সম্পাদকীয়

শাসককে সাবধান বাণী

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

গত দুটি লোকসভা নির্বাচনের পর কেন্দ্র আবার মিলিজুলি সরকার৷ যদিও গত দুটি লোকসভায় এন.ডি.এ জোট সরকার ছিল, কিন্তু সেখানে প্রধান শরিক বিজেপির একক গরিষ্ঠতা ছিল৷ কিন্তু গত দশবছরে প্রধান শরিকের দাম্ভিক আচরণ, ঔদ্ধত্য মানুষ পছন্দ করেনি৷ তারই প্রতিফলন ঘটেছে এবার নির্বাচনী ফলে৷ যদিও সরকার পরিবর্তন হয়নি, কিন্তু এককভাবে নয়, বিজেপিকে শরিক দলের উপর নির্ভর করে সরকার গড়তে হয়েছে৷

প্রজাতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করার পর অষ্টাদশ লোকসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল৷ এবার নির্বাচনে শাসকদলের স্লোগান ছিল মোদি গ্যারান্টি৷ স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের জনগণ রাষ্ট্র নেতাদের কাছ থেকে শুধুই প্রতিশ্রুতি বহর শুণে আসছে৷ কিন্ত গত ৭৭ বছর ধরে জনগণ কতটুকু কি পেল, সে হিসাবে না গিয়ে গণতন্ত্রের স্বরূপটা একটু দেখা যাক৷

শক্তি মদের সাংঘাতিক লক্ষণ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

অষ্টাদশ লোকসভার নির্বাচন চলছে৷ এই লেখার সময় সাতদফা নির্বাচনের এখনও একটি বাকি আছে৷ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সব পক্ষই নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত৷ প্রচারের ভাবখানা দেশের ও দেশবাসীর কল্যাণে দলীয় কর্মসূচির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত৷ কারণ সার্থক গণতন্ত্রের কথা হ’ল জনগণের কল্যাণের জন্যে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনগণের সরকার৷ কিন্তু দেশের নেতাদের উচিত-অনুচিত বোধের বড় অভাব৷ যেমন যে জনগণ রাষ্ট্রের শাসক নির্বাচন করে তার মধ্যেও সামাজিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চেতনার ভীষণ অভাব৷ জনগণের এই অজ্ঞতা, এই অভাব আজকের রাষ্ট্রনেতাদের রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে সাফল্য অর্জনের বড় মূলধন৷

আনন্দপূর্ণিমা নবজাগরণের দিন হোক

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আগামী ২৩শে মে, বৈশাখী পূর্ণিমা, প্রাউট–প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার, যিনি ধর্মগুরু মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে বিশ্ববাসীর কাছে সমধিক পরিচিত–তাঁর শুভ ১০৩ তম আবির্ভাব তিথি৷ সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীদের কাছে এই বৈশাখী পূর্ণিমা আনন্দপূর্ণিমা রূপে পরিচিত৷ এই পুণ্য তিথিতে মহাসমারোহে সর্বত্র মার্গগুরুদেবের ১০৩ তম জন্ম জয়ন্তী পালন করা হবে৷ এ বছর শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে মার্গের দর্শন ও আদর্শের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে৷

আনন্দপূর্ণিমা নবজাগরণের দিন হোক

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আগামী ২৩শে মে, বৈশাখী পূর্ণিমা, প্রাউট–প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার, যিনি ধর্মগুরু মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে বিশ্ববাসীর কাছে সমধিক পরিচিত–তাঁর শুভ ১০৩ তম আবির্ভাব তিথি৷ সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীদের কাছে এই বৈশাখী পূর্ণিমা আনন্দপূর্ণিমা রূপে পরিচিত৷ এই পুণ্য তিথিতে মহাসমারোহে সর্বত্র মার্গগুরুদেবের ১০৩ তম জন্ম জয়ন্তী পালন করা হবে৷ এ বছর শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে মার্গের দর্শন ও আদর্শের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে৷

নেতৃত্বের সংকট

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মোদি সরকারের ১০ বছর অতিক্রান্ত৷ কোন প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করা যায়নি৷ শুধু মোদি সরকার নয়, সেই স্বাধীনতার পর থেকেই আজ পর্যন্ত প্রতিটি সরকার পুঁজিপতিদের নিয়ন্ত্রণে চলে৷ ফলে স্বাধীনতার কি সুখ জনগণ জানে না৷ দেশের সিংহ ভাগ সম্পদ শীর্ষস্থানীয় পুঁজিপতিদের করায়ত্ব৷ অপরদিকে দেশের বিশাল এক অংশ আজ চরম দারিদ্রের শিকার৷ দেশের অধিকাংশ ছাত্র-যুবা বেকারত্বের জ্বালায় জ্বলে পুড়ে মরছে৷ জীবনকে সুন্দর করে বিকাশের কথা ভাববার অবসর নেই তাদের৷ --- অন্ন চিন্তা চমৎকারা! অথচ স্বাধীনতার আগে এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী থেকে শুরু করে প্রতিটি সাধারণ মানুষের স্বপ্ণ ছিল---‘ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে৷....

আনন্দপূর্ণিমার শপথ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আগামী ২৩শে মে,২০২৪ বৈশাখী পূর্ণিমা, প্রাউট–প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের, যিনি ধর্মগুরু মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে বিশ্ববাসীর কাছে সমধিক পরিচিত–তাঁর শুভ ১০৩ তম আবির্ভাব তিথি৷ সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীদের কাছে এই বৈশাখী পূর্ণিমা আনন্দপূর্ণিমা রূপে পরিচিত৷ এই পুণ্য তিথিতে মহাসমারোহে সর্বত্র মার্গগুরুদেবের ১০৩ তম জন্ম জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে৷

অপ্রতিরুদ্ধ আনন্দমার্গ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল৷ গত কয়েক শতাব্দীর ইতিহাসে বোধকরি সবচেয়ে পৈশাচিকতম ঘটনা ঘটে গেল আজকের সভ্যতার পীঠভূমি কলকাতার বিজন সেতু ও বণ্ডেল গেটের মত জনাকীর্ণ এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে৷ আনন্দমার্গের ১৬জন সন্ন্যাসী ও ১জন সন্ন্যাসিনীকে বর্ণনার অতীত নৃশংসতম ভাবে খুন করল তৎকালীন শাসকদল সিপিএম’এর গুণ্ডাবাহিনী৷ পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল৷ স্পষ্টই বোঝা যায় এই হত্যার ষড়যন্ত্র প্রশাসনের ওপর মহল থেকেই করা হয়েছিল৷

গণতন্ত্রের পাঠ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রাথমিক পাঠ হলো জনগণের জন্যে, জনগণের দ্বারা, জনগণের শাসন৷ কিন্তু স্বাধীনতার ৭৭বছর পরেও দেশের জনগণ ও দেশের নেতা মন্ত্রীরা গণতন্ত্রের এই প্রথম পাঠ বিষয়ে কতটা সচেতন! প্রথম কথা সার্থক গণতন্ত্রের প্রথম শর্তই হচ্ছে জনগণের সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক বিষয়ে সচেতনতা৷ কিন্তু আজও ভারতের ৮০ শতাংশ মানুষের এই চেতনা নাই৷ জনগণের অশিক্ষার সুযোগ নিয়ে জনগণকে নানা প্রলোভনে প্রভাবিত করে একবার ক্ষমতায় বসতে পারলেই প্রাগৈতিহাসিক সমাজ ব্যবস্থার---‘‘জোর যার মুল্লুক তার’’ পাশবিক নীতিকে আঁকড়ে ধরে৷

স্বাগত ১৪৩১

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

 আর একটা বছর বছর অতিক্রম করে এসে গেল বাঙ্লার শুভ নববর্ষ৷ বাংলা ১৪৩০ সাল পেরিয়ে আমরা ১৪৩১–এ পড়লুম৷ নোতুন বছরে পা দিলাম৷ এমনি এক বাংলা নববর্ষের প্রবচনে প্রাউট–প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার যিনি একাধারে মহান দার্শনিক, ইতিহাসবিদ্, ভাষাতত্ত্ববিদ্, শিক্ষাবিদ্, সঙ্গীতকার, যিনি মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী রূপে সমধিক পরিচিত, তিনি আত্মবিস্মৃত বাঙালী জাতি সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘বাঙালী নামধেয় জনগোষ্ঠী অতীতে জীবিত ছিল, আজও জীবিত ও আমি আশা করব, ভবিষ্যতে আরও দুর্দান্তভাবে জীবিত থাকবে৷ সেই জনগোষ্ঠীকে নোতুন করে শপথ নিতে হবে–এই নোতুন বছরটা তারা কীভাবে আরও সফল করে তুলবে৷ নিজেদের অস্তিত্বকে কী