শিলিগুড়ি ঃ
গত ১৮ই জুলাই ‘আমরা বাঙালী’র দার্জিলিং জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বাঙালী বিরোধী, বে-আইনী, সংবিধান বিরোধী গোর্র্খল্যাণ্ড টেরিটোরিয়্যাল এ্যাড্মিনিষ্ট্রেশন চুক্তি বাতিলের দাবিতে শিলিগুড়ি মহকুমা শাসকের মারফৎ ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷ স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব বাসুদেব সাহা, যুব-সচিব রামচন্দ্র সরকার ও আরও অনেকে৷ পরে ভক্তিনগরে ‘আমরা বাঙালী’ কার্যালয় ‘বরেন্দ্র ভবন’ থেকে ‘জিটিএ’ চুক্তি বাতিলের দাবীতে এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়৷ এই মিছিল শহর পরিক্রমার পর কোর্ট মোড়ে এসে পৌঁছনোর পর এখানে এক পথসভায় বক্তব্য রাখেন খুশীরঞ্জন মন্ডল, বাসুদেব সাহা, রামচন্দ্র সরকার, জেলা মহিলা সচিব জয়া সাহা প্রমুখ৷
যে সমস্ত দাবীতে তাঁরা বক্তব্য রাখেন সেই দাবীগুলি হ’ল--- ১) জিটিএ চুক্তি বাতিল করতে হবে, ২) ১৯৫০ সালের পর আসা নেপালীদের বাঙলা ছাড়তে হবে, ৩) অসমে জাতীয় পঞ্জীকরণের নাম করে বাঙালী বিতাড়ন বন্ধ করতে হবে, বাঙালীদের সমস্ত প্রকার অত্যাচার ও শোষণ থেকে মুক্ত করতে সমস্ত বাঙালী অধ্যুষিত এলাকাগুলি নিয়ে বাঙালীস্তান গড়তে হবে৷
পশ্চিম মেদিনীপুর
রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সাথে গত ১৮ জুলাই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও পালিত হল ‘কালাদিবস’ ৷ পশ্চিমবঙ্গকে ভেঙে পৃথক গোর্র্খল্যাণ্ড রাজ্য গঠনের পূর্বপরিকল্পনা জি.টি.এ. চুক্তি (জি.টি.এ. আইন) যা কার্যত অসাংবিধানিক, বাংলার স্বার্থ বিরোধী ও জাতীয় সংহতি বিপন্নকারী৷ গত বছর ধবংসাত্মক আন্দোলন দেখেও দিদির শিক্ষা হয়নি৷ তিনি বিদেশী গোর্র্খদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেছেন৷ যে সমস্ত সরকারী সম্পত্তি ধবংস করেছে তার মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা৷ ৭ বছর হয়ে গেলেও রাজ্য সরকারের টনক নড়েনি৷ তাই অবিলম্বে জি.টি.এ. চুক্তি বাতিলের দাবীতে মেদিনীপুর শহরে জেলা শাসক দপ্তরের সামনে পথসভা করা হয় আমরা বাঙালী জেলা কমিটির উদ্যোগে৷ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বক্তব্য রাখেন জেলা সচিব শঙ্করপ্রসাদ কুণ্ডু, জেলা সাংঘটনিক সচিব লক্ষ্মীকান্ত মহাপাত্র, রাজু মান্না৷ সেইসঙ্গে জেলা শাসকের নিকট মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷ উক্ত কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন জেলা সচিব রবীন্দ্রনাথ বেরা, রঞ্জিত কুমার ঘোষ, অনিমেষ মাহাত, অভিজিৎ দে, বাসুদেব মণ্ডল৷ মহিলা সমাজের পক্ষ থেকে ছিলেন ইলা পাত্র, পারুল সাধু ও শোভা দাস৷
কোচবিহার
গত ২২শে জুলাই মধ্যাহ্ণে কোচবিহার শহরের সাগর দিঘী সংলগ্ণ নেতাজী মূর্তির পাদদেশে আমরা বাঙালী দলের কর্মী ও সমর্থকরা মিলিত হয়ে শোভাযাত্রা করে জেলা শাসকের করনে পৌঁছায়৷ পরে জেলাসচিব শ্রী সন্তোষ কুমার মোদক এর নেতৃত্ব এক প্রতিনিধি দল জেলা শাসকের করণে মাননীয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি জমা দেয়৷ স্মারকলিপিতে তথাকথিত গোর্খাদের সঙ্গে অবৈধ জিটিএ চুক্তি বাতিল ও অসমে সাম্প্রতিক বাঙালীদের প্রতি অমানবিক এন.আর.সি-র অজুহাতে বাঙালী বিতাড়নের প্রচেষ্টা বন্ধ করার দাবী জানানো হয়৷
পুরুলিয়া
গত ১৮ই জুলাই পুরুলিয়া শহরে গোর্র্খল্যাণ্ড চুক্তি বাতিলের দাবীতে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়৷ প্রায় দুই শতাধিক লোক ফেসটুন ও পতাকা সহ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন৷ এই শোভাযাত্রাটি পুরুলিয়া শহরের রাঢ় ভবন থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমণ করে ট্যাক্সি ষ্ট্যাণ্ডে এসে জমায়েত হয়৷ এখানে পথসভাটি অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত পথসভায় সভাপতিত্ব করেন পুরুলিয়া জেলার আমরা বাঙালীর জেলা সচিব শ্রী লক্ষ্মীকান্ত মাহাত৷ বক্তব্য রাখেন প্রফুল্ল মাহাত, বিভূতি দত্ত, চণ্ডীচরণ মাহাত৷ প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহসচিব শ্রী তারাপদ বিশ্বাস মহাশয়৷