ধর্মসাধনার দ্বারা মনকে বিশেষ উপায়ে সূচ্যগ্র করে সর্ববৃত্তিকে একবিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করার নামই ‘‘অগ্র্যাবুদ্ধি’’৷ নিষ্ঠাসম্মত ধর্মসাধনার মাধ্যমে মানুষ মনের গবেষণাগারে রীতিমতো গবেষণা (সাধনা) চালিয়ে অসীম চৈতন্যকে উপলদ্ধ করে৷ বলা বাহুল্য এই অসীম চৈতন্যকে উপলব্ধি করতে গিয়েই মানব মন ক্রমে ক্রমে চৈতন্যে রূপায়িত হয়ে যায়৷ এই অসীম চৈতন্যে একীভূত হয়ে যাওয়াই (এক হয়ে যাওয়াই) মনের সম্প্রসারণ বাExpantion of mind’ মন সম্প্রসারিত হলে মনে বিষয়-তৃষ্ণারূপী কোন তরঙ্গই থাকে না, মন হয়ে ওঠে পরম শান্ত৷ একেই মনের পূর্ণবিকাশ বলে৷ মন বিকশিত হলে জগতের সবাইকে সে একই পরম (চৈতন্য) সত্তার ভিন্ন ভিন্ন প্রকাশ বলে মনে করে থাকে৷ সবাই তার কাছে আপন হয়ে যায়৷ কেউ পর থাকে না৷ তখনই সে সকল বিভেদ ভুলে গিয়ে সবার কল্যাণ চিন্তায় রত থাকে৷ তাই প্রকৃত ধর্ম শুধু মনকে বিকশিতই করে না বরং সেই মনকে জীবজগতের কল্যাণ ভাবনায় নিয়োজিত করে৷ তাই মানব ধর্মের লক্ষ্য সম্পর্কে আনন্দমূর্ত্তিজীর কণ্ঠেয় একই সুর শুণতে পাই৷ তিনি সুস্পষ্টই বলেছেন যে মানব ধর্মের লক্ষ্য হলঃ
‘‘আত্মমোক্ষার্থং জগৎদ্ধিতায় চ’’
অর্র্থৎ অন্তর্জগতে ধর্ম সাধনার মাধ্যমে মনকে অসীমে প্রতিষ্ঠা করা..... নিজেকে বিকশিত করা আর বহির্জগতে জীবজগতের নিরন্তর কল্যাণ করে চলা৷
- Log in to post comments