আজ সারা দেশ জুড়ে কৃষিবিক্ষোভ দেখা দিচ্ছে৷ যা অতীতে বহু বছর দেখা যায়নি৷ মহারাষ্ট্রে কর্ষকরা প্রথম আন্দোলন শুরু করে৷ তারা দুধ রাস্তায় ফেলে দিয়ে আন্দোলনের সূচনা করে৷ মহারাষ্ট্রে হলুদ চাষবাদের সহায়ক মূল্য দশ ভাগের একভাগ হয়ে যায়৷ মন্দসৌরে পুলিশের গুলিতে আন্দোলনকারী ৫ জন কর্ষকের মৃত্যুতে এই আন্দোলন সর্বত্র দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে৷
এই আন্দোলন ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, কর্র্ণটক প্রভৃতি রাজ্যে, কর্ষকদের দাবী শুরুতেছিল কৃষিপণ্যের সহায়ক মূল্য ও কৃষিঋণ মুকুব৷ আন্দোলন যত ছড়াচ্ছে দাবীও তত বাড়ছে৷
কর্ষকদের ফসল উৎপাদন করতে যে খরচ হয়, ওই ফসল বিক্রয় করে সেই খরচই উঠেছে না৷ লাভ তো পরের কথা৷ ফলে চাষীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে৷ তার ওপর সার, সেচের জল, কৃষি-যন্ত্রপাতি এসব থেকে ভরতুকি হ্রাস করার ফলে কৃষি উৎপাদনের খরচও বেড়ে চলেছে৷ ফলে ঋণের বোঝা বাড়ছে৷ ফলত: হতাশা ও আত্মহত্যা৷
১৯৯১ সাল থেকে আমাদের দেশে তথাকথিত আর্থিক সংস্কার শুরু হয়েছে৷ আর তখন থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ কর্ষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে৷
ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীর বেশিরভাগ ঋণমুকুব অধিকাংশ গরীব চাষীর মুখে হাসি ফোটাতে পারছে না৷
এক পরিসংখ্যানে জানা যাচ্ছে গড়ে বছরে ৯০ লক্ষ মানুষ হতাশায় কৃষিকাজ বন্ধ করে দিচ্ছে৷ কিন্তু বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও তো নেই৷ দেশের এই দরিদ্র মানুষদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখন চরম সংকটে৷