক্রের কিংপিনকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ রাজাবাজার, ট্যাংরা, টিটাগড়, কাঁকিনাড়া, জগদ্দল, কল্যাণী প্রভৃতি স্থানে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৬জনকে গ্রেফতার করে৷ শুধু তাই নয়, কলকাতার রাজাবাজারে বিশাল এক অত্যাধুনিক হিমঘরেরও সন্ধান পাওয়া যায় যেখানে এক হাজার প্যাকেটে ২০টন রাসায়নিক মেশানো মৃত পশু মাংস পাওয়া যায়৷ জানা গেছে, কলকাতায় বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয় নিয়মিত এখান থেকে এই ভাগাড়ের পচা মাংস রাসায়নিক মিলিয়ে সুস্বাদু করে পাঠানো হ’ত৷
আরও জানা যাচ্ছে, ভাগাড়ের এই পচা মাংস থেকেই অত্যাধুনিক উপায়ে নামী দামী কোম্পানীর স্যান্ডউইচ, প্যাটিস, বার্গার, সালামি বা সসেজ প্রভৃতি তথাকথিত অভিজাত খাবার তৈরী হ’ত৷ রাজা বাজারের হিমঘর থেকে একাধিক নামী ব্রান্ডের কোম্পানীর সাইনবোর্ডও পাওয়া গিয়েছিল৷ জানা যাচ্ছে, বছরের পর বছর ধরে এইসব নামী ব্রান্ডের খাবারের সঙ্গে এই সব পচামাংস সরবরাহ করা হচ্ছিল৷ জানা যাচ্ছে, এই মাংস চেন্নাইয়েও সরবরাহ করা হ’ত৷ বজ বজ ভাগাড় কান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে৷