দোলযাত্রা উৎসব

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

আনন্দমার্গ আশ্রমে 

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ গত ১লা মার্চ আনন্দমার্গের কলকাতাস্থিত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে  মহাসমারোহে দোলযাত্রা উৎসব পালিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে বিকেল ৩টে থেকে  ৬টা পর্যন্ত অখন্ডকীর্ত্তনের আয়োজন  করা হয়৷ অখন্ডকীর্ত্তনের পর মিলিত সাধনা ও মিলিত  গুরুপূজা হয়৷ এরপর আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত  ‘আনন্দবচনামৃতম্’ পুস্তক থেকে দোলযাত্রা উৎসব সম্পর্কিত  মার্গগুরুদেবের প্রবচনটি পাঠ করেন ও তা ব্যাখ্যা করেন৷ তিনি বলেন, শীতকালের শেষে বসন্তের আগমনে  মহানন্দে  বসন্তোৎসব  পালন  প্রাথমিকভাবে  সামাজিক  উৎসব  হিসেবেই  আর্যরা এদেশে  প্রচলন করেছিলেন৷  এই বসন্তোৎসবই ক্ষেত্রবিশেষে ফাগুয়া ও হোলি উৎসবরূপে পরিচিত হয়৷ চৈতন্যদেব  এরই অনুকরণে এই উৎসবকে  আধ্যাত্মিকতায়  উন্নীত করেন৷ তিনি  এর নাম দেন  ‘দোলযাত্রা’ উৎসব৷  দোলযাত্রা উৎসবের ভাবটা হ’ল ‘যে দোলায়  পরমপুরুষ (কৃষ্ণ) দুলে চলেছেন, সেই দোলায়  ভক্তও (রাধা) দুলে চলছে অর্র্থৎ অনুতরঙ্গকে ভূমা তরঙ্গের সঙ্গে সমান্তরাল করার প্রয়াস  চালিয়ে যাচেছ৷

সহজ কথায় বসন্তোৎসবের  রঙের খেলা---আধ্যাত্মিকতায় উন্নীত হয়ে হ’ল---আমার রঙ পরমপুরুষকে (কৃষ্ণকে)  দিয়ে পরমপুরুষের রঙে আমি  আমাকে রাঙিয়ে তুলব, সেই রঙেই আমি সবাইকে রাঙিয়ে তুলব৷  স্বাধ্যায়ের পর আনন্দমার্গীরা  মার্গগুরুদেবের প্রতিকৃতির চরণে আবীর দেন৷ পরে নিজেরাও আবীর খেললেন৷ ছোটরা  বড়োদের পায়ে আবীর দেন ও বড়রা ছোটোদের মাথায় মুখে আবীর দেন৷

আবীর খেলার পর যথারীতি প্রসাদ হিসেবে লুচি  মালপোয়া দিয়ে সবাইকে আপ্যায়িত করা হয়৷

কাঁকিনাড়া ঃ কাঁকিনাড়া থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানান, এখানে আনন্দমার্গীরা আশ্রমে সমবেত হয়ে অখণ্ড কীর্ত্তনে যোগদেন৷ এর পর মিলিত সাধনা, গুরুপূজা ও মার্গগুরুদেবের প্রতিকৃতির চরণে আবির দানের পর আবির খেলা হয়  ও সবশেষে সবাই উপস্থিত সকলে মিলিতভাবে প্রসাদ গ্রহণ করেন৷