কাঁদিছে মানুষ, সন্তান জগজ্জননীর

লেখক
জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বাঙালীর সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব অতিক্রান্ত৷ মহালয়ার পর থেকে দুর্গাপূজা, লক্ষ্মী পূজা ,শ্যামাপূজা, দীপাবলী হয়ে জগদ্ধাত্রী পূজা পর্যন্ত শারদোৎসবের বিস্তার৷ দুর্গাপূজা মূলতঃ বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতির পরিচায়ক হলেও তা ক্রমশঃ বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে সমগ্র ভারতবর্ষতো বটেই- বহির্ভারতেও প্রসারিত হয়ে চলেছে৷ পৃথিবীর যেখানেই অল্প কয়েকজন বাঙালীর বাস , সেখানেই দুর্গাপূজার আয়োজন একটি স্বাভাবিক ঘটনা৷ এছাড়া দুর্গাপূজা সাধারণতঃ হিন্দুধর্মমতাবলম্ব্ ধর্মাচরণের অঙ্গ হলেও দুর্র্গেৎসবের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলির সঙ্গে অন্যান্য ধর্মমতের বা সম্প্রদায়ের মানুষজনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকেন৷ ফলে দুর্গোৎসব বর্তমানে আক্ষরিক অর্থেই সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের উৎসবে পর্যবসিত৷ আর দীপাবলীতো ইতোমধ্যেই সর্বভারতীয় উৎসব হিসাবে স্বীকৃত৷ শারদোৎসবের আনন্দ প্রতিটি মানুষ প্রাণ ভরে উপভোগ করার চেষ্টা করে৷ কেউ সৃষ্টির আনন্দে বিভোর--- বাকিরা দর্শনে ও শিল্পকর্মের রসাস্বাদনে মাতোয়ারা৷ অনন্য মন্ডপসজ্জা , বিভিন্ন উপকরণের অপূর্ব শিল্প কর্ম, মৃৎশিল্পীর অসাধারণ শিল্পভাবনার নিদর্শন হিসাবে সুন্দর সুন্দর প্রতিমা নির্র্মণ, আলোর রঙবাহারি রূপসজ্জা--- সব কিছু মিলিয়ে দর্শন, চিন্তন, মননের জগতে খুশির প্লাবনের বিপুল সম্ভার৷ এই বাঁধভাঙ্গা খুশির ছোঁয়া পেয়ে সবচেয়ে বেশি পুলকিত হয় কচিকাঁচার দল৷ নববস্ত্র পরিহিত ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের খুশি ডগমগ মুখমন্ডল সমগ্র পরিবেশকে এক স্বর্গীয় অনুভূতিতে ভরিয়ে তোলে৷ তবে খুশির এই ব্যাপকতার মধ্যেও রয়ে যায় প্রদীপের নিচে অন্ধকার ৷ একদিকে যখন বেশিরভাগ মানুষ আনন্দের জোয়ারে ভেসে বেড়ায়, তখনও একদল মানুষ অন্ন,বস্ত্র, বাসস্থানের অভাবে থাকেন জর্জরিত৷ অন্যশিশুরা যখন নোতুন জামাকাপড়ে সুসজ্জিত হয়ে ছুটোছুটি করে, সেই সময় গ্রামের কোন অন্ধকোণে বা পথের ধারে, রেললাইনের পাশের ঝুপড়ি গুলিতে বা খোলা আকাশের নীচে অর্ধনগ্ণ অবস্থায় বহু শিশু অনাহারে, অর্দ্ধাহারে দিন যাপন করতে বাধ্য হয়৷ হয়তো এক ঠোঙা কুচোফলের প্রসাদ , একপাত খিচুড়ি বা কোন সমাজ সেবী সংস্থা কিংবা পূজা আয়োজকদের সহৃদয়তায় দু-একটি নোতুন জামা-কাপড় --- তাদের পূজার আনন্দের পরমপ্রাপ্তি৷

 শারদোৎসবের দিনগুলিতে মানুষ দুর্গাপূজোর সময় তথাকথিত জগন্মাতা, মহাশক্তি দুর্গতি নাশিনী দশভূজা দেবী দুর্গার, লক্ষ্মীপূজার সময় তথাকথিত ধনদেবী মঙ্গলদায়িনী মহালক্ষ্মীর, কালিপূজার সময় তথাকথিত পরাশক্তি, মহামায়াকে তমোনাশিনী শ্যামা বা কালিকারূপে আর জগদ্ধাত্রী পূজায় তথাকথিত জগজ্জননী, সর্বমঙ্গলকারিনী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা করা হয়--- অর্থাৎ সর্বতোভাবে মাতৃশক্তির পূজার আয়োজন ৷ আর এই তথাকথিত জগজ্জননী জগন্মাতার চরণে আত্মনিবেদন করে সকলের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা জানানো হয়৷ কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে একদিকে মানুষের সমাজে তথাকথিত দেবীমাতৃকার ষোড়শোপচারে পূজার আয়োজন, তখনই অন্যদিকে চলে মাতৃস্বরূপিনী নারী জাতির চরম অবমাননা, লাঞ্ছনা, অন্যায়, অবিচার, নিপীড়ন ৷ এমনকি পূজার দিনগুলির মধ্যেও নারীদের উপর চরম নির্র্যতন হেনস্থা ও উৎপীড়নের ঘটনাগুলি ঘটতে দেখা যায়৷ কোথাও পারিবারিক হিংসা, কোথাও বিকৃত যৌন নির্যাতন, কোথাও স্বামী-পুত্র বা নিকট আত্মীয়ের অত্যাচার নারী জাতির ওপর ক্রমান্বয়ে ঘটে চলেছে৷ অতিসম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সিউড়ি, দিনহাটা, ধূপগুড়ি, হাওড়া, লিলুয়া, ব্যারাকপুর ইত্যাদি স্থানের ঘটনাবলী সেই সাক্ষ্যই বহন করছে৷ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনাগুলি হিমশৈলের চূড়া মাত্র৷ প্রকৃত ঘটনার সংখ্যা ও বীভৎসতা আরও অনেক বেশী৷ এগুলি ছাড়াও নারী জাতির প্রতি অশ্রদ্ধা ও অন্যায়ের ঘটনাক্রম বছরের পর বছর ধরে এক প্রবহমান ধারার আকার ধারণ করেছে৷ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাম্প্রতিক # মি-টু আন্দোলনের অভিঘাত এইদেশেও এসে পৌঁচেছে৷ কর্মক্ষেত্রে যৌন নির্র্যতন যে ভয়াবহ রূপ পরিগ্রহ করেছে তার প্রমাণ এই # মি-টু আন্দোলন৷অফিস-আদালত, চলচ্চিত্র-সিনেমা জগৎ , সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়, এমনকি ধর্মস্থান পর্যন্ত--- কোনক্ষেত্রই এই বৃত্তের বাইরে নেই ৷ অতি সম্প্রতি সংবাদ শিরোণামে এসেছে আমাদের দেশের কয়েকজন চিত্র পরিচালক, চিত্রাভিনেতা ও রাজনীতিকদের নাম যাঁরা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে তাঁদের অধঃস্তন, সহকর্মী কিংবা আশীর্বাদ প্রার্থীদের বাধ্য করেছেন বিকৃত লালসার শিকার হতে৷ এরফলে বেশ কয়েকজন অভিনেতা ও পরিচালককে ছাঁটাই করার সংবাদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ইস্তফার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে৷ হয়তো এই সবে শুরু --- এমনতর ঘটনার সংবাদ অদূর ভবিষ্যতে আরও প্রকাশিত হবে৷ কারণ,প্যাণ্ডোরার বাক্স একবার খুলে গেলে তা বন্ধ করা খুব কঠিন৷ এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ভণ্ড গুরু বাবা, ধর্মযাজক ও আশ্রম প্রধানদের কীর্ত্তিকলাপ৷ ইতোমধ্যেই এই ধরণের অনেকেই জেলে রয়েছেন, কেউ কেউ শাস্তি পেয়েছেন, আবার অনেকে বিচারাধীন অবস্থায় অপেক্ষারত৷ সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা এই যে, নির্যাতিতা ও অসহায় শিশু থেকে বৃদ্ধা নারীদের বা পাঠরতা শিশু-তরুণীদের যে সব হোমে (সরকারী ও বেসরকারী উভয়েই) সুরক্ষার জন্যে আশ্রয় দান করা হয় সেখানেও তারা নিরাপদ নন--- উর্ধতন কর্ত্তৃপক্ষ থেকে ঝাড়ুদার, সব পদের কর্মীদের বিকৃত লালসার বলি হতে হয়েছে তাদের অনেককেই৷ শিক্ষায়তনগুলিতে বিভিন্ন বয়সের শিশু ও তরুণীর উপর নির্যাতন-পীড়নের ঘটনা ইতোমধ্যেই বহুল প্রচারিত৷

নারী সমাজকে দমিয়ে রাখা, ধর্মের দোহাই দিয়ে সমাজের বিচিত্র নিয়ম-নীতি-বিধানের নামে পদে পদে শৃঙ্খলিত করার অপচেষ্টা সূদূর অতীত থেকেই চলেছে ---এখনো চলছে৷ সুপ্রিমকোর্টের তিনতালাক ও শবরীমালার মন্দির সম্পর্কিত রায় এই প্রসঙ্গে বিশেষ প্রণিধানযোগ্য৷ নারী জাতির প্রতি চরম অবমাননাকর, অমানবিক , অবৈজ্ঞানিক ,অযৌক্তিক তিন তালাককে সুপ্রিমকোর্ট নিষিদ্ধ করলেও তার ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট জনগণ ও সরকার পক্ষ যথোচিত পদক্ষেপ বা উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করতে সচেষ্ট হননি৷ কেরলের শবরীমালা মন্দিরে ঋতুবতী মিিহলাদের প্রবেশ সম্পকির্ত যে বিধিনিষেধ আরোপিত ছিল তা অসাংবিধানিক ও অমানবিক হিসেবে চিহ্ণিত করে সকলের প্রবেশাধিকারের পক্ষে রায় দিয়েছেন শীর্ষ আদালত৷ কিন্তু তথাকথিত ভক্তকুলের কুসংস্কার, গা-জোয়ারি ও সংকীর্ণ মানসিকতার কারণে ইতোমধ্যে কয়েকজন মহিলা চেষ্টা করেও মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেননি৷ সরকার থেকে নামকেওয়াস্তে পুলিশি ব্যবস্থা করলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে যথাযথ মান্যতা প্রদান করে সুবন্দোবস্ত করা হয়নি যাতে সব মহিলাই অবাধে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি তাদের দলীয় স্বার্থে ভোটব্যাঙ্কের ক্ষতির আশঙ্কায় ও মৌরসীপাট্টা হারানোর ভয়ে এ বিষয়ে উচ্চ-বাচ্চ করছে না৷ কিন্তু নারী সমাজকে বিধিনিষেধের গণ্ডিতে বেঁধে রেখে তাঁদের মানবিক অবমূল্যায়ণ করতে থাকলে আর শুধুমাত্র মাটির মূর্ত্তিকে দেবী হিসেবে পূজা অর্চনা করলে মানুষের বা সমাজের প্রকৃত মঙ্গল সাধন কখনোই সম্ভব নয়৷ এই প্রসঙ্গে স্মরণ করি মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকারের নারীর মর্য্যাদা বিষয়ে কতিপয় উক্তি---

‘‘মিথ্যা স্তোকবাক্য দিয়ে বা পরকালের স্বর্গসুখের প্রলোভন দেখিয়ে যারা ইহলোকে নারীকে পুরুষের দাসী করে রাখতে চায় তারা বুঝতে পারে না যে এই স্তোকবাক্য বা স্বর্গের প্রলোভন নারীকে জড় করে রাখতে বা পুরুষের দাসী করে রাখতে হয়তো সাহায্য করে, কিন্তু এতে করে মানুষ সমাজে সত্যিকারের কোন লাভ হয় না, কারণ সমাজের শতকরা পঞ্চাশ জন লোক যদি কুসংস্কারাচ্ছন্ন জড় হয়ে থাকে তা’হলে সমাজের বাকী পঞ্চাশ জনকে এই জড়ের বোঝা বয়ে নিয়ে এগিয়ে চলতে রীতিমত বেগ পেতে হবে৷ ব্যষ্টিগত জীবনে শুচিতা নারী -পুরুষ দু’য়েরই সমানভাবে প্রয়োজন, আর সে প্রয়োজন সিদ্ধ করতে গেলে সত্যিকারের অধ্যাত্ম-দৃষ্টি থাকা দরকার৷ নারী বা পুরুষ কারও প্রতি অবিচার ক’রে এ প্রয়োজন সিদ্ধ হবার নয়৷ মানুষ মাত্রেরই বোঝা দরকার যে কোনকিছুকে গড়ে তুলতে গেলে বা বাঁচিয়ে রাখতে গেলে তার প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে দরকার একটি নিবিড় সহযোগিতা মূলক আচরণের৷ মানুষ জড় নয়, তাই তার প্রতিটি সামবায়িক সংঘটন টিকে থাকে শুধু যে সহযোগিতার ওপরে তা নয়, এ সহযোগিতার মধ্যে একটু বৈশিষ্ট্য আছে৷ আর সেটা হ’ল --- এই সহযোগিতাটা প্রভু- দাসের সম্পর্কে গড়ে না উঠে স্বাধীন মানুষের সহৃদয়তাপূর্ণ পরিবেশেই গড়ে ওঠা দরকার৷ That should be a co-ordinated co-operation and not a sub-ordinated one...... নিজেকে অসহায় ভেবে বা হৃদয় বৃত্তির আহ্ববানে নারী একদিন যে অধিকার তার হাতে তুলে দিয়েছিল আজ নারীরই প্রয়োজন বুঝে পুরুষের উচিত ধীরে ধীরে তা’ নারীর হাতে ফিরিয়ে দেওয়া৷ .......... প্রকৃতির সন্তান হিসেবে যে আলো-হাওয়া-মাটি -জল পুরুষ তার ভোগ্য হিসেবে পেয়ে থাকে তার অধিকার অবাধভাবে নারীকেও দিতে হবে৷ বস্তুতঃ এটাকে অধিকার দেওয়া না বলে বলব অধিকার স্বীকার করে নেওয়া৷ কিন্তু এই অধিকার স্বীকার করে নিতে গিয়ে যদি ভাবালুতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় তাতে সমাজের সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা৷’’

সুতরাং শারদোৎসবের শুভ অবকাশে মৃন্ময়ীকে চিন্ময়ী রূপে মনের মণিকোঠায় বসিয়ে বা মন্ডপের প্রতিমায় দেবী সত্ত্বার জাগরণ কল্পনা করে জগৎ বা সমাজের কল্যাণার্থে শক্তি প্রার্থনা করলেই জগতের মঙ্গল সাধন সম্ভব নয়৷ প্রকৃত আধ্যাত্মিক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিয়মিত অধ্যাত্ম সাধনার দ্বারা নিজের মানসিক তথা আত্মিক চেতনাকে ক্রমশঃ প্রসারিত করার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে৷ বিশ্বের সমগ্র সৃষ্টিকে , জীবজড় উদ্ভিদ সকলকে পরম পুরুষের সন্তান-সন্ততি হিসেবে গ্রহণ করে নব্যমানবতাবাদ ও বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধের উজ্জীবন ঘটিয়ে ভালবাসার বাঁধনে বাঁধতে হবে৷ আর সমাজের নেতৃত্ব একমাত্র আধ্যাত্মিকতায় সমুন্নত কঠোর নীতিবাদী, আপোষহীণ চারিত্রিক দৃঢ়তা সম্পন্ন ব্যষ্টিগণের (এক কথায় যাঁদের সদবিপ্র বলা হয়) হাতেই অর্পণ করতে হবে৷ সমাজে কোনোরকম জাত-পাত, ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়গত ভেদ বিভেদকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না, কারণ মানুষের সমাজ এক ও অবিভাজ্য৷ আর বিশ্বের সমগ্র সম্পদে আছে প্রতিটি সৃষ্ট জীবজড় উদ্ভিদের সমানাধিকার৷ এই অধিকারকে মেনে নিয়ে কোন ব্যষ্টি এককভাবে ভৌতিক সম্পদ কুক্ষিগত করতে পারবে না--- সকলে মিলে মিশে এই সম্পদকে ভোগ করতে হবে৷ তাহলে সমাজে কেউ বঞ্চিত হবে না ও প্রত্যেকেই বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় নূ্যনতম রসদ গ্রহণ করতে পারবে৷ যদি কোন অশুভ শক্তি এর অন্যথা করে তবে তার বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে তার সমূলে বিনাশ ঘটাতে হবে৷ তখনই প্রকৃত শোষণহীন মানব সমাজ গড়ে উঠবে ও সেই সমাজে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নির্ভয়, নিঃশঙ্ক, আনন্দময় পরিবেশে জীবন ধারণের সুযোগ পাবে আর সত্য-ধর্মের আশ্রয়ে অস্তি-ভাতি-আনন্দম্-এর পথে এগিয়ে চলবে ৷