গত ৩০শে জুলাই জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর (এন.আর.সি) চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ করার পর দেখা গেল ৩.২৯ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে ২.৮৯ কোটির নাম খসড়ায় জায়গা পেল, কিন্তু প্রায় ৪০.০৭ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ল৷ বাদ পড়ার মধ্যে অধিকাংশই বাঙালী৷
আবার আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে, বলা হলেও এটা পরিষ্কার এক বিশাল সংখ্যক বাঙালীদের জীবনে নেমে আসবে শূচীভেদ্য অন্ধকার৷
এই পরিপ্রেক্ষিতে পঃবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে যথার্থই বলেছেন, অসমে পরিকল্পিতভাবেই বাঙালী খেদাও চলছে৷ মুখ্যমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, আমি প্রমাণ হাতে নিয়ে বলছি, বৈধ নথিপত্র ও পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও বহু মানুষকে এন.আর.সি থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, অনন্ত চৌধুরী নামে একজনকার আধারকার্ড ও পাশপোর্ট দুই-ই আছে৷ চন্দন দত্তের ভোটার কার্ডও আছে৷ কিন্তু সেগুলো গ্রাহ্য করা হয়নি৷ তিনি বলেন প্রায় ত্রিশ বছর ধরে নাটক করে ৮৬, ৮৪৯ জনকে ‘বিদেশী’ বলে চিহ্ণিত করেছে৷ কিন্তু এরা অনেকেই চার/পাঁচ পুরুষ ধরে ওখানে আছে৷
তিনি বলেন ওরা ‘ডিভাইড এণ্ড রুল’ পলিশি নিয়ে এইসব করছে নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে৷
মমতার মন্তব্য বাঙালী খেদিয়ে অসমে কেন্দ্র গৃহযুদ্ধ বাধাচ্ছে৷