সংবাদ দর্পণ

২০২৩ পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম বছর---দাবী নাসার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

২০২৩ সালের গ্রীষ্মকালের শুরু থেকে আবহাওয়ার তাপমাত্রা দীর্ঘদিন বেড়েই চলেছে৷ এই তথ্য সামনে এনেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও ন্যাশনাল ওশানিক ওশানিক এ্যাটমোস্ফিয়ারিক এ্যাডমিনিস্ট্রেশন৷ তাদের দাবি এই বছরের জুন থেকে আগষ্ট মাস পৃথিবীর উষ্ণতম সময় ছিল৷ এটাই ছিল উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে উষ্ণ গ্রীষ্মকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে উষ্ণ শীতকাল৷ নাসার বিল নেলসন জানান--- ‘এই রেকর্ড তাপমাত্রা শুধুমাত্র একটি সংখ্যা নয়৷ এটি বাস্তবে বিশ্বের ভয়াবহ পরিণতির কথা জানাচ্ছে৷ আমেরিকা ও  কানাডায় দাবানল ও ইউরোপ ও এশিয়ার বন্যা, ভূমিকম্প প্রভৃতি এরূপ বহু ভয়াবহ পরিস্থিতির  সৃষ্টি হয়েছে সারাবিশ্বে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলেছে মানবজীবন ও জীবিকার ওপর৷ এই উষ্ণতা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খুবই ক্ষতিকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷

 

মুর্শিদাবাদের কিরীটেশ্বরী ভারত সেরা পর্যটন গ্রাম

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রামের কিরীটেশ্বরী গ্রাম ভারত সেরা পর্যটন গ্রামের শিরোপা পেল৷ কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের বেস্ট ভিলেজ কম্পিটিশনে ২০২৩ সালে দেশের ৩১টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থেকে ৭৯৫টি আবেদন জমা পড়ে, তা থেকে কিরীটেশ্বরীকে বেছে নেয় কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক৷ পুরান অনুযায়ী এই কিরীটেশ্বরী গ্রামে সতীর মুকুট অর্থাৎ কিরীট পড়েছিল৷ সেই থেকেই মন্দিরের দেবীর নাম হয় কিরীটেশ্বরী ও গ্রামের নামও হয় কিরীটেশ্বরী গ্রাম৷ আগামী ২৭শে সেপ্ঢেম্বর দিল্লীতে পুরস্কার দেওয়া হবে৷ পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানান গ্রামটিকে আরও সুন্দর করে সাজান হবে৷

 

মহিলা সংরক্ষণ বিল-বিপাকে বিজেপি

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বিশেষ অধিবেশন ডেকে শুধুমাত্র কৃতিত্ব নেবার জন্যে সাত তাড়াতাড়ি লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হলো মহিলা সংরক্ষণ বিল৷ এই বিল পাশে কৃতিত্ব কার এ নিয়ে শাসক বিরোধী তর্জা শুরু হয়েছে৷ তবে বিল পাশে চমক থাকলেও বিল নিয়ে চমকাবার মত কিছু নেই৷ এর আগেও লোকসভা রাজ্যসভায় উঠেছিল এই বিল৷ মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় রাজ্যসভায় পাশও হয়েছিল এই বিল৷ এই বিল কার্যকর হলে লোকসভায় ৩৩ শতাংশ মহিলা সাংসদ থাকবে৷ তবে নারী ক্ষমতায়নে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে অনেক এগিয়ে৷ ইতিমধ্যে  ত্রি-স্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৫০শতাংশ মহিলাদের জন্যে সংরক্ষিত৷

যত তাড়াতাড়ি মোদি সরকার হাঁকডাক করে লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ  করালেন, তা কিন্তু কার্যকর হতে ২০২৯ আগে সম্ভব নয়৷

 এখানেই  বিপাকে  পড়েছে বিজেপি৷ কারণ বিজেপি সরকারের বিলে আইনে ৩৩৪ এ ধারায় বলা হয়েছে পরবর্তী ডিলিমিটেশনের পর চালু হবে সংরক্ষণ আইন৷ বিরোধীরা এই সুযোগকে হাতছাড়া করেনি৷ কারণ পরবর্তী ডিলিমিটেশন ২০২৬ এর আগে হবে না৷ তাই মহিলা সংরক্ষণ আইন কার্য করতে ২০২৯ এর আগে সম্ভব নয়৷ বিরোধীদের দাবী ২০২৪ এই বিল কার্যকর করতে হবে৷ প্রয়োজনে আইনের ৩৩৪ এ ধারা ফিরিয়ে নেওয়া হোক এ চটজলদি বিল আনতে গিয়ে এখন বিপাকে বিজেপি৷ দলের অন্দরেই সংশয় দেখা দিয়েছে বিশেষ অধিবেশন ডেকে বিল পাশের সুযোগ ২০২৪ এর ভোটে কতটা নিতে পারবে বিজেপি৷

 

বনগাঁয় অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৭ই সেপ্ঢেম্বর উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁ মেদিয়া পাড়ার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী সরলা দেবীর বাড়ীতে ছয় ঘন্টা অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ মহানাম মন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ সকাল ৬টায় কীর্ত্তন শুরু হয়৷ কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য ভাবপ্রকাশা -নন্দ অবধূত ও আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত৷ কীর্ত্তন পরিবেশনায় ছিলেন শ্রীকুমুদ দাস, হরলাল হাজারী প্রমুখ৷ কীর্ত্তন শেষে কীর্ত্তনের মহিমা বর্ণনা করে বক্তব্য রাখেন ভুক্তিপ্রধান শ্রীসন্তোষ বিশ্বাস, আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত, আচার্য বোধিসত্ত্বানন্দ অবধূত প্রমুখ৷ কীর্ত্তন উপলক্ষ্যে সরলা দেবীর বাসগৃহে জেলার মার্গী ভাইবোন ছাড়াও বহু সাধারণ মানুষও সমবেত হয়েছিলেন৷

 

ক্যান্সারের গবেষণায় বিজ্ঞানের ঘরে অস্কার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বিশ্বে এক কোটির বেশি মানুষ পার্কিনসন্স ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তা উঠে এসেছে পার্কিনসন্স ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায়৷ ১৮১৭ সালে চিকিৎসক জেমস পার্কিনসন্স চিহ্ণিত এই রোগ সম্পর্কে দু’দশক আগেও মানুষের ধারণা তেমন ছিল না৷ বর্তমানে শুধু প্রবীন ব্যক্তি নয়, বহু কমবয়সি তরুণরাও পার্কিনসন্স আক্রান্তের সংখ্যায় চিন্তার বিষয়৷ ক্যানসারের মতোই বেড়ে চলেছে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা৷ যদিও এর গবেষণা চলছে নিরন্তর৷ যার স্বীকৃতি মিলল আন্তর্জাতিক স্তরে৷ স্বীকৃতি পেয়েছে ক্যান্সার থেরাপির গবেষণাও৷

২০২৪ সালের ব্রেকথ্রু প্রাইজ ফাউন্ডেশন মূলত পার্কিনসন্স ডিজিজ, কার টি সেল ---সি এ আর টি, এটি মলিকিউলার জেনেটিক কোডিং, ক্যান্সার থেরাপি ও সিস্টিক ফাইব্রোসিসের গবেষণাকে সম্মান জানাতে পুরস্কার দিয়ে থাকেন৷ এবারে আটজন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে৷ বিজ্ঞানের জগতে অস্কার সাথে তুলনা করা হয় এই পুরস্কারকে৷ আগামী বছরের ১৩ই এপ্রিল আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসে দেওয়া হবে পুরস্কার৷ বিজ্ঞানের এমন সাফল্যের জন্য সমস্ত বিজ্ঞানমহলে এক উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে৷ পার্কিনসন্স ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিৎসার গবেষণা সত্যিই এক অবিস্মরণীয় ঘটনা৷

 

প্রতি দশে একজন অভুক্ত---হিসাব পেশ করল রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্যসংস্থা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত ২১শে সেপ্ঢেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্যসংস্থার তরফে একটি হিসেব পেশ করা হয়েছে৷ তাতে জানানো হয়েছে--- পৃথিবীতে এই মুহূর্তে ৭০ কোটি মানুষ জানেন না, তাঁরা আবার কখন খেতে পাবেন বা আদৌ পাবেন কি না৷ প্রতি দশ জনের মধ্যে একজনকে রাতে অভুক্ত অবস্থাতেই ঘুমোতে যেতে হয়৷ সংস্থা আরও জানিয়েছে, ক্ষুধার সঙ্কট ক্রমবর্ধমান৷ কিন্ত সংস্থার কোষাগার ক্রমশ শুকিয়ে আসছে৷ বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের কার্যনির্বাহী সিন্ডি ম্যাকেন নিরাপত্তা  পরিষদকে জানান--- অনুদানের অভাবে খাদ্য রেশনে কাঁটছাঁট করতে হয়েছে৷ আমরা এমন সব  ঘটমান ও দীর্ঘমেয়াদি সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চলেছি, যাতে মানবিক অভাব-অনটন বেড়ে যাচ্ছে৷ এটাই এখন ‘নিউ নরমাল’৷ এরধাক্কা আরও অনেক বছর ভুগতে হবে৷’’ এই সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে সামরিক সংঘর্ষ, অর্থনৈতিক ধাক্কা, পরিবেশ সঙ্কট ও সারের দামবৃদ্ধি৷ এই সবের মিলিত  অভিঘাতে, বিশ্ব খাদপ্রকল্পের নিজস্ব হিসাব বলছে, ৫০টি দেশে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের ঠিক আগের অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন৷ পাঁচের কম বয়সি সাড়ে চার কোটি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে৷ সাড়ে ৩৪ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে খাদ্যের কোন নিরাপত্তা নেই৷ এই সংখ্যাটা ২০২১-এর গোড়াতেও এর চেয়ে ২০ কোটি কম ছিল৷

অতিমারি ও ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি অনেক বেশি ঘোরালো করে তুলেছে বলে সরাসরিই মানছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্তারা৷ সারের দাম বাড়ায় ধান, গম, ভুট্টা, সয়াবিনের ফলন কমেছে৷ এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে  সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে রাষ্ট্রপুঞ্জ৷

 

ভূমিকম্পে বিধবস্ত মরক্কোয় এ্যামার্টের ত্রাণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

সম্প্রতি ভূমিকম্প বিধবস্ত মরক্কোর  মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সাল রিলিফ টিম৷ ১৯০০ সালের পর এই ধরণের বিধবস্ত ভূমিকম্প আর হয়নি৷ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৮৷ প্রায় তিনহাজার মানুষ নিহত হয়েছে এই ভূমিকম্পে৷ আহতও হয়েছে বহু মানুষ৷ যারা জীবিত আkyampছেন তারা অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে চোখের সামনে এই বীভৎস্য ধবংস দেখে৷ আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্সালের একটি টীম মারাকাস থেকে ত্রাণ কার্য পরিচালনা করছে৷ ভূমিকম্প বিধবস্ত গ্রামগুলিতে বেশীরভাগ ঘর বাড়ি ভেঙে পড়েছে৷ আনন্দমার্গ রিলিফ টীম খাদ্যদ্রব্য ও আশ্রয় ব্যবস্থার করার পাশাপাশি মানসিকভাবে বিধবস্ত মানুষজনের মনোবলকে বাড়ানোর কাজ করে চলেছে৷ এছাড়া আশ্রয়হীনদের জন্য উন্নতমানের টেন্ট তৈরী করে দিচ্ছে এ্যামার্টের রিলিফ টীম৷

 

ভোগ সর্বস্ব একপেশে জড়বাদী জীবন সামাজিক-অর্থনৈতিক অবনতির কারণ

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ গত ১৮ই সেপ্ঢেম্বর শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় বলেন---মানুষের অস্তিত্ব ত্রিস্তরীয়---শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক৷ মানুষের উন্নতি মানে এই ত্রিস্তরীয় সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি৷ এই সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি যদি না থাকে তাহলে উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হবে৷ বর্তমানে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির হাত ধরে বা আধুনিকতার ছাপ মেরে যে বিপুল উন্নতির বড়াই আমরা করি এই তথাকথিত উন্নতি যে অনেক জটিল প্রশ্ণের সম্মুখে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, তা আজ কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না৷ তার কারণ একটাই৷  বাড়ী, গাড়ী, রাস্তা-ঘাট, পোষাক-পরিচ্ছদ, নানান্‌ সুস্বাদু খাওয়া-দাওয়া এসবের জাঁকজমকের পাশাপাশি দুর্নীতি, যৌন কেলেঙ্কারী, মানবিকতার অভাব, শোষণ, খুন-জখম এসবও যে মহামারীর মত ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে তা আমরা নিশ্চয়ই প্রত্যক্ষ করছি৷ এই জন্যেই বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ, আমরা উন্নতির সোপান বেয়ে ওপরের দিকে উঠছি না, অধঃপতনের ঢালু পথ বেযে ক্রমশঃ গড়িয়ে নীচের দিকে গড়িয়ে যাচ্ছি---এই নিয়ে প্রশ্ণ উঠছে৷

একদিকে সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ কোটি কোটি টাকা বিলাস-ব্যসনে অহরহই উড়িয়ে চলেছে, অন্যদিকে এখনও ফুটপাতে বস্তিতে-গ্রামাঞ্চলে নিরন্ন মানুষের হাহাকার, কোনরকমে দিনের পর দিন ইঁদুর খেয়ে জীবন ধারণ---এসব কী প্রগতির পরিচয়? একদিকে দেশের পুঁজিপতি, মন্ত্রী আর আমলাদের আর বিভিন্ন অফিসের উচ্চ পদাধিধারীদের বিপুল আয়বৃদ্ধি ঘটছে, আর অন্যদিকে দেশের কোটি কোটি বেকারের ও ছোট-খাট কাজ কারবার করে’ যারা কোনও রকমে জীবিকা নির্বাহ করছে তাদের অভাবও বেড়ে চলেছে৷

শ্রী খাঁ বলেন কিন্তু আমাদের  আলোচ্য বিষয় হ’ল শরীর, মন ও আত্মা৷ আমাদের শরীরকে চালায় মন৷ আমরা আমাদের শরীর সম্পর্কে খুব বেশী সচেতন৷ শরীরের সুখ অর্থাৎ ইন্দ্রিয় সুখটাকেই আমরা সাধারণত সুখের পরাকাষ্ঠা ভাবি৷ আর এই সুখের পেছনেই ছুটে চলার সহায়ক হিসেবে  বিজ্ঞানকে ব্যবহার করি৷ ফলে অনিয়ন্ত্রিত ইন্দ্রিয়সুখ আমাদের সর্বনাশ ডেকে আনে৷ এইভাবে মানুষ দৈহিক, মানসিক, নৈতিক ও আত্মিক --- সব দিক থেকেই নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছে৷ কীভাবে মনের বিকাশ ঘটানো যায়, কীভাবে মনের মধ্যে শুভবুদ্ধির জাগরণ ঘটে, মানবিকতাবোধের বিকাশ ঘটে, নৈতিক মানের উন্নয়ন হয়---তা জানা কেবল জড়বিজ্ঞানকেন্দ্রিক আধুনিক জ্ঞানের মাধ্যমে সম্ভব নয়৷ মনের ঊধর্বতম স্তরে আছে ‘সত্য - শিব - সুন্দর’-ময় সূক্ষ্মতম আত্মার অবস্থান৷ এ সমস্ত অধ্যাত্ম বিজ্ঞানের অন্তর্গত৷ নীতিবিজ্ঞান (যম-নিয়ম) এর প্রারম্ভিক স্তর৷ তাই উপযুক্ত নীতিশিক্ষা ও অধ্যাত্ম শিক্ষাকে উপেক্ষা করে যে আধূনিকতা তা মানুষের প্রকৃত কল্যাণ করতে পারে না৷

এখানে একথাও বলে রাখা প্রয়োজন বর্তমানের তথাকথিত বিজ্ঞান বা ভৌতবিজ্ঞানকে অস্বীকার করার কথা বলা হচ্ছে না, বরং ভৌত বিজ্ঞানের সঙ্গে নৈতিক ও আধ্যাত্ম-বিজ্ঞানের সমন্বয় সাধনের কথাই বলা হয়েছে৷ বৈজ্ঞানিক আইনস্টাইন এই কথাই বলেছিলেন---‘Science without religion is lame and religion without science is blind.’ ধর্ম ছাড়া বিজ্ঞান খোঁড়া ও বিজ্ঞান ছাড়া ধর্ম অন্ধ---দুইয়ের সামঞ্জস্য দরকার৷

জীবনের সর্বক্ষেত্রে ---সমাজের সর্বক্ষেত্রে এই কথাটি খাটে৷ ---এ যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক প্রাউট প্রবক্তা এই কথাটাই বলেছেন৷---এই সমস্ত দিকগুলির সুসন্তুলিত(balanced) উন্নয়নের মধ্যে দিয়েই সমাজের সার্বিক উন্নতি সম্ভব৷ অন্যথা, সব কিছু শেষ পর্যন্ত ভস্মে ঘি ঢালার সামিল হবে৷

তাই বলি, মানব জীবনের ত্রিস্তরীয় উন্নতি সামঞ্জস্যপূর্ণ৷ উন্নতি ছাড়া যে একপেশে উন্নতি তা প্রকৃতপক্ষে উন্নতি নয়, কারণ তা অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবনতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷

 

পাঁচ বাঙালীর শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেশের  সবথেকে বড় পুরস্কার শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার পেলেন পাঁচজন বাঙালী গবেষক৷ ২০২২ সালে সাতটি বিষয়ে মোট ১৩ জনকে শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার দেওয়া হয়েছে৷ এদের মধ্যে ৫জনই বাঙালী৷ যাদবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজির বাঙালী গবেষক বিশিষ্ট চিকিৎসক দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়৷ ইমিউনোলজি বিশেষজ্ঞ দীপ্যমান বাবু কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র৷ ইমিউনোলজির অত্যাধুনিক গবেষনার জন্য ল্যাব-পরিকাঠামো তৈরী, অটো ইমিউনিটি ও মেটাফ্লামেশন ও অতিমারির সময় কোভিড নিয়ে গবেষণার জন্যে তিনি এই পুরস্কারে সম্মানিত হন কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্ত কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যাণ্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ৷ বর্তমানে কলকাতার ঢাকুরিয়া বাসিন্দা হলেও দীপ্যমান বাবুর আদিবাস খড়দহের রিজেন্ট পার্কে৷

দীপ্যমানবাবু ছাড়াও আরও চারজন বাঙালী এই পুরস্কার পান৷ বেঙ্গালুরুর মাইক্রোসফট রিসার্চ ল্যাবের নীরজ কয়াল, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের অনিন্দ্য দাস,মুম্বাই টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের বাসুদেব দাশগুপ্ত ও মুম্বাই আই আইটির দেবব্রত মাইতি৷ নীরজ কয়াল ম্যাথামেটিক্যাল সায়েন্সে, অনিন্দ্য দাস ও বাসদেব দাশগুপ্ত ফিজিক্যাল সায়েন্সে পুরস্কার পান৷

 

সূর্যের দিকে তৃতীয় কক্ষপথ পার আদিত্যের

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বর্তমানে আদিত্য নামের এই মহাকাশ যানটি ২৯৬ কিমি ৭১ হাজার ৯৬৭ কিমির একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে৷ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পৃথিবীর তৃতীয় কক্ষপথ পার করল আদিত্য-এল-১৷

ভারতীয় মহাকাশের গবেষণা কেন্দ্র বা ইসরো তাদের এক্স হ্যান্ডেলে এই সংবাদ দিয়েছে৷ ভারতের বেঙ্গালুরু, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা ও পোর্টব্লেয়ার ছাড়াও মরিশাস থেকে আদিত্যের কক্ষপথ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে নিয়মিত৷ তারাই জানিয়েছে, চলতি মাসের ১৫ তারিখ বেলা দুটো নাগাদ আদিত্যের পরবর্তী কক্ষপথ পরিবর্তন করবে৷ ইসরোর দাবি, ১৮ সেপ্ঢেম্বরের মধ্যে আদিত্য চারবার পৃথিবীর চারপাশে ঘুরবে৷ এখনও পর্যন্ত ঠিকঠাকই কাজ করছে এই মহাকাশ যান৷ আগামী বছর ফেব্রুয়ারীতে প্রথম সূর্যের ছবি পাঠাবে আদিত্য৷ আর এটা যদি সম্ভব হয় তবে ভারতের প্রথম সূর্র্যভিযান সফল হতে পারে৷