গত ২৬ই জুলাই দার্জিলিংয়ে বাঙলাভাগের চক্রান্তে গোর্র্খল্যান্ড আন্দোলনের প্রতিবাদে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে কলকাতার যাদবপুর থেকে দেশপ্রিয়পার্ক পর্যন্ত এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়৷ মিছিলে শ্লোগান ওঠে ‘প্রাণ দেব কিন্তু বাঙলা ভাঙতে দেব না’৷ মিছিলের দরুণ দক্ষিণ কলকাতায় যান চলাচল ব্যাহত হয়৷
মিছিলটি দেশপ্রিয় পার্কে পৌঁছলে এখানে এক সভায় আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব বকুলচন্দ্র রায় ও সহসচিব তারাপদ বিশ্বাস বলেন, গোর্র্খরা বিদেশী৷ নেপাল থেকে জীবিকা অর্জনের উদ্দেশ্যে দার্জিলিংয়ে এসে দার্জিলিংয়ে জীবিকা অর্জনের জন্যে বসবাসের সুযোগ পেয়ে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করে বাঙলার বুকে ছুরি মেরে বাঙলা ভাগের চক্রান্ত করছে৷ আসলে এর পেছনে নেপাল ও চীনের হাত আছে৷ বিদেশী শক্তির মদতে এরা দেশদ্রোহী কার্যকলাপে লিপ্ত৷ ক্ষমতালোভী গোর্র্খ জনমুক্তি মোর্র্চ একটানা বনধের নামে দার্জিলিংয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার ফলে এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত৷ সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচন্ড খাদ্যভাব, দলে দলে লোক সমতলে চলে আসছে৷ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার দুয়ে মিলে এব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিমল গুরুং সহ আন্দোলনের নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফ্তার করতে হবে ও দার্জিলিংয়ে সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে৷
আমরা বাঙালীর নেতারা বাঙলা ভাগের এই চক্রান্তের প্রতিবাদে সমস্ত বাঙালীদের গর্জে ওঠার আহ্বান জানান৷
২৮শে জুলাই উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়৷ পোষ্টার, ব্যানার সহ সুসজ্জিত মিছিলটি বিধান সরণী হয়ে কলেজ স্কোয়ারে এসে শেষ হয়৷ মিছিলে শ্লোগান ওঠে---‘প্রাণ দেবো কিন্তু বাঙলা ভাগ হতে দেবো না৷’ ‘জয় বাঙলা জয় বাঙালী’, ‘মদন তামাং হত্যাকারী জাতীয় সম্পদ ধবংসকারী বিমল গুরুংকে অবিলম্বে গ্রেফ্তার করতে হবে’ ইত্যাদি৷ মিছিলের সমর্থনে পথ চলতি মানুষদের মধ্যে ‘আমরা বাঙালী’র প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়৷ এই মিছিলকে ঘিরে পথ চলতি মানুষের উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করার মত ছিল৷ মিছিলের ফলে স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হয়৷
মিছিল শেষে পথসভায় বক্তব্য রাখেন ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় সচিব বকুল চন্দ্র রায়, সহ সচিব তারাপদ বিশ্বাস, জয়ন্ত দাশ প্রমুখ৷ বক্তারা দার্জিলিংয়ে গোর্খাল্যাণ্ড আন্দোলনের নামে বাঙলাকে দ্বিখণ্ডিত করার যে চক্রান্ত চলছে তার তীব্র প্রতিবাদ করেন৷