সংবাদ দর্পণ

রক্ষকই ভক্ষক

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

১৮ই মার্চ রাত্রি প্রায় ২টার সময় বাগুইআটি চিনার পার্কের এক ব্যবসায়ী প্রয়াত বিনোদ কুমার সিং-এর বাড়ীতে হানা দেয় আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা৷ সাদা কাগজে সিজার লিস্ট বানিয়ে প্রচুর গয়না ও নগদ তিন লক্ষ টাকা নিয়ে যায়৷ যাওয়ার সময়ে ওই আয়কর আধিকারিকরা বিনোদ সিং-এর কন্যা বিনীতাকে দিয়ে সাদা কাগজের সিজার লিস্টে সই করিয়ে নেয়৷ যাওয়ার সময় বলে যায়, তোমাকে আয়কর দপ্তরে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই৷ আয়কর দপ্তরই তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে৷

সকালে বিনোদ সিং-এর মেয়ে বিনীতা সিং আয়কর দপ্তরে গিয়ে জানতে পারেন আয়কর দপ্তর কোন তল্লাশি করতে যায়নি৷ বিনীতা সিং সেখান থেকেই চলে যান বাগুইআটি থানায়৷ সেখানে অভিযোগ দায়ের করার সময় তিনি পুলিশকে জানায় হানা দাররা বিনীতার সৎমা আরতি সিং-এর গয়না টাকা পয়সায় হাত দেয়নি৷

পুলিশের সন্দেহ হয় আরতি সিং-এর ওপর৷ বাগুইআটি থানার আইসি অমিত কুমার মিত্র তদন্ত করে আরতি সিং ও পাঁচ সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স - (সি আই এস এফ)-এর পাঁচ জওয়ানকে গ্রেপ্তার করে৷ ধৃতদের মধ্যে সি.আই.এস.এফ-এর এক মহিলা কনস্টেবল আছে যিনি কিছুদিন আগেও আর জি কর হাসপাতালে পোষ্টিং ছিলেন৷ ওই মহিলা ছাড়াও ছিলেন সি আই এস এফের একজন ইন্সপেক্টর একজন হেড কনস্টেবল ও বাকী দুজন কনস্টেবল৷ সি আই এফ এফের পক্ষ থেকে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে৷ পাঁচ জওয়ানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷

সি.আই.এস.এফ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন৷ সাধারণ মানুষের প্রশ্ণ যাদের হাতে মানুষকে নিরাপত্তা দেবার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে তারাই যদি এই ধরণের জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়, রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?

পুলিশ জানিয়েছে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই সৎমা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাঁর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সি.আই.এস.এফের সঙ্গে যোগাযোগ করে৷

চিকিৎসা গবেষনায় সেরা কলকাতা মেডিকেল

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

চিকিৎসা ও গবেষনায় দেশের সর্বোচ্চ সংস্থা আই,সি,এম, আর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ) কলকাতা মেডিকেল কলেজেকে পূর্ব ভারতে চিকিৎসা গবেষনায় সেরার স্বীকৃতি দিয়েছে৷ দ্বিতীয় স্থানে কলকাতার পিজি হাসপাতাল৷ গোটা দেশের ৮০টি মেডিকেল কলেজে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ ইয়ূনিট আছে৷ আই সি এম আর এই কাজে তত্ত্বাবধান করে ও সেই অনুযায়ী আর্থিক অনুদান দেয়৷ এই ৮০টি কলেজের মধ্যে বিশেষ স্কোরিং পদ্ধতিতে সেরা বাছাই করা হয়৷

১০-এর মধ্যে যারা ৮ বা তার বেশী পেয়েছে, এই রকম ১২টি কলেজ নির্বাচিত হয়৷ এই ১২টির মধ্যে পূর্ব ভারতের একমাত্র কলিকাতা মেডিকেল কলেজ আছে৷ পূর্ব ভারতে চিকিৎসা গবেষনার কাজে দ্বিতীয় স্থানে আছে পিজি হাসপাতাল৷

মোদি সরকারের আমলে অবহেলিত মধ্যবিত্ত আয়ের অঙ্কে ২০০ বছর পিছিয়ে গেছে ভারত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

২০৪৭ সালে ভারত উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে৷ অর্থনীতিতে ভারত এখনই তিন নম্বরে চলে আসবে৷ মোদি সরকারের আমলা, মন্ত্রী ও দলীয় অনুগামীদের ঢাক-ঢোল পিটিয়ে এই সব প্রচারের মাঝে বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে দেশের আর্থিক অবস্থার প্রকৃত চিত্রটি তুলে ধরছে৷ সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল লেবার অরগানাইজেশন (আই.এল.ও) তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখিয়েছে মোদির আমলে ২০২৩ সালে ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণী আয়ের অঙ্কে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর আমলে পিছিয়ে গেছে৷ আই.এল.ওর ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ডেটার প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে ২০০৬ সালে বেতন বৃদ্ধির হার ছিল ৯.৩ শতাংশ,২০২৩ সালে কমে হয়েছে ০.১ শতাংশ মাত্র৷ ভারতীয় শ্রমিকরা ঘন্টা পিছু গড় আয়ে নীচের দিকে ৫ম স্থানে৷ প্রতিবেদনে দেখান হয়েছে ১৮২০ সালে দেশের জাতীয় আয়ের ১০.৮ শতাংশ আসত দরিদ্রতম মানুষের হাতে যা দেশের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ৷ মধ্যবিত্ত এক তৃতীয়াংশের ১৫ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১৪.৯ শতাংশ৷ ১৮২০ সালে জাতীয় আয়ের ৭৩.২ শতাংশ ধনিক শ্রেণীর হাতে ছিল৷ ২০২৩ সালে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৭৭.৮ শতাংশ৷ এই পরিসংখ্যান স্পষ্ট করছে মোদির আমলে দেশে ধনি মধ্যবিত্তের আয় বৈষম্য বাড়ছে৷ আই এল ওর পরিসংখানে দেশে মধ্যবিত্তের গড় আয় ২লক্ষ ৬০হাজার টাকা৷ যার মাসিক আয় একটা সাধারণ মানের আইফোনের থেকে অনেক কম৷

আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা বলেন--- আর্থিক অব্যবস্থার বোঝা বইতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে আর ধনী আরও ফুলে ফেঁপে উঠছে৷ মোদি দেশবাসীকে স্বপ্ণ দেখাচ্ছে পর্বত চূড়ায় ওঠায়, কিন্তু মোদির অর্থনীতি ছুটছে সাগর পানে স্বখ্যাত সলিলে৷ শ্রীসিন্‌হা অভিযোগ করেন স্বাধীনতার প্রথম দিন থেকেই মধ্যবিত্ত গরিব মানুষকে অবহেলা করা হচ্ছে৷ মোদি আমলে সেটা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে৷

শ্রী সিন্‌হা বলেন--- প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ছাড়া সাধারণ মানুষের পরিত্রাণের অন্যপথ নেই৷ দেশে ধনীক শ্রেণীর এই নির্দয় শোষন থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করতে অবিলম্বে সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ৷ তিনি বলেন প্রাউট জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শোষিত জনগণের অনুকুলে আর্থিক ব্যবস্থার পরিকল্পনা দিয়েছে৷ তাই সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের উচিত প্রাউটের আর্থিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের দাবীতে গণআন্দোলনে সামিল হওয়া৷

বনগাঁয় সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২২ ও ২৩ শে মার্চ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ ডিটের সেমিনার বনগাঁ আনন্দমার্গ স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত সেমিনারে আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে আলোচনা করেন প্রশিক্ষক আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ দু’দিনের এই সেমিনারের আয়োজন করেন কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূত৷ তাঁকে সহযোগিতা করে বনগাঁ স্কুলের শিক্ষক জীবেশ মণ্ডল, গৌতম বিশ্বাস প্রমুখ ও স্থানীয় ইয়ূনিটের কর্মীবৃন্দ৷

বাংলাদেশে ইতিহাস মুছতে চায় ইউনুস সরকার

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত ২৬শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস৷ প্রতিবছর এই দিনটি বাংলাদেশের মানুষ স্বাড়ম্বরে পালন করে৷ কিন্তু এ বছর বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর ইউনুসের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সরকার সেই স্বাধীনতা দিবসকে ভুলিয়ে দিতে চাইছে৷ এই দিন মহম্মদ ইউনুস কোন সরকারী অনুষ্ঠানের আয়োজন না করে চীনের উদ্দেশ্যে উড়ে গেছে৷ যাবার আগে বাংলাদেশের মানুষকে আশ্বাস দিয়ে গেছেন আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে৷

মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার অপচেষ্টাকে একই সুরে প্রতিবাদ করেছে আওয়ামী লীগ ও তাদের চির প্রতিদ্বন্ধী বি.এন.পি দল৷ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছতে পাকিস্তানী মদতপুষ্ট হানাদাররা বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামের বহু তথ্য ও নথি ধবংস করে দিয়েছে৷ তারা ধানমুণ্ডিতে বঙ্গ বন্ধুর বাড়িও ভাঙচুর করেছে৷ শেখ হাসিনা ইউনুসের ভূমিকার তীব্র প্রতিবাদ করে তাঁকে হায়নার সঙ্গে তুলনা করে বলেন এরাই ছিল একাত্তরের পরাজিত শক্তি৷ একই সুরে প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশানাল পার্টির নেতারাও৷ তারা ইউনুসকে একাত্তরের গণহত্যাকারীদের সঙ্গে তুলনা করেছে৷

বদল স্কুল রুটিনে, গরমে নয় বাড়তি ছুটি!

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

এপ্রিল মাসে স্কুলগুলোর ক্লাসের দু’রকম দৈনিক রুটিন প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ রাজ্যের ৫০ হাজার প্রাথমিক স্কুলে এপ্রিলে একই সঙ্গে মর্নিং এবং ডে বিভাগের এই রুটিনে অভিনবত্ব দেখছেন অভিজ্ঞ শিক্ষক---শিক্ষিকাদের অনেকেই৷ তবে ঠিক কী কারণে প্রাক---প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা ও সকাল ১০টা ৫০ মিনিট থেকে বিকেল সাডে ৩টে এই দু’রকম রুটিনের কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে শিক্ষক---শিক্ষিকাদের পাশাপাশি পড়ুয়া এবং অভিভাবকরাও কিছুটা ধন্দে৷

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুয়ায়ী, এ সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকেই দিনের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে৷ এই পরিস্থিতিতে শিক্ষাবর্ষের মাঝপথে আচমকা ৫০ হাজার প্রাথমিক স্কুলের জন্য দিনে দু’রকমের রুটিন প্রকাশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে৷

তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলছেন, ‘রাজ্যে বেশ কিছু প্রাথমিক স্কুল রয়েছে, যেখানে ডে বিভাগে ষষ্ঠ থেকে দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হয়৷ আবার গ্রীষ্মের ছুটির ঠিক আগে ও পরে বহু স্কুলেই ক্লাস হয় সকালে৷ তাদের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ৷’

কলকাতার বেলেঘাটার শাস্ত্রীজি হরিজন বিদ্যামন্দিরের (বাংলা) প্রধান শিক্ষক সুজয় শিকদার বলেন, ‘প্রতি বছর গরমে বাড়তি ছুটিতে পঠন---পাঠন ও পরীক্ষা ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে৷ সে দিক থেকে পর্ষদের নির্দেশিকায় নতুনত্ব রয়েছে৷ এই রুটিনে ছাত্রছাত্রীদের উপকার হলে অবশ্যই স্বাগত৷’ যদিও এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় বলেই শিক্ষকদের কয়েকটি সংগঠনের নেতা---নেত্রীদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষক---শিক্ষিকাদেরও দাবি৷ তাঁদের বক্তব্য, তাপপ্রবাহের দাপটের জেরে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজ্য প্রশাসন একতরফা ভাবে বার বার স্কুলে গরমের ছুটি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে৷ এতে স্কুল স্তরের পঠন---পাঠনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে৷

অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক চন্দন গরাইয়ের অভিমত, প্রাথমিক স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে গরমে বাড়তি ছুটি কমিয়ে ক্লাস হওয়ার দিনের সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখতে মর্নিং সেশন শুরুর নির্দেশিকা জারি হলে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও একই গাইডলাইন প্রয়োগ করা উচিত৷

অভিনব উদ্যোগ সুইৎজারল্যান্ডে মানসিক চাপ কমাতে ভরসা জাদুঘর!

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ওষুধ নয়, রোগীদের হাতে আসছে ‘মিউজিয়াম প্রেসক্রিপশন’, যা দিয়ে শহরের যে কোনও চারটি জাদুঘর বিনামূল্যে ঘুরে দেখতে পারবেন তাঁরা৷ ২০১৯---এ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এক রিপোর্টে জানিয়েছিল, শিল্প মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে৷ মানুষের ভেঙে পড়ার হার কমিয়ে আনতে পারে৷ সর্র্বেপরি ‘অকালমৃত্যু’র হারও কমাতে৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, শিল্প চাক্ষুষ করায় ‘মন কি শক্তি’ আর হেঁটে জাদুঘরে ঘোরা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়ানোয় ‘তন কি শক্তি’৷ এই রিপোর্ট ভিত্তি করেই নুশাটেলে শুরু হয়েছে দু’বছরের পাইলট প্রজেক্ট উদ্যোক্তা শহরের কালচারাল মেডিয়েশন ম্যানেজার মারিয়ান দে রেনিয়ের নেভস্কি৷ তাঁর মতে, কেবল মানসিক অবসাদগ্রস্ত মানুষরাই নন, উপকৃত হবেন দূরারোগ্য রোগে আক্রান্তরাও৷ জানিয়েছেন,২০১৯---এ ক্যানাডার মন্িন্টয়লেও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল৷ কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপে মাথা তোলা দায়? বাড়ির সমস্যায় জেরবার? থেরাপির বদলে এক অভিনব চিকিৎসা পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন সুইৎজারল্যান্ডের নুশাটেল শহরের চিকিৎসকেরা৷

আশ্চর্যের ব্যাপার, এমন এক প্রজেক্টের জন্য খরচ খুবই সামান্য৷ মাত্র দশ হাজার সুইস ফ্রাঁ, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার কাছাকাছি বাজেট ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জুলি৷ এই উদ্যোগ সফল হলে থিয়েটার বা নাচের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পরামর্শের কথাও ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷

জাদুঘর ভ্রমণের সব খরচ বহন করছে প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষ৷ নুশাটেলের কাউন্সি ল সদস্য জুলি কোর্সিয়ার ডেলাফন্টেন বলেন, ‘লকডাউনের সময়ে সব রকমের কালচারাল সাইট বন্ধ থাকায় মানুষ এখন বুঝছে, ভালো থাকার জন্য সেগুলো কতটা প্রয়োজনীয়৷’ আরও জানিয়েছেন, এখনও অবধি ৫০০ প্রেসক্রিপশন ডাক্তারদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে৷ সেগুলি কাজে লাগাতেও শুরু করেছেন ডাক্তাররা৷ নুশাটেল হসপিটাল নেটওয়ার্কের সার্জারি বিভাগের প্রধান মার্ক---ওলিভিয়ের সোভাঁ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই দুই রোগীর অস্ত্রোপচারের আগে এই প্রেসক্রিপশন ব্যবহার করেছেন তিনি৷ তাঁর দাবি, ‘সার্জারির আগে রোগীর ফিটনেস বাড়াতে একটু বেড়িয়ে আসতে বলা বেশ ভালো প্রস্তাব৷ রোগীরা ওষুধ বা পরীক্ষা---নিরীক্ষা বিশেষ পছন্দ করেন না৷ চিকিৎসার অঙ্গ হিসেবে তাঁদের জাদুঘরে ঘুরে আসার কথা বলতে ডাক্তার হিসেবেও বেশ লাগে৷’ মার্কের আশা, এই প্রজেক্ট সফল হলে তা আরও নানা শহরে ছড়িয়ে পড়বে৷

বিশ্বে সুখী দেশের তালিকায় নেপাল পাকিস্তানের পরে ভারত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত ২০শে মার্চ বিশ্ব সুখ দিবস৷ ২০২৫ সালের সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করে রাষ্ট্র সংঘ৷ ১৪৭টি দেশের মধ্যে ২০২৪ সালে ভারতের স্থান ছিল ১২৬৷ ২০২৫-এ কয়েক ধাপ নেবে হয়েছে ১১৮৷ তবে নেপাল ও পাকিস্তানের পিছনে আছে ভারত৷ পাকিস্তান ১০৯ নম্বরে ও নেপাল রয়েছে ৯২ স্থানে৷

সুখী দেশের তালিকায় এক নম্বরে আছে ফিনল্যাণ্ড৷ গত আট বছর ফিনল্যাণ্ড তালিকার শীর্ষে থাকছে৷ ভারতের প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ভারতের থেকে পিছিয়ে আছে৷ বাংলাদেশ ১৩৪তম স্থানে ও শ্রীলঙ্কা ১৩৩ নম্বর স্থানে আছে৷ চীনের স্থান ৬৮ নম্বরে৷ আমেরিকা ২৪তম স্থানে৷ সবার পিছনে আফগানিস্তান ---১৪৭তম স্থানে৷

দেশের জীবন যাপনের মান, মাথাপিছু জিডিপি, সামাজিক সহায়তা, স্বাস্থ্যকর জীবন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা, উদারতা, দুর্নীতির ধারণা, নিরপেক্ষতা,পরিবেশসহ বিভিন্ন মাপকাঠিতে নাগরিকদের মতামত বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ প্রতিবেদনে উদারতা ও দুর্নীতির মানে ভারত অনেকটা পিছিয়ে আছে৷

পোষ্ট কোভিড উপসর্গ---‘হু’র সতর্কবার্র্ত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

বিশ্বের ৪০ কোটি মানুষের শরীরে আজও কোভিড-১৯ বাসা বেঁধে আছে পোষ্ট কোভিড বা লং কোভিড নামের উপসর্গ নিয়ে৷ চিকিৎসা গবেষকদের মতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষের এক অংশের দেহে করোনা উপস্থিত প্রায় ২০০ রকমের উপসর্গ নিয়ে৷ এই বিষয় নিয়ে সতর্ক করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ ফ্যাক্ট শিট প্রকাশ করে জানাল পোষ্ট কোভিড ৪টি উপসর্গের কথা---ক্লান্তি, অনিদ্রা, গাঁটে গাঁটে বা মাংস পেশির ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ৷ সাধারণত ধূমপায়ী, স্থূলকায় অল্পবয়সি মহিলাদের মধ্যে এই উপসর্গ দেখা দিচ্ছে৷

বর্ধমান মেডিকেল কলেজের বর্তমান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় করোনার সময় আইডি হাসপাতালে পোষ্ট কোভিড আউটডোর চালু করেছিলেন৷ তাঁর মতে ফুসফুসের স্থায়ী ক্ষতি, শ্বাসকষ্ট, উদ্বেগ, প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দিচ্ছে করোনা আক্রান্ত একটি অংশের মধ্যে৷ তবে তিনি মনে করেন শুধু করোনার কারণে নয়, কোভিড ভ্যাকসিনের জন্যেও এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে৷

অ্যাসোসিয়েশন ফিজিশিয়ান অব ইন্ডিয়ার সভাপতি জ্যোতির্ময় পাল বলেন--- অল্প বয়সিদের মধ্যে হার্টের অসুখ, শ্বাসকষ্ট ও সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ লং-কোভিড বা পোষ্ট কোভিডের অন্যতম উপসর্গ৷

নানা গবেষনায় প্রায় ২০০ রকম উপসর্গের কথা জানা গেছে যা খুবই উদ্বেগজনক৷উষ্ণতম ২০২৪

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ওয়ার্ল্ড মেট্রেলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের প্রতিবেদনে প্রকাশিত গত ১৭৫ বছরে ২০২৪ সাল ছিল উষ্ণতম বছর৷ গত ১৭৫ বছরের উষ্ণতার তথ্য অনুসন্ধান করে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷

গত ২৩শে মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের পূর্বে গ্লোবাল ক্লাইমেট প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘হু’৷ ১৮৫৫ থেকে ১৯০০ সাল পর্যন্ত ছিল শিল্পায়ন যুগ৷ ওই সময়ের বিশ্বের গড় তাপমাত্রা অপেক্ষা ২০২৪ সালে গড় তাপমাত্রা ছিল ১.৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশী৷

ওই প্রতিবেদনেই প্রকাশিত হয়েছে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব গত ৮ লক্ষ বছরের তুলনায় সব থেকে বেশী৷ সমুদ্র জলের তাপমাত্রা পূর্বের রেকর্ড স্পর্শ করে গেছে৷ উষ্ণতার প্রভাবে মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে৷ ফলে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে৷ গত বছর প্যারিস চুক্তিতে উষ্ণতা বৃদ্ধি নির্দ্ধারিত মাপকাঠি ১.৫ ডিগ্রি অতিক্রম করে৷ তবে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মত বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রির নির্দ্ধারিত মাপকাঠি ধরে রাখা সম্ভব৷