দার্জিলিঙের বিছিন্নতাকামী শক্তির বিরুদ্ধে সমস্ত বাঙালীরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলুন

লেখক
স্নেহময় দত্ত

পাহাড় জ্বলছে৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে বাংলার ভাষার পঠন-পাঠন্ বাধ্যতামূলক ঘোষণা করার পর থেকেই পাহাড়ের বিমল গুরুং এ্যান্ড কোং গর্জে ওঠেছে বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে৷ শুধু বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে নয়, তাঁদের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে দার্জিলিংকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করে গোর্র্খল্যান্ড গড়ে তোলা৷  বাংলা ভাষায় পঠন একটা অছিলামাত্র, আসলে দার্জিলিংএর বুকে নিজের একাধিপত্য বজায় রাখতে গোর্র্খল্যান্ড আন্দোলনকে পুনরায়  সামনে নিয়ে আসার লক্ষ্য  নিয়েই বিমল গুরুং দার্জিলিং-এর বুকে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে তুলেছে৷ কারণ সাম্প্রতিক পুরনির্র্বচনের পর থেকে বিমল গুরুং ভালই বুঝে গিয়েছেন যে পাহাড়ের বুকে তাঁর সুপ্রিমেসি ক্রমশঃ ক্ষীয়মান৷

অনেক পরিকল্পনামাফিকই বর্তমান এই আন্দোলন৷  কারণ আন্দোলন শুরুর আগে গুরুং এ্যান্ড কোং কোলকাতায়  বিজেপির রাজ্য দফতরে এসে রাজ্য সভাপতির সঙ্গে একদফা বৈঠক করে গেছেন৷ বিজেপি বর্তমানে কেন্দ্রের শাসকদল৷ দার্জিলিং এ যে দলের কোন সংঘটন নেইদার্জিলিং এ সেই দল থেকে দু দু বার সাংসদ নির্র্বচন হওয়া কাদের সমর্থনে সেকথা রাজনীতি সচেতন মানুষ মাত্রই বোঝেন৷ সুতরাং সেই বিজেপি যে মোর্র্চর মন রেখে কথা বলবে সে কথা বলাই বাহুল্যমাত্র৷  পশ্চিমবঙ্গ সংক্রান্ত ভারপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় আন্দোলন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বলে বসলেন, গোর্র্খল্যান্ড নিয়ে আলোচনা করা উচিত৷ বললেন না দার্জিলিং, ভাবটা এমনই যেন দার্জিলিং আর গোর্র্খল্যান্ড সমার্থক৷ রাজ্য সরকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপি যোগ দিল না৷ অথচ মোর্র্চর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপি যোগ দিল৷

যে যাই বলুক, দার্জিলিং পশ্চিমবঙ্গের অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ--- একটি জেলা৷ এই জেলায় মূল অধিবাসী লেপচা -ভুটিয়ারা আদি বাঙালী কোচসম্প্রদায়েরই অংশ বিশেষ৷ এরা ছাড়া ও অন্যান্য বাঙালীরা ও এখানে বহুকাল ধরে বসবাস করে আসছে৷ নেপালি বা গোর্র্খরা পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল থেকে এসেছে৷ ২০০ বছর আগে রুজি রোজগারের জন্যে নেপাল থেকে গোর্র্খদের আগমন৷  ১৮৭২ সালের জনগনণা রিপোর্টে গোর্র্খদের রেকর্ডভুক্তই করা হয় নি, কারণ সংখ্যায় তারা ছিল একেবারেই নগণ্য৷ আর গোর্র্খরা যেহেতু বহিরাগত ও ভারতের কোন উপজাতি নয় সেই কারণে ভারতীয় সংবিধানে উপজাতিভুক্ত এলাকার  জন্যে  যে বিশেষ ব্যবস্থাদি বলা আছে, গোর্র্খদের ক্ষেত্রে কোনভাবেই তা প্রযোজ্য নয়৷ তথাপি কিছু রাজনৈতিক দলের মদতে ও উস্কানিতে গোর্র্খল্যান্ড আন্দোলনকে তীব্র করে তোলা হয়েছিল  ও যার ফলশ্রুতিতে ১৯৮৮ সালের ২২ আগষ্ট কেন্দ্রের তৎকালীন কংগ্রেস সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের সি.পি.এম সরকারের ব্যবস্থাপনায় গঠিত হল দার্জিলিং গোর্র্খ পার্বত্য পরিষদ৷ পরবর্তীকালে তার বিলুপ্তি ঘটিয়ে ২০১১ সালের ১৮ই জুলাই  রাজ্যের পরিবর্তিত তূণমূল সরকারের আমলে গঠিত হল জিটিএ বা গোর্র্খ টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন৷  আশ্চর্যের বিষয় হল দুটি ক্ষেত্রেই গোর্র্খদের দিকটাই দেখা হল ও গোর্র্খ জাতিসত্তাকেই প্রাধান্য দেওয়া হল৷ ২০১১ সালে মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে জিটিএ চুক্তির ক্ষেত্রে তো স্পষ্টভাবে বলা হল যে ‘keeping on record the demand of Gorkha Janamukti Morcha for a seperate state of Gorkhaland’’ অর্র্থৎ সরষের মধ্যেই ভূত রয়ে গেল৷ গোর্র্খল্যাণ্ডের দাবী পরিত্যক্ত হল না বরং তাকে মান্যতা দিয়েই রাখা হল৷ গোর্র্খ জাতিসত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া হল দুটি ক্ষেত্রেই কিন্তু পাহাড়ের মূল যে বাসিন্দা সেই লেপচা,ভুটিয়া--- যারা আদি বাঙালী কোচ সম্প্রদায়ভুক্ত জনগোষ্ঠী তাদের দিকটা চিন্তার মধ্যেই আনা হল না৷ আদি বাসিন্দা হয়েও এই লেপচা, ভুটিয়ারা পাহাড়ে বঞ্চনার শিকার হচ্ছে--- তারাই যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক!

দেরীতে হলেও রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সম্ভবতঃ কিছুটা বুঝেছেন৷ আর সেই কারণে লেপচা, ভুটিয়াদের উন্নয়ণের জন্যেও পদক্ষেপ নিয়েছেন৷ জিটিএ প্রদত্ত টাকার অডিটিং প্রক্রিয়াসহ অন্যান্য নানা কারণ, তার সঙ্গে সঙ্গে লেপচা-ভুটিয়াদের জন্যে উন্নয়ণ পদক্ষেপ ও গুরুং এ্যান্ড কোং-এর গাত্রদাহের অন্যতম একটা কারণ৷

দার্জিলিং অশান্ত মানে উত্তরবঙ্গও অশান্ত--- আর  সেই অশান্তির আগুন পশ্চিমবঙ্গের মূল ভূখন্ডে যে দাবানলের মতো ধেয়ে আসবে না তা কে বলতে পারে? পাহাড়ে গোর্র্খদের আন্দোলন দার্জিলিংকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করার আন্দোলন---বাঙলাকে আরো একবার ভাগ করার চক্রান্ত৷ দার্জিলিং যদি বিচ্ছিন্ন হয়, তাহলে ক্ষতি শুধু পশ্চিমবঙ্গেরই নয়,বিপদ ভারতেরও ৷ সূদূর প্রসারী চিন্তাভাবনা নিয়েই এই আন্দোলন৷ দার্জিলিং এর অবস্থান একদিকে নেপাল রাষ্ট্রআর এক দিকে চীন সীমান্ত সংলগ্ণ সিকিম রাজ্য৷ সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং তো ইতোমধ্যেই গোর্র্খল্যান্ডের পক্ষে সওয়াল করে দিয়েছেন৷  উল্লেখ করা যেতে পারে সুভাষ ঘিসিং-এর নেতৃত্বে আটের দশকে যখন গোর্র্খ আন্দোলন তুঙ্গে, সে সময়ে সিকিমের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরবাহাদূর ভান্ডারী পৃথক রাজ্যের দাবীকে সমর্থন জানিয়েছিলেন৷ সিকিমের বর্তমান  ক্ষমতাসীন দল সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (সি ডি এফ)-ও গোর্র্খ জনমুক্তি মোর্র্চর প্রয়াসকে সমর্থন জানিয়েছেন৷ সিকিমে গড়ে উঠেছে ফ্রেন্ডস ফর গোর্র্খল্যান্ডনামের একটি সংঘটন, যারা গোর্র্খল্যান্ড আন্দোলনের সমর্থনে সক্রিয়ভাবে পথে নেমেছে৷ প্রসঙ্গতঃ আরও একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন যে,  ি,সকিমসহ উত্তরপূর্ব ভারতে  বেশ কিছু জঙ্গী সংঘটন রয়েছে, যাদের দার্জিলিং এর প্রবেশ দ্বার শিলিগুড়ি, যা পূর্বভারতের  ভূখন্ড বলে মানতেই চায় না চীন৷ প্রায়ই তারা নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘন করে অরুণাচলে অনুপ্রবেশ করে সীমান্তকে অশান্ত করে তোলে৷ দার্জিলিং অশান্ত থাকলে চীনের সুবিধা৷ আর পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে তো একেবারে পোয়াবারো৷ আর চীনের সাম্প্রদায়িক  কার্যকলাপ ও ভারতের পক্ষে যথেষ্ট উদ্বেগের৷ ভারতীয় তীর্থ যাত্রীদের সিকিমের নাথুলাপাশ হয়ে কৈলাশ-মানসসরোবর পূণ্যতীর্থে যাত্রা আটকে দিয়েছে চীন৷ সিকিম সীমান্তে ভারতীয় ভূখন্ডে  ঢুকে সেনাবাহিনীর দুটি বাঙ্কার ধবংস করেছে চীনা পিপলস আর্মি৷ চীন-ভুটান-ভারত সীমান্তে ডোংলাং এলাকায় অবৈধভাবে রাস্তা নির্র্মণে উদ্যত চীন৷ সিকিম সীমান্তে নানাভাবে উত্তেজনার সৃষ্টি করে চলেছে চীন৷ আরও যা সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে তা হল, চীন থেকে সিকিম হয়ে পাহাড়ের আন্দোলনকারীদের হাতে অস্ত্র আসছে৷ সবদিক খতিয়ে দেখলে পাহাড়ে অশান্তির আগুন সৃষ্টির পিছনে বিদেশি শক্তির  মদত থাকার সম্ভাবনাকে কোনমতেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না, যা ভারতের নিরাপত্তা, অখন্ডতার পক্ষে খুবই বিপজ্জনক৷

দার্জিলিং এর আন্দোলন বাংলাকে ভাঙ্গার আন্দোলন গভীর ষড়যন্ত্র৷ বাংলাকে ভাঙার চক্রান্ত নূতন কিছু নয়৷ ১৯০৫ সালে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকার বাংলাকে ভাঙতে উদ্যত হয়েছিল৷ বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রবল আন্দোলনের ফলে শেষ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গ রোধ হলেও, বাংলার খনিজ ও বনজ সম্পদে  সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলি বাংলা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়৷ এরপর সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্বের ভিত্তিতে দেশীয় ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক নেতাদের সহায়তায় ১৯৪৭ সালে পাকাপাকিভাবে পূর্ব ও পশ্চিম দুভাগে বাংলা ভাঙ্গা হয়েছে ৷ এ বছর বাংলা ভাগের ৭০ বছর৷ বাংলা ভাগের ৭০ বছরে পুনরায় শুরু হয়েছে বাংলভাগের সেইপুরাতন ষড়যন্ত্র৷ দার্জিলিং আন্দোলনের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন পাহাড়কে অশান্ত করে তোলা হয়েছে৷ উত্তরবঙ্গের আর এক প্রান্তে চলছে কামতাপুরি আন্দোলন৷ আবার দক্ষিণবঙ্গে মেদিনীপুর-বাঁকুড়া-পুরুলিয়া জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার বাংলার আদিবাসী সাঁওতালদের ক্ষেপিয়ে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে৷ সব মিলিয়ে বাংলায় সৃষ্টি হয়েছে গভীর সঙ্কট, যা ভারতের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট উদ্বেগের৷

এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে বাংলার সব রাজনৈতিক দলের উচিত রাজনীতির উধের্ব উঠে একমত হয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা৷ দলগুলির টিকি, তা সে  গুজরাটের নেতৃদ্বয়ের  কাছে ভারতের কোন বিশেষ পরিবারে অথবা রাশিয়া,চীন সেখানেই বাঁধা থাকুক না কেন, বাংলার সকলকে একটা কথা মনে রাখতেই হবে সে তাঁরা বাঙালী--- আর চরমভাবে বিপন্ন বাংলা মা৷ মায়ের বিপদে ভেদাভেদ ভূলে হাতে হাত মিলিয়েই চলা উচিত৷ রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বিরোধিতার সুযোগ অনেক পাওয়া যাবে ৷ কিন্তু বাংলা পুনরায় বিচ্ছিন্ন হলে আর কিছু করার থাকবে না৷  মনে রাখতে হবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্য হলে সেখানকার সব সমস্যার সমাধান সম্ভবপর হয় না৷  যারা ক্ষুদ্র রাজ্যের পক্ষে, যারা গোর্র্খদের সম্বল করে দলে ভিত গড়তে উদ্যত, তাদের মনে রাখতে হবে দার্জিলিং এর মত ভৌগলিক সীমানা নিয়ে কোন রাজ্য চলতে পারে না৷ তাতে দার্জিলিং বাসীর কোনও সমস্যারই সমাধান যেমন সম্ভব নয়, তেমনি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির ক্ষেত্রেও সঙ্কট অনিবার্য শুধু কেন্দ্রের শাসকদল কেন, বিরোধী ডান-বাম সকলেই রাজনীতির স্বার্থে গোর্র্খদের  বিভিন্ন সময় উস্কানি দিয়ে এসেছে৷  আজ সময় এসেছে বাঙালী জাতিসত্তা জাগরণের, যা কোন সময়ই সেভাবে জাগরিত হয় নি৷ বাংলা ভাগ কে রুখতে চেষ্টা করেছিলেন শরৎচন্দ্র বসু--- সে সময় সুযোগ ছিল বাঙালী জাতিসত্তার জাগরণের৷ কিন্তু দ্বিজাতিতত্ত্বের  অনুগামীরা এতই প্রবল ছিল যে শরৎচন্দ্র বসুর আবেদন কাজে দেয়নি৷ আজকের পরিস্থিতি বাঙালী জাতিসত্তা জাগরণের যথেষ্ট সুযোগ এনে দিয়েছে৷ পাহাড়ে যেমন বহিরাগতরা বিচ্ছিন্নতার আন্দোলন শুরু করেছে৷ তেমনি পশ্চিমবঙ্গের বাকী অংশে  গড়ে তুলতে হবে তীব্র বিচিছন্নতাবাদ বিরোধী আন্দোলন৷ দলমত নির্বিশেষে সকলের একটাই আন্দোলন হওয়া  উচিত  দার্জিলিংকে বাংলা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে দেব না--- বাংলা ভাগ হতে দেব না৷ মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলকে পৃথক করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে শিবসেনার সঙ্গে মহারাষ্ট্রের  অন্যদলগুলি যদি সহমত হতে পারে, কর্র্ণটকের মারাঠীভাষী অঞ্চল বেলগাঁও-কে কর্র্ণটক থেকে বিচ্ছিন্ন করার বিরুদ্ধে যদি কর্র্ণটকের  জনগণ ও সব রাজনৈতিক দল এক মনোভাব পোষন করে, তাহলে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলিই বা দার্জিলিংকে বাংলা থেকে ভাগ করার  চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আপত্তি কোথায়? আর বিশেষ করে এক্ষেত্রে তো শুধু বাংলার স্বার্থই জড়িত নয় , ভারতের নিরাপত্তা, অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বের  প্রশ্ণও জড়িত৷

আজ বিপন্ন বাংলা --- বিপন্ন ভারত৷ সুতরাং রাজনীতির কুটকচালি নয়, কোনরকম দ্বন্দ্ব-সংঘাত নয়৷ মিলিতভাবেই এ বিপদ  রুখতে হবে৷ কেবলমাত্র বাংলার জন্যেই নয়, সমগ্র দেশের স্বার্থে--- ভারতের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে  রক্ষা করার স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক সচেতন প্রতিটি  বাঙালীকে রুখে দাঁড়াতে হবে দার্জিলিং পাহাড়কে বিচ্ছিন্ন করার তথা আরও একবার বাংলাভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে৷ মনে রাখতে হবে বাঙালীর সংগ্রামী মানসিকতার কাছে, বৈপ্লবিক সত্তার কাছে বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তি ও বাংলার স্বার্থ বিরোধী শক্তি শেষ পর্যন্ত মাথা নত করতে বাধ্য হবে৷