প্রবন্ধ

গণতন্ত্রের বেদীতে দানবীয় হুংকার

মনোজ দেব

ভারতবর্ষ বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ৷ এ কথা গর্বের সঙ্গে প্রচার করা হয়৷ কিন্তু এক শ্রেণীর নেতাদের আচরণে কথাবার্র্তয় দানবীয় স্বৈরাতন্ত্রের ছাপ৷ স্বাধীনতার পূর্বে এই লক্ষ্মণ দেখা দিয়েছিল জাতীয় কংগ্রেসের গান্ধী গোষ্ঠীর মধ্যে৷ গান্ধী সুভাষ দ্বন্দ্বের সময় গান্ধী গোষ্ঠী গান্ধীকে হিটলার স্ট্যালিনের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন৷ হিটলার স্ট্যালিন দুজনেই ছিলেন স্বৈরাচারী একনায়ক তান্ত্রিক৷ সেই স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের লক্ষণ পরাধীন ভারতে সেদিনই প্রস্ফুটিত হয়েছিল৷ তারই পরিনামে সুভাষচন্দ্রের কংগ্রেস ত্যাগ, দেশত্যাগ, দেশভাগ ও স্বাধীনতার প্রহসন৷

প্রকৃত ধর্ম মানুষে মানুষে বিভেদ মানে না

পথিক বর

বর্তমানে ধর্মের নামে নানান ধরণের গোঁড়ামী, জাত–পাতের ভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ চলছে৷ এগুলিকে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে বলা হচ্ছে৷ তা কিন্তু মোটেই ঠিক নয়৷

আবার সম্প্রতি সংবাদে প্রকাশ কোথাও কোথাও ধর্মের নামে শিশুবলি পর্যন্ত হচ্ছে কিন্তু এগুলির কোনটাই প্রকৃত ধর্ম নয়৷ কোনরকম যুক্তিহীন, অমানবিক কার্যকলাপের সঙ্গে ধর্মের কোনও সংযোগ থাকতে পারে না৷

অসমে বাঙালীকে ভাতে মারার ষড়যন্ত্র

পত্রিকা প্রিতিনিধি

মার নয়, দাঙ্গা নয়, ভাতে-কাপড়ে মরার জন্য প্রস্তুত থাকুক বাঙালি, আর তা না হলে অন্যথা পালিয়ে যাক৷আমরা বুঝেও বুঝতে চাইছি না, এর পরিণতি ভয়ংকর৷ এবার স্বেচ্ছায় শরণার্থী হয়ে আবার পালাবার সময় আসছে৷ বাঙালি হিন্দু বলে নিস্তার হবে বলে আমার মনে হয়না৷

আসুর আন্দোলন ছিল রাস্তায় নেমে, উগ্র, বর্বর, জঘন্য৷ তারা আইন নিজেদের মতো করে চালিত করতো৷ আমজনতা ও প্রশাসনের পূর্ব সমর্থন ছিল৷ আক্রমণকারীরা ও এক শ্রেণির অসমিয়া বুদ্ধিজীবী প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন৷

বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে মানুষের সন্দেহ দূর করা চাই

প্রাউটিষ্ট

একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় প্রকাশ বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া জারি থাকলেও ভারত এখন স্বৈরাতান্ত্রিক পর্যায়ে আছে৷ ভারতীয় গণতন্ত্রের তিনটি মূলস্তম্ভ বিচার বিভাগ, সংবাদ মাধ্যম ও নির্বাচন কমিশন, এই তিনটি স্তম্ভই আজ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে অভিযুক্ত৷

রামায়ণ পুরাণের শ্রীরামচন্দ্রকে যে কেউ ভগবান মানতে পারেন, কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে শাসককে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি মেনেই চলতে হবে

প্রভাত খাঁ

ভারতবর্ষ নাকি সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে জগতের মানুষকে অধ্যাত্মবাদ ও মানবতাবাদের পীঠস্থান হিসাবে শিক্ষাদান করে আসছে৷ কিন্তু এই অত্যাধুনিক যুগে এসে দেখা যাচ্ছে এদেশের যারা দণ্ডমুণ্ডের কর্র্ত্ত হয়ে শাসনে এসেছে তাদের অনেকেরই তো সামান্যতম সৌজন্যবোধটুকু নেই যেটা অল্প বয়স্কশিশুদের আছে! তাহলে এই গুরুত্বপদে এলো তারা কি করে ? তাদের যারা এনেছে তারাই বা কেমন! তাই বলতেই হয় এই দেশের দলতান্ত্রিক শাসকগুলোই হলো সেই ধান্দাবাজ, মিথ্যাচারী, প্রকৃত মনুষ্য পদবাচ্যের মধ্যে আসে কী? তাই দেশ ও দলের কল্যাণে জনগণকেই তাদের বিতাড়িত করতে হবে! নচেৎ সর্বনাশ হবে দেশটারই৷

ভারতে বাঙালী কি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে

পত্রিকা প্রিতিনিধি

‘‘আমরা পৃথিবীর- পৃথিবী আমাদের দেশ---আরো ভালভাবে বলতে গেলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডই আমাদের দেশ৷ এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এক কোণে পৃথিবী নামে যে ছোট গ্রহটা আছে, সেই পৃথিবীর এক কোণে ৰাঙালী নামে যে জনগোষ্ঠী আছে সেই জনগোষ্ঠীও অতীতের অন্ধকার থেকে এগোতে এগোতে তার অন্ধকারের নিশা শেষ হয়ে গেছে, তার জীবনে নোতুন সূর্যোদয় এসেছে৷ এবার তাকে এগিয়ে চলতে হবে৷ .....

অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শোষণ মুক্তির আন্দোলন জরুরী

প্রবীর সরকার

ভারত একটি দেশ নয়–ভারত যুক্তরাষ্ট্র৷ বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় কেন্দ্রে ও রাজ্যে পৃথক রাজনৈতিক দল শাসন ক্ষমতায় থাকতে পারে৷ তাই যুক্ত রাস্ট্রীয় কাঠামোতে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে অবশ্যই একটি সৌভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকাটা আবশ্যিক৷ আমাদের সংবিধানে অবশ্যই তার নির্দেশনা দেওয়া আছে৷ আজ পরিবর্ত্তনশীল জগতে অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটছে৷ তাই কেন্দ্র–রাজ্যের সম্পর্ক, কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ ও বিভিন্ন ব্যাপারে বিশেষ করে নোতুন নোতুন যেসব সমস্যার উদ্ভাবন হচ্ছে তার সমাধান কল্পে বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিপূর্ণ পথকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে উভয় পক্ষকে৷

আজকের সমস্যাসংকুল পৃথিবীতে শান্তি রক্ষার দায় ইউ.এন.ও-এরই

প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত দুঃখের কথা একদিকে বাংলাদেশ ও অন্যদিকে সিরিয়া দুটো দেশেই অন্তবর্ত্তীকালীন সরকার৷ দুটো দেশের বর্তমান অবস্থাটা একেবারেই সঙ্গীন! অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় নারীজাতির প্রতি যে নিষ্ঠুরতম অত্যাচার চলছে সেটা পশুর রাজ্যেও হয় না! সিরিয়ায় দুর্দিনে ২০০০-এর অধিক মৃত্যু হয়েছে৷ তাদের মধ্যে মাতৃজাতির সংখ্যাই বেশী৷ কি লজ্জার কথা তাঁদের উলঙ্গ করে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে! মৃতদেহগুলি রাস্তায় পড়ে আছে! এ কেমন সভ্যদেশ! অন্য দিকে বাংলাদেশেও সেই মাতৃজাতির উপর চরম পাশবিক অত্যাচার চলছে!

ধর্মমতের গণ্ডীবদ্ধ জীবন অতিক্রম করে মানুষ কবে মানুষ হবে

প্রাউটিষ্ট

বর্তমানে ধর্মের নামে নানান ধরণের গোঁড়ামী, জাত–পাতের ভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ চলছে৷ অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের জালে জড়িয়ে আঁতুড় ঘর থেকে শশ্মানঘাট পর্যন্ত শোষনের জাল বোনা হয়েছে৷ অপ্রয়োজনীয় সামাজিক আচরণের বোঝাকে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে বলা হচ্ছে৷ তা কিন্তু মোটেই ঠিক নয়৷

আদর্শ নেতা হতে গেলে কী প্রয়োজন

এইচ.এন. মাহাত

অতীতে ভারতের রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা একটি সঠিক আদর্শের মধ্যে দিয়ে চলার চেষ্টা করতো-সেটা ভুল বা ঠিক হোক৷ আমরা ভারতের স্বাধীনতায় আত্মবলিদানের মত সংগ্রামী বিপ্লবীদেরও দেখছি৷ আবার এই বিপ্লবীদের মধ্যেও মিরজাফর বা বিশ্বাসঘাতকেরও দেখেছি৷ এদের সংখ্যাটি খুবই নগণ্য ছিলো৷ আমরা প্রফুল্ল চাকী বা ক্ষুদিরামের মত কিশোর বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ দেখেছি তেমনি বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রেরণা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু’র মত নিষ্ঠাবান দেশভক্তি আমাদের কাছে অতিবিরল সম্পদ৷ তাই এইসব শ্রদ্ধাস্পদ প্রাতঃস্মরণীয় ব্যষ্টিদের জীবনাদর্শই অনুসরণযোগ্য৷