দার্জিলিংয়ে গোর্খাল্যাণ্ডের দাবীতে বিমল গুরুংয়ের আন্দোলনের পেছনে চীনা মদত রয়েছে বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের দৃঢ় অনুমান৷ চীন গোপনে গোপনে নানা ভাবে গুরুংদের সাহায্য করছে৷ কিছুদিন পূর্বে খবরে প্রকাশ পেয়েছিল ঘোরাপথে চীনা অস্ত্র আমদানী করতে গিয়ে গোর্খাল্যাণ্ড পার্সোন্যাল (জি.এল.পি) ও এন সি সি এন-এর দু’জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে৷ ভারতের ওপর চীনের লুব্ধ দৃষ্টি অনেক আগে থেকেই৷ ভারতের গোয়েন্দাদের এক রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, নেপাল ও ভুটানের সীমান্তবর্তী ভারতীয় ভূখণ্ডের ধর্মস্থানগুলিতে চীন ঘাঁটি গাড়ছে৷ বেশ কিছু বৌদ্ধ গুম্ফায় চীনাদের সক্রিয়তা বাড়ছে ও এগুলির মাধ্যমে চরবৃত্তি চালাচ্ছে৷ এও অভিযোগ ভারতের সীমান্তবর্তী নেপালে ঝাঁপা, ইলম, পঞ্চথর জেলার চীনের মদতে বেশ কয়েকটি এফ.এম. রেডিও ষ্টেশন চালানো হচ্ছে৷ তাতে দিবারাত্র ভারত বিরোধী প্রচার চলছে৷ আশপাশের গ্রামে ভারতীয়দের মধ্যে ছোট রেডিও বিতরণ করা হচ্ছে৷ সীমান্তবর্তী ভারতীয় গ্রামগুলিতে চীনা ভাষাও শেখানো হচ্ছে৷
জানা গেছে উত্তর সিকিমে ‘ফিঙ্গারটিপ’ অঞ্চলটি চীন এখনও তাদের বলে দাবী করে৷ এটা নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে মাঝে মাঝে সংঘর্ষ বাধে৷ সিকিম, তিববত সীমান্তের চুম্বী উপত্যকায় চীন প্রচুর চীনা সেনা মোতায়েন করেছে৷