ইতিহাসের দৃষ্টিতে শ্রীরামপুর কোলকাতার চেয়ে বিখ্যাত---প্রাচীন শহর৷ শ্রীরামপুর কোর্ট, শ্রীরামপুর কলেজ, কোর্ট সংলগ্ণ ডাচ আমলের গথিক শিল্পে নির্মিত গীর্র্জ ইতিহাস প্রসিদ্ধ৷ হুগলী জেলার গঙ্গার তীর ঘেঁসে এলাকাটি চলে গেছে ও যার মধ্য দিয়ে বিখ্যাত জিটি রোড হাওড়া জেলাকে স্পর্শ করেছে৷ সেই বিখ্যাত জনবহুল রাস্তা হলো মূল সংযোগ এর সূত্র৷ এই রাস্তাটিতে শ্রীরামপুর ষ্টেশনের কাছে যে ৩ -নং বাস ষ্ট্যান্ড ছিল কিছুদিন হলো সেটা স্থানান্তরিত করায় শ্রীরামপুর ষ্টেশনে যাত্রীগণ অবতরণের পর ৩ নং বাস ধরে কলকাতা বালি হাওড়ামুখী যেতে অত্যন্ত অসুবিধায় পড়ছেন৷ নোতুন বাসস্টান্ড হয়েছে জিটি রোডের সংলগ্ণই এস আই হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী জলাভূমিতে৷ আগে বাসের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬৫ থেকে ৭০টি ৷ নানা কারণে বাসের সংখ্যা এতটাই কমে গেছে যা কহতব্য নয়৷ আগে কলকাতা থেকে শ্রীরামপুরগামী কয়েকটি এক্সপ্রেস বাস চলতো যেগুলি দক্ষিণেশ্বর হয়ে শ্যামবাজার এমনকি সল্টলেকের দিকে গমন করতো৷ তাছাড়া শ্রীরামপুর বাগবাজার বাস বিখ্যাত রুট বাস ছিল৷ সেই বাস অত্যন্ত কমে গেছে৷ এরফলে যাত্রী সাধারণ অত্যন্ত অসুবিধায় পড়েছে৷ বর্ত্তমানে টেটো ও অটোর বাড়বাড়ান্তে কাছাকাছির যাত্রী সংখ্যা কমছে৷ তাছাড়া পেট্রোল ডিজেলের দাম অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়াতে প্রাউভেট বাস উঠে যাচ্ছে৷ যৎসামান্য বাস ষ্টেশনের অদূরে যে জিটি রোডের উপর ব্রীজ হয়েছে তার উপর দিয়ে চলে ফলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়৷
এতে অত্যন্ত অসুবিধা হয় যাত্রীদের৷ এরফলে গঙ্গার তীর ঘেঁসে যে জনবহুল রাস্তাটি আছে সেই রাস্তার বাসিন্দাদের অত্যন্ত অসুবিধা হচ্ছে৷ সেই কারণে এক্সপ্রেস বাস চালানোর ব্যবস্থা করলে জনগণের সুবিধা হয় ও রেল ষ্টেশনটির গুরুত্ব বাড়ে৷ ষ্টেশন থেকে প্রায় পেছনে একমাইল দূরে বিচ্ছিন্নস্থানে বাসষ্ট্যান্ড হওয়াতেও ৩নং বাস একেবারে কমে গেছে ফলে রিসড়া, কোন্নগর, গঙ্গারতীরবর্ত্তী হিন্দমোটর, উত্তরপাড়া বালি, দক্ষিণেশ্বর, শ্যামবাজারে বাসে করে যাওয়াটা অত্যন্ত অসুবিধা হয়েছে৷ হাজার হাজার যাত্রীদের অসুবিধা দূরীকরণে সরকার নজর দিন ৷