সংবাদ দর্পণ

চুঁচুড়ায় দুঃস্থদের মধ্যে আহার্য প্রদান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৩০শে আগষ্ট চুঁচুড়া আনন্দমার্গ ত্রাণ শাখার পক্ষ থেকে এলাকার কয়েকটি স্থানে কিছু দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে আহার্য প্রদান করা হয়৷ আনন্দমার্গের প্রবীন সাধক স্নেহময় দত্ত তাঁর প্রয়াত স্ত্রী কৃষ্ণা দত্তের স্মরণে নিজ উদ্যোগে এই ব্যবস্থা করেন৷ আহার্য প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মার্গের কর্মী মানস মণ্ডল, রঞ্জন দে ও মিতালী সানা৷

চুঁচুড়ায় অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠান

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১লা সেপ্ঢেম্বর আনন্দমার্গের প্রবীন সাধক শ্রী স্নেহময় দত্তের বাসগৃহে অখণ্ড ৰাৰা নাম কেবলম্‌ স্থানীয় মার্গের সকল সাধক-সাধিকাবৃন্দের ভক্তিমূলক কীর্ত্তন পরিবেশনায় উপস্থিত সকলে আপ্লুত হন৷ অনুষ্ঠানে শ্রী দত্তের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন৷ কীর্ত্তন ও পূজা পাঠ শেষে মিলিত আহারে সকলে অংশগ্রহণ করেন৷

কোচবিহারে সাধনা শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৩-১৫ই সেপ্ঢেম্বর কোচবিহার নিউটাউন আনন্দমার্গ স্কুলে তিনদিনের একটি সাধনা শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ এই শিবিরে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দুইশত মার্গী ভাই বোন যোগ দিয়েছিলেন৷ শিবিরের মুখ্য প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য বিকাশানন্দ অবধূত৷ তিনি সাধনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন৷ তাঁর মনোজ্ঞ আলোচনায় মার্গী ভাইবোনরা অত্যন্ত উপকৃত হয়৷ তারা দৈনন্দিন সাধনার সময় যেসব ভুল ত্রুটি ছিল তা বুঝে সংশোধন করে নেন ও সাধনায় অনুপ্রাণিত হন৷ তিনদিনের এই সাধনা শিবিরে আচার্য বোধিসত্ত্বানন্দ অবধূত তাঁর ক্লাসে মার্গীদের প্রাত্যহিক দুবেলা সাধনায় বসতে অনুপ্রাণিত করেন৷ এই সাধনা শিবিরটি পরিচালনা করেন কোচবিহার ডিট.এস. আচার্য কৃষ্ণধ্যানানন্দ অবধূত ও জেলার ভুক্তিপ্রধান বাসুদেব মল্লিক৷ সহযোগিতায় ছিলেন স্থানীয় মার্গীবৃন্দ৷

সংস্কৃতির অঙ্গণে সুপ্রভাতের প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রভাত সঙ্গীতের আবির্ভাব - ১৪ই সেপ্ঢেম্বর মহাসমারোহে প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

১৪ই সেপ্ঢেম্বর’২০২৪,‘প্রভাতসঙ্গীত দিবসে’র ৪২তম বর্ষপূর্ত্তিতে রেণেশাঁ আর্টিস্ট এন্ড রাইটার্স এ্যসোসিয়েশন সংক্ষেপে রাওয়া’র পক্ষ থেকে কলকাতার ভি.আই.পি বাজার, তিলজলাস্থিত আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের কেন্দ্রীয় আশ্রমে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ ১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর দেওঘরে ‘বন্ধু হে নিয়ে চলো’ এই সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রথম প্রভাতসঙ্গীত রচনা ও সুরারোপ করেন মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তথা আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা মহান ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী৷১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ২০শে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ৮বছর সময় কালে তিনি বাংলা, সংস্কৃত, ইংরেজী, হিন্দী, ঊর্দু, অঙ্গিকা, মগহী ও মৈথিলী এই প্রভৃতি ভাষায় ৫০১৮ সঙ্গীত রচনা ও সুরারোপ করেন৷ এই বিশাল সঙ্গীত সম্ভারই বর্তমান বিশ্বে ‘প্রভাতসঙ্গীত’ নামে জনপ্রিয় ও সুপরিচিত৷ ১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রথম ‘প্রভাতসঙ্গীত’ রচনা ও সুরারোপ করা হয় বলেই এইদিনটি ‘প্রভাতসঙ্গীত দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে৷

রাওয়া আয়োজিত ‘সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে’ সভাপতিত্ব করেন আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের পুরোধা বোর্ডের সচিব তথা প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য ভবেশানন্দ অবধূত৷ এছাড়াও অতিথিগণের মধ্যে ছিলেন-সঙ্ঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত, কেন্দ্রীয় কার্যালয় অধ্যক্ষ আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত, কেন্দ্রীয় জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত, আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের মহিলা বিভাগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যা তথা প্রবীণ সন্ন্যাসিনী অবধূতিকা আনন্দ করুণা আচার্যা, সঙ্ঘের নারীকল্যাণ বিভাগের প্রধানা অবধূতিকা আনন্দ বিশোকা আচার্যা৷

মার্গ গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্তীজীর্ প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রজ্বোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়৷ ‘প্রভাতসঙ্গীত’ অবলম্বনে সমবেত সঙ্গীত, একক সঙ্গীত, সমবেত নৃত্য, একক নৃত্য পরিবেশিত হয়৷ প্রবীণ প্রভাতসঙ্গীত শিল্পী আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত,প্রভাতসঙ্গীতজ্ঞ আচার্য প্রিয়শিবানন্দ অবধূত এঁরা এই অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন৷ এছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী শ্রীমতি শ্বাশ্বতী চৌধুরী, শিল্পী অবধূতিকা আনন্দ অভীষা আচার্যা প্রমুখ৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্রীতপোময় বিশ্বাস৷

চুঁচুড়ায় প্রভাত সঙ্গীত দিবস---গত ১৪ই সেপ্ঢেম্বর চুঁচুড়া আনন্দমার্গ স্কুলে প্রভাত সঙ্গীত দিবস পালিত হয়৷ ওইদিন প্রভাত সঙ্গীত ও প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য পরিবেশন করেন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রাবৃন্দ৷ প্রভাত সঙ্গীতের ওপর ক্যুইজ প্রতিযোগিতা হয়৷ অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রথম প্রভাত সঙ্গীত--- ‘বন্ধু হে নিয়ে চলো’ এই গানটির পরিবেশন করে৷ দুর্র্যেগপূর্ণ আবহাওয়োর মধ্যেও অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রাবৃন্দ উৎসাহের সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷ ক্যুইজ ও সঙ্গীত পরিচালনা করেন শিক্ষক তপোময় কুণ্ডু, নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন পরিক্ষিত চক্রবর্তী, সঞ্চালনা ও প্রভাত সঙ্গীতের ওপর আলোকপাত করেন স্নেহময় দত্ত৷ স্কুলের শিক্ষক রঞ্জন দে, মানস মণ্ডল, রঞ্জিত দাস প্রমুখের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান সফল হয়ে ওঠে৷

এক দেশ এক ভোট যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

২০১৪ সালে শপথ নেবার আগেই নরেন্দ্র মোদী জোর গলায় ঘোষনা করেছিলেন--- ‘আচ্ছা দিন এসে গেছে’৷ সুইস ব্যাঙ্কের কালোটাকা, শূন্য এ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ, দুর্নীতিমুক্ত দেশ--- সব কথার কথা নোট বন্দি রাম মন্দিরে ঢাকা পড়ে যায়৷ তবে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বড় ঘা খেয়েছে মোদি ম্যাজিক৷ ৪০০ পারের হুঙ্কার দিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন৷ ভোটের ফলে ৪০০ পার তো দুরের কথা একক গরিষ্ঠতাও পায়নি৷ ২৪০-এই থেমে যেতে হয়েছে৷ যোগী রাজ্যে ভরাডুবি হয়েছে৷ মোদি নিজেও গতবারের তুলনায় অনেক কম মার্জিনে জয়ী হয়েছে৷ এই অবস্থায় জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে এক দেশ এক ভোটের স্লোগান৷

গত ১৮ই সেপ্ঢেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে এক দেশ এক ভোট প্রস্তাব অনুমোদিত হয়৷ তার আগে কেন্দ্রীয় সরকার ঘটিত রামনাথ কোবিন্দ কমিটি এক দেশ এক ভোট বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে৷ কমিটির কাছে মোট ৪৭টি দল মতামত জানায়৷ ১৫টি দল বিপক্ষে মত দেয় বাকী ৩২টি দল সমর্থন করেন৷ কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে সমস্ত আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে ২০২৯ সালে চালু করা সম্ভব হবে এই ব্যবস্থা৷

ইন্ডিয়া জোট এই ব্যবস্থা মানবে না একথা তারা আগেই জানিয়েছে৷ এখন ইন্ডিয়া জোটের বক্তব্য মোদি সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নূতন ইস্যুর দিকে মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে৷ এই প্রক্রিয়ার দ্বারা স্বৈরাচারী মোদী সরকার রাজ্যগুলির ক্ষমতাকে আরও বেশী করে কেন্দ্রীকরণ করতে চাইছে৷ বর্তমান লোকসভা ও রাজ্যসভায় আসনের নিরিখে শাসক দল ও বিরোধী দলের যে অবস্থান তাতে এই বিল পাশ করাতে সরকারকে অনেক বেশী কাঠ খড় পোড়াতে হবে৷ এই বিল পাশ করাতে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন প্রয়োজন৷ কিন্তু লোকসভায় শাসক জোটের সদস্য সংখ্যা ২৯৩, প্রয়োজন ৩৬২ জন সাংসদের৷ একই ভাবে রাজ্য সভায় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পেতে হলে ১৬৪জন সদস্যের সমর্থন দরকার৷ কিন্তু সরকারের হাতে আছে মাত্র ১১৫৷ তাই উভয় কক্ষেই শাসকদল দুই-তৃতীয়াংশ থেকে অনেক দুরে৷ এই অবস্থায় দেখার প্রয়োজন এই বিল পাশ করাতে ‘অপারেশন লোটাস’ কতদুর যায়৷

আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় কমিটির সংঘটন সচিব তপোময় বিশ্বাস এক প্রেস বার্র্তয় জানান--- যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আজ আর সেই পরিস্থিতি নেই এক দেশ এক ভোট করার৷ বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল ক্ষমতায়৷ স্বাধীনতার পর প্রথম এক দশক একবারই ভোট হতো৷ তখন গোটা দেশে একপ্রকার একদলেরই শাসন ছিল৷ বর্তমানে জোর করে এক দেশ এক ভোট আইন চাপিয়ে দিলে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে সংহতি বিপন্ন হবে৷ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে৷ ভারতের পরিণতি শোভিয়েত ইয়ূনিয়নের মতো হতে পারে, তাই এই নীতি প্রয়োগের আগে সরকারকে অনেকবার ভাবতে হবে৷

ডিভিসির ছাড়া জলে বন্যার কবলে দক্ষিণবঙ্গ

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

 ডিভিসির ছাড়া জলে বন্যার কবলে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল৷ হুগলী জেলার আরামবাগ, খানাকুল, হাওড়া, উদয় নারায়ণপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সহ বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমানের বেশ কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে৷ সরকারী হিসেবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৪৫ লক্ষ মানুষ৷ এই সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত রাজ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ রাজ্য ও কেন্দ্রের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার কার্যে নেমেছে৷ এখনও পর্যন্ত ১লক্ষ ৪৪ হাজার মানুষকে প্রশাসনিক উদ্যোগে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হুগলী ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বন্যা কবলিত বেশ কিছু অঞ্চল ঘুরে দেখেন৷

মুখ্যমন্ত্রী এই বন্যার জন্যে ডিভিসিকে দায়ী করেন৷ তিনি বলেন ঝাড়খণ্ডের জলে বাঙলা ডুবছে৷ দীর্ঘ বছর নদীর পলি সরানো হচ্ছে না৷ ফলে বাঁধগুলির জল ধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে৷ ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জানায় দামোদর অববাহিকায় মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে ডিভিসি জল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে৷

পারমাণবিক কেন্দ্র তৈরী হতে পারে চাঁদের জমিতে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

চাঁদে নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা মাথায় রেখে রাশিয়া ও চিন ২০৩৫ সালের মধ্যে চাঁদের বুকে পারমাণবিক চুল্লি তৈরির পরিকল্পনা করেছে৷ আর এই অভিযানে রাশিয়ার সঙ্গে দুই যুযুধান ভারত-চিন হাত মিলিয়েছে বলে খবর৷ রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘তাস’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘রসকসমস’ এবং চিনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘সিএনএসএ’ যৌথ উদ্যোগে চাঁদের বুকে ঘাঁটি গড়ে তুলতে আগ্রহী৷ এই অভিযানে রাশিয়া-চিনের সঙ্গে থাকবে ভারতও৷ ২০৪০ সালের মধ্যেই পৃথিবী থেকে মহাকাশচারীদের পাঠিয়ে চাঁদে গবেষণা ও অন্বেষণ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় বন্দোবস্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা সেরে রাখতে চায় রাশিয়া৷ চাঁদের বুকে একটি গবেষণাকেন্দ্র চালানোর জন্য সবার আগে দরকার পড়বে বিদ্যুৎ সরবরাহের৷ চাঁদের বুকে নিজস্ব ঘাঁটি গড়ে তুলতে পারমাণবিক চুল্লির বিকল্প নেই৷ কারণ পৃথিবীর হিসাবে চাঁদে দিন থাকে টানা ১৪ দিন, আর টানা ১৪ দিন থাকে রাত৷তাই সৌরপ্যানেল বসিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া সম্ভব নয়৷ বিকল্প ভাবনাচিন্তা করে পারমাণবিক চুল্লি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত থাকে৷ ‘তাস’ জানিয়েছে, রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন সংস্থা রোসাটমের নেতৃত্বেই এই প্রকল্পের অন্য তিন দেশের সহযোগিতায় গড়ে তোলা হবে একটি পারমাণবিক কেন্দ্র৷ এই কেন্দ্রটিতে ৫০০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে বলে সংস্থার প্রধান অ্যালেক্সেই লিখাচেভ জানিয়েছেন৷ চাঁদের বুকে পারমাণবিক চুল্লি গড়ে তোলা মোটেই সহজ কাজ নয়৷ তবে রাশিয়া জানিয়েছে, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ওই কার্য সম্পাদন করা হবে৷ নির্মাণকার্যে মানুষের প্রয়োজন পড়বে না৷ আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাও এর আগে জানিয়েছিল, কয়েক বছরের মধ্যে তারা চাঁদে পরমাণু বিদ্যুৎ তৈরির ব্যবস্থা করবে৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, নাসা ইতিমধ্যেই চাঁদে তাদের ২০২৫ সালের আর্টেমিস-২ মিশনের জন্য প্রস্তুত৷ তারাও ৪১ কোটি টাকা খরচ করে সম্ভাব্য পারমাণবিক কেন্দ্র কোথায় তৈরি করা সম্ভব তার গবেষণার বরাত দিয়েছে কয়েকটি সংস্থাকে৷ ২০২৬ সালের সেপ্ঢেম্বরে আর্টেমিস-৩ মিশন পাঠানো হলে নভোচারীরা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে৷ এর পরে ২০২৮ সালে আর্টেমিস ৪-কে চাঁদে পাঠানো হবে বলে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে৷ ২০২১ সালে চিন এবং রাশিয়া একটি চুক্তি করে৷ সেখানে ঠিক হয়, দুই দেশ পরস্পরকে তাদের মহাকাশ গবেষণায় সাহায্য করবে৷ শুধু নিজেদের ব্যবহারের জন্য নয়, বিশ্বের অন্য আগ্রহী এবং সহযোগী দেশও চাইলে ওই ঘাঁটি থেকে চাঁদের বুকে গবেষণা চালাতে পারে বলেও জানানো হয় সেই সময়৷

সুনিতাদের দীর্ঘ পাঁচ মাস অপেক্ষার দিন শুরু

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

মাস তিনেক আগে ফ্লোরিডা থেকে তাঁদের নিয়ে মহাকাশযান রওনা দিয়েছিল মহাশূন্যের উদ্দেশে৷ সেই বাহন ফিরে এসেছে পৃথিবীতে৷ কিন্তু এখনও মহাকাশেই আটকে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস৷ মহাকাশে তাঁর সঙ্গী আর এক আমেরিকান বুচ উইলমোর৷ পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪২০ কিলোমিটার উচ্চতায় আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রয়েছেন তাঁরা৷ সেখান থেকেই সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন দুই নভশ্চর৷ প্রতিটি প্রশ্ণের উত্তরও দিয়েছেন৷ গত শুক্রবার রাতে তার সরাসরি সম্প্রচার করেছে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা৷ মহাকাশে কেমন দিন কাটছে? যে যানে চড়ে গিয়েছিলেন, তা ফেরত পাঠানোর সময় কেমন অনুভূতি হল? এমনই নানা প্রশ্ণের মুখোমুখি হয়েছেন সুনীতারা৷ উইলমোর বলেন, ‘‘আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে এসেছি৷ আমরা মহাকাশযানের পাইলট৷ তাই সেই যানকে খালি অবস্থায় ফেরত চলে যেতে দেখা আমাদের জন্য বেশ কঠিন৷ কিন্তু জীবন এমনই৷’’

সুনীতা বলেন, ‘‘আমরা যে পেশার সঙ্গে যুক্ত, তা এমনই অনিশ্চিত৷ আমরা আগেই আন্দাজ করেছিলাম, আমাদের পৃথিবীতে ফেরা কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে৷ কিন্তু আমরা ভাল আছি৷ এটাই আমাদের সবচেয়ে আনন্দের জায়গা৷ আমি মহাকাশে থাকতেই ভালবাসি৷’’

গত ৫ জুন ফ্লোরিডা থেকে সুনীতাদের নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল বোয়িং স্টারলাইনার৷ গন্তব্য ছিল মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন৷ আট দিন পরেই সেখান থেকে একই যানে চড়ে তাঁদের পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল৷ কিন্তু মহাকাশযানটিতে ত্রুটি ধরা পড়ে৷ তার ভিতরে হিলিয়াম গ্যাস লিক করছিল৷ নাসা জানায়, এই অবস্থায় ওই যানে চড়ে পৃথিবীতে ফেরা সুনীতাদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে৷ তার পর আমেরিকান সংস্থাটি সিদ্ধান্ত নেয়, আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মহাকাশেই থাকবেন দুই নভশ্চর৷ তাঁদের আরও কিছু কাজ দেওয়া হয়৷ ফেব্রুয়ারিতে মহাকাশে সুনীতাদের আনতে যাবে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের বিশেষ মহাকাশযান৷ আট দিনের সফরের মেয়াদ আট মাস হয়ে যাওয়ায় বাকি সময়ে মহাকাশে নানা গবেষণার কাজ চালাবেন সুনীতারা৷ কিছু দিন আগে ত্রুটিপূর্ণ বোয়িং স্টারলাইনারটিকে তারা পৃথিবীতে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন৷ এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে সুনীতারা একা নন, আছেন মোট ১২ জন মহাকাশচারী৷ কিছু দিন আগেই একটি মহাকাশযানে পৌঁছেছেন দু’জন রাশিয়ান এবং এক জন আমেরিকান৷ চলতি মাসে আরও দু’জনের স্পেস স্টেশনে যাওয়ার কথা৷

ইউটিউব দেখে অস্ত্রোপচার করল চিকিৎসক! বিহারে মৃত্যু কিশোরের

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

পেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ‘চিকিৎসক’-এর দ্বারস্থ হয়েছিল ১৫ বছরের কিশোর৷ ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে কিশোরের গলব্লাডার অস্ত্রোপচারও করেন চিকিৎসক ও তাঁর সঙ্গীরা৷ এর পরেই মৃত্যু হয়েছে কিশোরের৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিহারে৷

নিহত কিশোরের নাম কৃষ্ণ কুমার৷ বিহারের সারানের বাসিন্দা ওই কিশোর৷ কৃষ্ণের পরিবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কয়েক দিন ধরেই বারবার বমি করছিল সে৷ সঙ্গে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা৷ তড়িঘড়ি তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা৷ প্রাথমিক পরীক্ষার পর সেখানকার এক চিকিৎসক তাঁদের জানান, অবিলম্বে গলব্লাডার অস্ত্রোপচার করতে হবে৷ এর পর পরিবারের সম্মতি ছাড়াই ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে অস্ত্রোপচার সেরেও ফেলেন ‘চিকিৎসক’ ও তাঁর সঙ্গীরা৷ কিন্তু অস্ত্রোপচারের পরেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে কিশোরের৷ সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে অন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু রাস্তাতেই মৃত্যু হয় কিশোরের৷ ঘটনার পর থেকেই ফেরার ওই ‘চিকিৎসক’ ও তাঁর সঙ্গীরা৷ চিকিৎসকের নাম অজিত কুমার পুরি৷ তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ নিহত কিশোরের পরিবার দাবি করেছে, ওই ব্যক্তি আদৌ কোনও চিকিৎসক নন, তাঁর শংসাপত্রগুলিও ভুয়ো৷ ইতি মধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ নিহত কিশোরের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷ ওই ‘চিকিৎসক’ ও তাঁর সঙ্গীদের খোঁজ চলছে৷

গুজরাতের কচ্ছে ‘অজানা জ্বর’

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ক্রমাগত ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গুজরাত৷ তার মধ্যে নতুন বিপত্তি দেখা দিল কচ্ছ জেলার লাখপত তালুকে৷ সেখানে জ্বরে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছে চার শিশু৷ ওই শিশুদের সকলের বয়স ১২ বছরের কম৷ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ সম্ভবত নিউমোনিয়া৷ জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্টও হচ্ছে রোগীদের৷ স্থানীয় কয়েকটি পঞ্চায়েতের সদস্যদের দাবি, চিকিৎসকেরা জ্বরের কারণ নির্ণয় করতে পারেননি৷

পাকিস্তান সীমান্তের কাছেই রয়েছে এই লাখপত তালুক৷ কচ্ছের জেলাশাসক অমিত অরোরা জানিয়েছেন, ওই তালুকে ২২টি পর্যবেক্ষক দল মোতায়েন করা হয়েছে৷ জ্বরে আক্রান্তদের রক্ত, লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে৷ দেখা হচ্ছে, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, সোয়াইন ফ্লু বা ক্রিমিয়ান-কঙ্গো জ্বর হয়েছে কি না! তাঁর কথায়, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে নিউমোনাইটিসে মৃত্যু হয়েছে আক্রান্তদের৷ ছোঁয়াচে কোনও রোগ বলে মনে হচ্ছে না৷’’

কচ্ছ জেলার পঞ্চায়েতের সদস্য মীনাবা জাডেজা গুজরাতের কংগ্রেস প্রধানকে একটি চিঠি দিয়েছেন৷ সেখানে দাবি করেছেন, ৩ থেকে ৯ সেপ্ঢেম্বর ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ মৃতদের বয়স পাঁচ থেকে ৫০ বছর৷ লাখপতের প্রাক্তন সদস্য হুসেন রায়মা জানিয়েছেন, আক্রান্তদের প্রথমে লাখপত তালুকের ভার্মানগর টাউনের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল৷ সেখান থেকে ভুজের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ স্থানীয়দের দাবি, আক্রান্তদের জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট রয়েছে৷ পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ জং জাটের দাবি, চিকিৎসকেরা সঠিক ভাবে রোগের কারণ নির্ণয় করতে পারেননি৷