ভারত মানবিক মূল্যবোধ ও বিশ্বৈকতাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভোগবাদ ও জড়বাদ ক্লিষ্ট বিশ্বকে এগিয়ে চলার পথ দেখাক

লেখক
প্রভাত খাঁ

বর্তমান সারা বিশ্বে এক জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ সেটি হ’ল ব্যষ্টিকেন্দ্রীয় ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রকেন্দ্রীক জড়বাদী সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে চুলোচুলি আর লাঠালাঠিতে বিশ্ব দিশেহারা৷ কিন্তু দেখা যায় এই দুটোর মধ্যে একটা সাদৃশ্য আছে৷ সেটি হ’ল অর্থনৈতিক ও সামাজিক শোষণের দুই ব্যবস্থার জনগণ একই নৌকার যাত্রী ব্যষ্টিকেন্দ্রীক সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ধীরে ধীরে রাষ্ট্রকেন্দ্রীক সাম্রাজ্যবাদী শক্তিতে যেমন রূপান্তরিত হয়ে পড়ে ঠিক তেমনই রাষ্ট্রকেন্দ্রীক জড়বাদী একদলীয় শাসকগণ সমাজতন্ত্রের কথা মুখে আউড়ে ভয়ঙ্কর দলীয় রাষ্ট্রক্ষমতার দিকে এগিয়ে চলে৷

আজ আমরা পরপর দুটো বিশ্বযুদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরও কিন্তু পৃথিবীর বুকে দুর্বল রাষ্ট্রগুলি শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলির ভয়ঙ্কর আগ্রাসী নীতির থেকে তারা নিজেদের বাঁচাতে পারছে না৷ রাশিয়া কমিউনিষ্ট রাষ্ট্র বর্তমানে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লেও এশিয়ার বুকে চীন প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির ওপর শ্যেন দৃষ্টি দিয়ে তাদের ছলে-বলে-কৌশলে গ্রাস করতে সদা ব্যস্ত৷ ইউ এন ও-এর যে মহৎ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি হয় সেটি যেন এক অতি দুর্বল শক্তিহীন বৃদ্ধ অভিভাবকের দশায় অবস্থান করছে৷ সেখানে দাপট করছে সেই সব শক্তিশালী রাষ্ট্র যেমন আমেরিকা ও চীন প্রভৃতি রাষ্ট্রগুলির  মধ্যে মধ্যযুগে যে ইসলামিক রাষ্ট্র পৃথিবীতে সৃষ্টি হয় সেই ইসলামিক রাষ্ট্রগুলির কট্টর জঙ্গী সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে সারা বিশ্ব ইসলামিক রাষ্ট্র সৃষ্টির নেশায় সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে,সারা বিশ্বে যাদের আগমনে বর্তমান পৃথিবী সন্ত্রস্ত হয়ে কাল কাটাচ্ছে৷

অত্যন্ত দুঃখের ও বেদনার কথা পৃথিবীর হত-দরিদ্র কোটি কোটি মানুষ আজও লোভী শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা নিপীড়িত ও শোষিত হয়ে চলেছে৷ যদিও ভারতের মত দেশে কোটি কোটি মানুষ দরিদ্র্য তবুও এই পৃথিবীর বুকে একটি দেশ আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছে সেই দেশটি হ’ল ভারত যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র৷ এই রাষ্ট্র পৃথিবীর মধ্যে একটি গোষ্ঠী নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে বিখ্যাত৷ এদিকে চীন পৃথিবীর বুকে ইউ এন ও-এর জন্মের পর তিববতের জনগণের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে সেই রাষ্ট্রকে দখল করে রেখেছে৷ আর সীমান্ত রাষ্ট্র ভারত, ভূটানের ওপর সামরিক শক্তি বলে রাষ্ট্রগুলি সীমানা অতিক্রম করে জমি দখল করে রেখেছে ও আক্রমণের হুমকী দিয়ে চলেছে৷ ইউ এন ও কিন্তু নীরব৷ চীনকে তার আগ্রাসী নীতি থেকে বিরত হওয়ার কোনো বাক্যই উচ্চারণ করে না৷ পাকিস্তান ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে কশ্মীরের এক-তৃতীয়াংশ দখল করে রেখেছে৷ সেখানে ইউ এন ও যুদ্ধবিরোধী নীতি প্রয়োগ করে দীর্ঘ বছর ধরে সমস্যাকে জিইয়ে রেখে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করে মীমাংসার কথা বলে চলেছে৷ আর পাকিস্তান জোর জবরদস্তি করে যুদ্ধ বিরোধী সীমান্ত রেখে অতিক্রম করে ভারতের বুকে প্রত্যহ লড়াই করে যাচ্ছে৷ ভারতের নাগরিক ও সীমান্তরক্ষীদের হত্যা করছে৷ সেদিকে ইউ এন ও-এর কোনো নজরই নেই৷ কারণটা হ’ল ইউ এন ওতে যারা ভোট দানের অধিকারী তারাই ইচ্ছাকৃতভাবেই ক্ষুদ্র স্বার্থে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমস্যার সমাধানের পথে হাঁটছে না৷ তিববতে চীন আজও জবরদখল করে যে আছে৷ দলাই লামাকে পদে পদে অস্বীকার করেই চলেছে ক্ষমতালোভী চীন৷

অত্যন্ত বেদনার কথা প্রতিটি মানুষেরই অধিকার আছে স্বাধীনভাবে বাঁচার ও প্রত্যেক ব্যষ্টি যাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সার্বিক বিকাশ লাভ করে তার সুযোগ দেওয়া৷ কিন্তু লোভী স্বার্থান্ধ রাষ্ট্রগুলি সেই উপনিবেশিক মানসিকতাকেই প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে অন্য দুর্বল রাষ্ট্রগুলির অধিকার খর্ব করতে৷ ভারত কিন্তু কোনোদিনই অন্য রাষ্ট্র গ্রাস করেনি৷ প্রাচীন ভারতবর্ষ বিশ্বের বুকে সেই বিশ্বভ্রাতৃত্বের সহনশীলতার আধ্যাত্মিকতার বাণী প্রচার করে এসেছে৷ আজও করে চলেছে৷

ভারতবর্ষ সারা বিশ্বে আধ্যাত্মিকতার মহান বাণী সুপ্রাচীনকাল থেকে প্রচার করে আসছে৷ অন্য রাজ্য গ্রাস তার নীতি নয়৷ কিন্তু সেই ভারতবর্ষকে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি রাজনৈতিক স্বাধীনতা দিয়ে গেল সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে দেশটিকে টুকরো টুকরো করে৷ যাতে তারা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিরাট ভূখণ্ডে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সম্প্রদায়গত বিভেদ তাকে হাতিয়ার করে নিজেরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে সক্ষম হয়, সেটাই তারা করে চলেছে৷

ভারত যুক্তরাষ্ট্র ইংরেজ সরকারের অধীনে ছিল৷ তাই ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে কমনওলেথয়ের মধ্যে সদস্য হিসেবে রেখে দিয়ে বিভিন্ন জটিল আইনের বন্ধনে আটকে রাখে৷ সেদিন যারা ইংরেজের অনুগত হয়ে দেশভাগকে মেনে নিয়ে ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতার সুখভোগে আত্মসমর্পন করেন তারা বুঝতে চাননি কতটা ক্ষতি অখণ্ড ভারতবর্ষের তারা করে গেলেন৷ পূর্ণ স্বাধীনতার জন্যে লড়াই যদি হতো তাহলে ভারতবর্ষের বুকে পাকিস্তানী হামলার সম্ভাবনা থাকত না৷ ভারতীয়দের মধ্যে বিভক্ত সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতাটা প্রবল বেগে প্রবলতর হতো না৷ নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু দেশভাগ চাননি৷ তাই সেদিনের দেশনেতাদের কাছে তিনি ছিলেন তাদের চোখে অপাঙতেয়৷ কিন্তু আজ দীর্ঘ সত্তর বছরের স্বাধীনতায় ভারতের কোটি কোটি হতদরিদ্র্য জনগণ যে দারুণ যন্ত্রণা ভোগ করছেন যেটা হয়তো উদ্বাস্তু হয়ে ভারতের স্বাধীনতার হোতা বাঙালী জনগোষ্ঠীকে কষ্ট ভোগ করতে হতো না৷ আজ ভারত যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ভয়ঙ্কর অগ্ণিপরীক্ষার সম্মুখীন৷ দীর্ঘ সত্তর বছরের স্বাধীনতা (রাজনৈতিক স্বাধীনতা) পেয়েও ভারতীয়দের সত্তর শতাংশ মানুষ হত দরিদ্র্য, বঞ্চিত৷ রাজনৈতিক নেতারা নেতৃগণ কথা বেশী বলেছেন ও প্রতিশ্রুতি বেশী দিয়ে গেছেন নিছক ভোটের স্বার্থে, কাজ কিন্তু অতি কমই করেছেন৷ যদিও নেহেরু বলতেন, ‘কথা কম, কাজ বেশী৷’ তিনি তার পরিবারকেন্দ্রীক কংগ্রেস দল করেন৷ প্রধান কংগ্রেস প্রার্থীদের বাধ্য করেন অবসর নিতে৷ তার কন্যা কংগ্রেস ভেঙ্গে নব কংগ্রেস করেন৷ পুরাতন কংগ্রেস প্রায় শেষ হয়ে যায়৷ তার কংগ্রেসই কংগ্রেসের পতাকা বহন করে৷ আজ চলেছেন বর্তমানে সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে৷ দীর্ঘ বছর শাসন তারাই করেন৷ জনতা দল ভেঙ্গে ভারতীয় জনতা দল হয়৷ বর্তমানে সেই দল কেন্দ্রে শাসনে এসেছে৷ এই দল নতূন ভারত গড়ার আবাজ তুলছে৷ এই সরকার ‘স্বচ্ছ ভারত’ দারিদ্র্যমুক্ত ভারত, দুর্নীতিমুক্ত ভারত, সন্ত্রাসমুক্ত ভারত, সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত ভারত গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন এই আগষ্ট মাসে৷ ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের ডাক দেন গান্ধীজী৷ এই মাসের ৯ তারিখে ১৯৪২ সালে৷ বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র  মোদীজী আগামী ২০২২ সালের মধ্যে নতুন ভারত গড়ার অঙ্গীকার করেছেন৷ এর পাশাপাশি বিরোধী কংগ্রেস দলের সুপ্রিমো ঘোষণা করেছেন গণতন্ত্রে মোদী শাসনে অন্ধকারের ছায়া৷ এদিকে সোনিয়া মমতা নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলি নিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে জোট বাঁধো তৈরী হও৷ এদিকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে ভারত কারণ চীন, পাকিস্তান, যৌথভাবে ভারতকে যুদ্ধে লিপ্ত করতে ডোকালামে সৈন্য সমাবেশ করে হুমকী দিচ্ছে৷ ভুটানের জমির মধ্যে দিয়ে সরক নির্মাণে তার জমি চাই৷ তাই পেশীশক্তিবলে ভারত ও ভুটানকে হুমকী দিয়ে যাচ্ছে একনাগাড়ে৷ তারা ভারতের দার্জিলিংয়ে বাংলা ভাগের উস্কানী দিচ্ছে৷ বিদেশী নেপালীদের অস্ত্র ও অর্থ খাদ্য যোগান দিয়ে৷ এই কঠিন পরিস্থিতিতে ভারত অবস্থান করছে৷

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোদীজী দিল্লীর শাসন ক্ষমতায় এসে অদ্যাবধি যে কটি কাজ করেছেন তাতে গরীব জনগণ আশু কোন সুরাহা পেয়েছেন বলে মনে হয় না৷  এই ২০১৭তে বিমুদ্রাকরণ করতে গিয়ে দেখা গেল হতভাগ্য শতাধিক মানুষ মারা গেলেন৷ সুদের হার কমিয়ে গরীব ও প্রবীণদের পথে বসিয়েছেন৷ জি এস টি যে কী জিনিস আজও হতদরিদ্র্যদের তার কোন সুফল দেখতে পেলেন না৷ জীবনদায়ী ওষুদের দাম বেড়েই চলেছে৷ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আকাশছোঁয়া৷ ব্যাঙ্কের সুদের হার ও ভর্তুকী মাসে মাসে কমছে তাহলে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় সেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাগান্ধী ঘোষণা করেছিলেন---‘গরীবি হটাও’ কিন্তু দেখা গেল ধনী আরো ধনী হলো, গরীব হতভাগ্য মানুষেরা আরও গরীব হয়েই দিন কাটাতে লাগল৷ ‘গরীবী হটাও’ আবাজে কোনো কাজই হ’ল না৷

মোদীজী স্বচ্ছ ভারত গড়ার ডাক প্রথমেই দেন৷ বিজ্ঞাপনও প্রতিদিনই চলছে৷ কোটি কোটি মানুষ যদি দুবেলা খেতে না পায় তাদের নূ্যনতম প্রয়োজনটুকু যদি পূরণ না হয় তাহলে রাস্তায় যাদের বাস রাস্তায় যাদের ঘর শিক্ষার আলো যারা পায় না, রোগে ওষুধ যাদের নেই, পরণে কাপড় যাদের নেই, রুজি রোজগারের দিশা যাদের অজানা তারা কীভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে৷ সংবাদে প্রকাশ উত্তর বাঙলার কোথাও কোথাও গরীবদের কাছ থেকে প্রায় ৯৫০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বাড়ীতে পায়খানা করে দেওয়ার জন্যে৷ কিন্তু অদ্যাবধি কিছুই করা হয়নি৷ এ কাজগুলি জরুরী ভিত্তিতে পঞ্চায়েত, মিউনিসিপ্যালিটিগুলিতে সরকারী প্রচেষ্টায় করে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে৷ রেশনিং ব্যবস্থাকে সুষ্ঠুভাবে সারা ভারতে চালু করতে হবে৷ আটটি জিনিস রেশনে দেবার কথা হয়, কিন্তু তার অধিকাংশই পাওয়া যায় না৷ রেশনের পরিমাণ ও গুণগত মানও নিকৃষ্ট৷ অনেকের রেশন কার্ডও অদ্যাবধি হয়নি৷ যেটি অতীতে অনেক ভালো ছিল৷ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা দরকার৷ বেকার সমস্যা দূরীকরণটা আবশ্যিক৷ শিক্ষায় মানবিকতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে৷ অত্যন্ত দুঃখের কথা রাজনৈতিক দলগুলি ভোটের লড়াইয়ে সাম্প্রদায়িকতারই সুড়সুড়ি দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে থাকে৷

গণতন্ত্রে নারী পুরুষের পরিচয় হবে মানুষ জাত-পাতের চুলচেরা বিচারটাতে মানুষের মানবিক মূল্যবোধ হ্রাস পায় যেটা এদেশ থেকে কমার পরিবর্তে বেড়েই চলেছে৷ সকল মানুষের একটি জাত সেটি হলো মানুষ৷ সকলে সেই একই ঈশ্বরের সন্তান৷ এটাকে ক্ষুদ্র স্বার্থেই পদে পদে অস্বীকার করা হয়৷ নূতন ভারত গড়ার আবাজটি যেন রাজনৈতিক আবাজ না হয়৷ এর জন্যে মহান সমাজ সংস্কারক ও মহান আধ্যাত্মিক পুরুষ  শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার ওরফে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুধু ভারতে নয় সারা বিশ্বের তথা জীবজগতের কল্যাণে যে সামাজিক অর্থনৈতিক আধ্যাত্মিক পথ নিদের্শনা দিয়েছেন, সেইপথ অনুসরন করে যদি সবাই মিলিতভাবে কর্মযোগ্যে ব্রতী হন তাহলে সমগ্র বিশ্বে সর্র্বত্মক কল্যাণ সাধিত হবে৷ তাতে একদিকে যেমন দারিদ্র ও বেকার সমস্যাসহ যাবতীয় অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে তার সঙ্গে সঙ্গে সমাজের অন্যান্য সমস্ত সমস্যারও সুরাহা হবে৷