গত ১৭ই ২০১৮ মহারাষ্ট্রের অখ্যাত গ্রামাঞ্চলের পাঁচ আদিবাসী ছেলেমেয়ে এভারেষ্ট জয় করল৷ আসলে যুদ্ধ অত্যন্ত কঠিন ছিল সংখ্যায় ওরা ছিল পঞ্চাশ জন৷ সেখান থেকে নানা ধাপের কষ্ট-সহিষ্ণুতার পরীক্ষার মাধ্যমে ছাঁটাই হতে হতে শেষ দশজন নির্বাচিত হ’ল৷ এরপর ওই দল ভারতের পাঁচ জায়গায় গিয়ে ট্রেকিংয়ের ট্রেনিং নিল৷ তারপর একদিন বেস ক্যাম্প থেকে ওপরে ওঠা শুরু হ’ল৷ মাইনাস ঊনিশ ডিগ্রি সেণ্টিগ্রেড ঠাণ্ডার মধ্যে ওঠা-নামায় চল্লিশটি দিন-রাত দিতে হবে৷ এইভাবে সেই দশজন উঠতে উঠতে একসময় ৭৫০০ মিটার ওপরে এসে গেল৷ আট ভাগের সাত ভাগ এসে গেছে, আর মাত্র ১,৩৪৮ মিটার বাকী৷ এমন অবস্থায় ওদের মধ্যে পাঁচজন অসুস্থ হয়ে পড়ল৷ ওদের নীচে ফেরৎ যাওয়ার ব্যবস্থা করে অন্য পাঁচজন লক্ষ্যে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে রওনা দিল৷ চরৈবেতি, চরৈবেতি! হতাশা নয়, পেছনে তাকাবার প্রশ্ণই ওঠে না৷ এগিয়ে চলো! এগিয়ে চলো! তারপর ১৭ই মে ২০১৮ তারা শীর্ষে এসে হিমালয়কে ভুমিষ্ঠ প্রণাম জানাল৷ মহারাষ্ট্র সরকার অসুস্থ হয়ে ফিরে আসা প্রতিজনকে পুরস্কার হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা ও শীর্ষে পর্যন্ত পৌঁছনো প্রতি অভিযাত্রীদের প্রত্যেককে ২৫ লক্ষ টাকা করে দিলেন৷ এটা একটা ভাল খবর৷ আমরা চাইব ওই জেদী ছেলেমেয়ের দল তাদের সামর্থ্য, জ্ঞান, যুক্তি, বিবেক নিয়ে তাদের পছন্দের পেশায় নিপুণ হোক৷ সাথে সাথে সমাজে থাকা অসহায় মানুষ পশু-পাখী, গাছপালার যত্ন নিতে শিখুক৷ আর নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা গভীর শক্তি ও চেতনার সাথে এক হতে একাত্ম হতে শিখুক৷ মানব জীবন সার্থক হোক বাহিরে ও অন্তরে৷