রক্ষকই ভক্ষক
১৮ই মার্চ রাত্রি প্রায় ২টার সময় বাগুইআটি চিনার পার্কের এক ব্যবসায়ী প্রয়াত বিনোদ কুমার সিং-এর বাড়ীতে হানা দেয় আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা৷ সাদা কাগজে সিজার লিস্ট বানিয়ে প্রচুর গয়না ও নগদ তিন লক্ষ টাকা নিয়ে যায়৷ যাওয়ার সময়ে ওই আয়কর আধিকারিকরা বিনোদ সিং-এর কন্যা বিনীতাকে দিয়ে সাদা কাগজের সিজার লিস্টে সই করিয়ে নেয়৷ যাওয়ার সময় বলে যায়, তোমাকে আয়কর দপ্তরে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই৷ আয়কর দপ্তরই তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে৷
সকালে বিনোদ সিং-এর মেয়ে বিনীতা সিং আয়কর দপ্তরে গিয়ে জানতে পারেন আয়কর দপ্তর কোন তল্লাশি করতে যায়নি৷ বিনীতা সিং সেখান থেকেই চলে যান বাগুইআটি থানায়৷ সেখানে অভিযোগ দায়ের করার সময় তিনি পুলিশকে জানায় হানা দাররা বিনীতার সৎমা আরতি সিং-এর গয়না টাকা পয়সায় হাত দেয়নি৷
পুলিশের সন্দেহ হয় আরতি সিং-এর ওপর৷ বাগুইআটি থানার আইসি অমিত কুমার মিত্র তদন্ত করে আরতি সিং ও পাঁচ সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স - (সি আই এস এফ)-এর পাঁচ জওয়ানকে গ্রেপ্তার করে৷ ধৃতদের মধ্যে সি.আই.এস.এফ-এর এক মহিলা কনস্টেবল আছে যিনি কিছুদিন আগেও আর জি কর হাসপাতালে পোষ্টিং ছিলেন৷ ওই মহিলা ছাড়াও ছিলেন সি আই এস এফের একজন ইন্সপেক্টর একজন হেড কনস্টেবল ও বাকী দুজন কনস্টেবল৷ সি আই এফ এফের পক্ষ থেকে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে৷ পাঁচ জওয়ানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷
সি.আই.এস.এফ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন৷ সাধারণ মানুষের প্রশ্ণ যাদের হাতে মানুষকে নিরাপত্তা দেবার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে তারাই যদি এই ধরণের জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়, রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?
পুলিশ জানিয়েছে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই সৎমা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাঁর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সি.আই.এস.এফের সঙ্গে যোগাযোগ করে৷