গত ৮ ও ৯ই এপ্রিল ওড়িশার ময়ূরভঞ্জে অবস্থিত মাষ্টার ইয়ূনিট দিব্যানন্দনগরে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্’ সিদ্ধমন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অখণ্ড কীর্ত্তন ও সদাব্রত অনুষ্ঠানে আচার্য দিব্যরূপানন্দ অবধূত, আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত, আচার্য মহীদেবানন্দ অবধূত, আচার্য ব্রতনিষ্ঠানন্দ অবধূত, ব্রহ্মচারিণী আনন্দ উন্মেষা আচার্যা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷ ৯ই এপ্রিল আনন্দমার্গের ইতিহাসে ‘দিব্যানন্দ দিবস’ হিসেবে চিহ্ণিত৷ কারণ, এই দিন পটনা বাঁকীপুর সেন্ট্রাল জেলে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করে তাঁর ওপর নানানভাবে নির্যাতন চলেছিল৷ তাঁকে হত্যা করার জন্যে জেলের ভেতরেই ওষুধের নাম করে তাঁর ওপর বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল৷ এসবের প্রতিবাদে ও মার্গগুরুদেবের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে আচার্য দিব্যানন্দ অবধূত পূর্ব ঘোষণা মত ওই জেলাখানার সামনেই ১৯৭৩ সালের ৯ই এপ্রিল নিজের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন৷ গুরুর জন্যে দিব্যানন্দজীর এই অবিস্মরণীয় আত্মত্যাগের জন্যে সবাই তাঁর উদ্দেশ্যে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন৷
এদিনকার কর্মসূচীতে বস্ত্র বিতরণ ও চিকিৎসা শিবিরেরও ব্যবস্থা ছিল৷ এই এলাকার দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে ধুতি ও শাড়ী বিতরণ করা হয়৷ তাছাড়া দুঃস্থ রোগীদের বিনাব্যয়ে চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়৷ ডাঃ যুধিষ্ঠির মাহাত, ডাঃ সুশীল মাহত প্রমুখ চিকিৎসকরা রোগীদের বিনা পারিশ্রমিকে চিকিৎসা করেন ও তাদের বিনা মূল্যে ওষুধ দেন৷ বিশেষ করে বনমালী নায়েক ও বিনোদ মাহাতর অক্লান্ত চেষ্টায় অনুষ্ঠানটি সাফল্যমণ্ডিত হয়৷
সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়