কর্ণাটকে সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হল ১৫ই মে৷ মোট ২২৪ টি আসনের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে ২২২ টি আসনে৷ ২টি আসনে নির্বাচন স্থগিত আছে৷ নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর দেখা পেল বিজেপি পেয়েছে ১০৪, কংগ্রেস ৭৮, জেডি (এস) ৩৭, বি এস পি ১, অন্যান্য ২৷
বিজেপির প্রাপ্ত আসন সংখ্যা সর্বাধিক হলেও জয়ের জন্যে দরকার ১১২ টি আসন৷ বিজেপি এই ম্যাজিক সংখ্যায় পৌঁছাতে পারিনি৷ এদিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সাথে সাথেই ইয়ূপি -এর চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী আসরে নেমে পড়লেন৷ তিনি জিডি (এস)-এর সর্বভারতীয় সভাপতি এইচ-ডি দেবেগৌড়া ফোন করে জানান, কংগ্রেস তাঁর ছেলে কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রীত্বের পদ দিতে রাজী যদি জেডি (এস) সরকার তৈরী করতে রাজী থাকে, কংগ্রেস বাইরে থেকে সমর্থন জানাবে৷ দেবেগৌড়া জানান, বাইরে থেকে নয়, কংগ্রেসকে সরকার থাকতে হবে ৷ কংগ্রেস রাজী হয়ে যায়৷ এই অবস্থায় কংগ্রেস ও জেডি (এস)-এক মোট আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৫ টি৷ অর্থাৎ ম্যাজিক সংখ্যার ওপরে৷ স্বাভাবিকভাবে তারা রাজ্যপালের কাছে সরকার গড়ার দাবী জানায়৷
অপরপক্ষে রাজ্যপাল কিন্তু সর্বাধিক আসনের অধিকারী পার্টি এই যুক্তিতে বিজেপিকেই সরকার গড়তে আমন্ত্রণ জানায়৷ বিজেপি তৎক্ষণাৎ সুযোগ এই গ্রহণ করে ও সরকার গড়াতে সম্মতি জানায়৷
সেই অনুসারে রাজ্যপালের সম্মতি লাভ করে বিজেপি ১৭ইমে বৃহস্পতিবার সরকার গড়ার জন্যে শপথ গ্রহণ করে৷ বিজেপি’র পক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর দাবীদার এস ইয়েদুরাপ্পা শপথ গ্রহণ করেন৷ রাজ্যপাল তাঁর সরকারকে ১৫দিনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন৷
এবার শুরু হয়ে গেছে বিধায়ক কেনা বেচার রমরমা বাজার৷ জনতাদল (এস)-এর নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রিত্বের অন্যতম দাবীদার এইচ্ ডি কুমারস্বামী অভিযোগ করেছেন, বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিধায়ক পিছু ১০০ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছে৷ গোপনে তাদের বিধায়ক কেনার চেষ্টা চলছে৷