এন আর সি-র আধিকারিক প্রতীক হাজেলা অসমের বাঙালীদের রাষ্ট্রহীন করার ষড়যন্ত্র করছে ---বাঙালী যৌথ সমন্বয় সমিতি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

নওগাঁ ঃ গত ২২ শে সেপ্টেম্বর বাঙালীদের ১৪টি জাতীয় সংঘটনের যৌথ মঞ্চ ‘বাঙালী যৌথ সমন্বয় সমিতি’র সভাপতি সুকুমার বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সরকার এখানে অভিযোগে করেছেন, অসমে স্থায়ীভাবে ৮০ লক্ষ বাঙালী হিন্দুর বাস৷ এর ৫০ শতাংশ অসমের আদি বাসিন্দা৷ বলা বাহুল্য, বাঙলারই বৃহদংশ ব্রিটিশরা অসমের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছিল৷ যেমন কাছাড়, নওগাঁ, গোয়ালপাড়া ইত্যাদি মূল বাঙলাভাষী এলাকা, বাঙলা থেকে কেটে অসমের সঙ্গে যোগ করা হয়েছিল৷ তাই এখানকার অধিবাসীদের বৈধ নাগরিকত্ব প্রশ্ণাতীত৷ অপর পক্ষে এর মধ্যে যে অপর ৫০ শতাংশ হিন্দু বাঙালী ওপার বাঙলা থেকে শরণার্থী হয়ে এসেছে, নেহেরু-লিয়াবত চুক্তি ও ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনুসারে তারা বৈধভাবে ভারতীয় নাগরিকে পরিণত হয়েছেন৷ তাদের শরণার্থী প্রমাণপত্র, শরণার্থীর ভিসা, ভোটার তালিকা ইত্যাদি ৫ ধরণের নথি বাতিল করার আর্জি আদালতে জানিয়ে আদালত থেকে নির্দেশ  আনিয়ে বাঙালী হিন্দুদের রাষ্ট্রহীন করা গভীর ষড়যন্ত্র চলছে৷

এছাড়াও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অসমের ওই উগ্র জাতিবাদী গোষ্ঠীর চোখে হিন্দু মুসলীম নির্বিশেষে সমস্ত বাঙলীরাই অসমে অবাঞ্ছিত৷ তাই তারা নূতন এন.আর.সি তৈরীর নামে অসমে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী হিন্দু বাঙালীদের সঙ্গে সঙ্গে মুসলীম বাঙালীদেরও নাগরিকত্ব কেড়ে নেবার চক্রান্ত করেছে৷

এই পরিস্থিতিতে সমস্ত বাঙালীদেরই এই অন্যায়ের প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে৷

বাঙালী যৌথ সমন্বয় সমিতি তাই সমস্ত বাঙালীদের ঐক্যবদ্ধ মহাসংগ্রামের ডাক দিয়েছে৷

ষড়যন্ত্রকারী নোতুন নাগরিকপঞ্জীকরণের্ আধিকারিক প্রতীক হাজেলার স্বৈরাচারী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে রাষ্ট্রসংঘেও অভিযোগ জানানো হবে বলে ‘বাঙালী যৌথ সমন্বয় সমিতি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷