আজও এ দেশে তথাকথিত উচ্চবর্ণের মানুষদের হাতে তথাকথিত নীচু বর্ণের মানুষেরা অত্যাচারিত হচ্ছেন৷ যদিও প্রকৃতপক্ষে সমস্ত মানুষই এক জাতিভুক্ত৷ কারণ সবাই একই পরমপিতার সন্তান৷
সুবিধাভোগী এক শ্রেণীর মানুষ জাত-পাতের বিভেদ সৃষ্টি করে অশিক্ষিত, দরিদ্র মানুষদের প্রাচীনকাল থেকে ধোঁকা দিয়ে এসেছে ও তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে এসেছে৷ আশ্চর্য হতে হয় যে বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীতেও এ জিনিসটা সমানে চলেছে৷
উত্তরপ্রদেশের বুলন্দ শহরের উপকণ্ঠে সাবিত্রী নামে তথাকথিত এক দলিত শ্রেণীর মহিলা বিভিন্ন বাড়ীতে আবর্জনা পরিষ্কার করতেন৷ সম্প্রতি তিনি হঠাৎ বেসামাল হয়ে তথাকথিত উচ্চবর্ণের বাড়ীতে রাখা পানীয়-জলের বালতির ওপর পড়ে যান৷ এতে জলের বালতি নাকি অশুদ্ধ হয়ে গেছে---এই কারণ দেখিয়ে ওই উচ্চ বর্ণের বাড়ীর মহিলা ও তার ছেলে সাবিত্রীর ওপর চরমভাবে মারধর করতে থাকে৷ সাবিত্রী ছিল অন্তঃসত্ত্বা৷ মা ও ছেলের মার খেয়ে শেষ পর্যন্ত সাবিত্রী দেবী অজ্ঞান হয়ে যান ও পরে মারা যান৷ চলতি মাসে উত্তরপ্রদেশে আরও কয়েকটি এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে৷
কম-বেশী দেশের সর্বত্রই এখনও এই অবমাননাকর জাতিভেদ প্রথা রয়েছে৷ এই জাতিভোদ প্রথার বিরুদ্ধে সমস্ত মানুষদের সরব হওয়া উচিত৷