প্রবন্ধ

ভারতে বাঙালী কি রাষ্ট্রহীন জাতিতে পরিণত হবে

সঞ্জীব বিশ্বাস

আজকের পশ্চিমবঙ্গের বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের যারা ‘‘হিন্দি, হিন্দুি ও হিন্দুস্তানের’’ বীজ মন্ত্রের মাহাত্ম্যে স্বপ্ণাবিষ্ট তারা তো আছেনই, দ্বিতীয়ত মার্কসবাদী গোষ্ঠীর হিন্দু শ্রেণীর একটা বড় অংশও উক্ত বীজ মন্ত্রে আস্থা জ্ঞাপন করতে ঝুঁকে গেছে৷ তারপর থাকে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের ‘তেনারা’৷ তবে প্রদেশ কংগ্রেস দলটির জন্ম লগ্ণ থেকেই বাংলার প্রতি কখনো সাপ, আবার বিপদ দেখেতে পেলে ওঝার ভূমিকায় অতি বিশ্বস্ততার সঙ্গে নিজেদের কর্ম দক্ষতার পরিচয় দিতে আবহেলা করেনি৷ এমতাবস্থা বৃহৎ বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের পূর্বা–পর মূল্যায়নে গেলে দেখা যায় এই জনগোষ্ঠীর ৯৯ শতাংশই বাংলার জন্যে ‘‘ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা’’ কোন দি

গুরুকৃপা

সুভাষ প্রকাশ পাল

মদনমোহনচক চৌধুরী বিদ্যাপীঠের পাশাপাশি বাড়ি, আমাদের প্রাক্তন ছাত্র শ্রীদেবেন্দ্রনাথ রায় কিছুদিন হল মার্গের আদর্শ গ্রহণ করেছে৷ মার্গের বিভিন্ন সেমিনার ও মিটিং-মিছিলে যোগ দিচ্ছে৷ দেবেন বি.এ পাশ করেছে, সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সঙ্গেও জড়িত৷ বিশেষ করে লোধাদের দারিদ্র ও অশিক্ষার অন্ধকার দূর করার জন্য কয়েকবৎসর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এককথায় স্থানীয় লোধা ও অনুন্নত সম্প্রদায়ের লোকেদের নয়নের মনি৷ ওদের বাড়িতে আমার যাতায়াত ছিল, ওর মায়ের কাছে চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারে অনেকবার গিয়েছি এবং তাঁর গুণাবলীর জন্য ওকে যথেষ্ট শ্রদ্ধাও করি৷

আমার বাঙলা

একর্ষি

পূর্ব প্রকাশিতের পর,

সাত. বাঙলার অর্থনীতিতে উৎপাদন ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলোর অবস্থান ছিল সহযোগিতা মুলক, সামবায়িক৷ একটা পারস্পরিক মঙ্গল ভাবনা ছিল সামুহিক৷ যেমন কর্ষক দেখত কামারের ভরণপোষণের অসুবিধা না হয় নিড়ানি কোদালের-বিদে-কামার দেখত হাল, অভাবে চাষার কোন অসুবিধা না হয়৷ এইভাবে প্রতিটি পেশার মানুষ একে অন্যের প্রতি দায়বদ্ধ ছিল৷ এইভাবে গ্রামগুলি ছিল স্বনির্ভর, উদ্বৃত্ত যেত গঞ্জে-নগরে, বিদেশে৷

নারীর মর্যাদা আনন্দমার্গে সমাজশাস্ত্রে নারীর স্থান

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সমাজ সম্পর্কে আনন্দমার্গ দর্শনের প্রণেতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বলেছেন–‘‘নীতিবাদের স্ফূরণ থেকে বিশ্বমানবত্বে প্রতিষ্ঠা–এ দুয়ের মাঝখানে রয়েছে যেটুকু অবকাশ তাকে অতিক্রম করার যে মিলিত প্রয়াস তারই নাম সামাজিক প্রগতি, আর যারা মিলেমিশে চেষ্টা করে এই অবসরটুকু জয় করবার প্রয়াসে রত হয়েছে তাদের নাম একটা সমাজ৷’’ সমাজ সম্পর্কে এই স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় ইতোপূর্বে মানুষ পায়নি৷ উপরিউক্ত সংজ্ঞা থেকেই ধারণা করা যায়, আনন্দমার্গের দর্শনশাস্ত্র, ধর্মশাস্ত্র ও সমাজশাস্ত্রের চিন্তাধারা প্রচলিত সমস্ত প্রকার দর্শন ও শাস্ত্রের তুলনায় উন্নত, স্বতন্ত্র ও বিপ্লবধর্মী, সর্বপ্রকার সংকীর্ণতামুক্ত উদার ও সার্বভৌম পথের

প্রশ্ণের ভুল উত্তর লেখা দায় কী শুধুই পরীক্ষার্থীর!

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায

এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার দিন দশেক পর সম্ভবত এক ভূগোল শিক্ষক (প্রায় ২৫ বছর ধরে যিনি শিক্ষকতা করছেন) এই রাজ্য ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কিছু মন্তব্য করছিলেন৷ কৌতূহল বশতঃ তাঁর উষ্মার কারণ বোঝার চেষ্টা করছিলাম৷ জানতে পারা গেল ভূগোল পরীক্ষার প্রশ্ণপত্রে অনুসারী শিল্প বিষয়ের কোনো প্রশ্ণ এসেছে, যার উত্তর কিছু পরীক্ষার্থী সঠিকভাবে দিতে পারেনি৷ হয়তো তারা এমনভাবে উত্তর লিখেছে যা শিক্ষকগণের হাসির উদ্রেক করেছে৷ সন্তানসম এই পরীক্ষার্থীদের উত্তর পত্র নিয়ে তাঁদের এমন ধরণের রসিকতা চলছিল, যা খুবই পরিতাপের ও লজ্জার !!

প্রাউটের পথেই বিশ্ব মানবতার সার্বিক কল্যাণসম্ভব

প্রবীর সরকার

পৃথিবীর কল্যাণ ও নিরাপত্তার জন্য দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ভয়ঙ্কর ধ্বংস আর যেন পৃথিবীকে দেখতে না হয় তারজন্যে এই ভয়ঙ্কর মহা ধবংস থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্যে পৃথিবীর বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলি সম্মিলিত হয়েই ইউ. এন.

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শাসক কোন দল বা সম্প্রদায়ের নয়

প্রভাত খাঁ

যাঁরা শাসনে আসবেন বিশেষ করে বর্ত্তমান যুগে তাঁদের অবশ্যই মনে রাখতেই হবে এই বর্তমানের যুগটি হলো চরম পরিবর্তনশীল৷ পুরাতনকে যাঁরা আঁকড়ে বাঁচতে চাইবে বা অতীতের কাসুন্দি ঘাঁটবে তারই ধোপে টিকবে না৷ তাই যৎ সামান্য অতীতের ইতিহাস নিয়ে বিশেষ কারণে একটু আলোচনায় বুঝে নিতে চাই আজ আমাদের বিশেষ করে নাগরিকদের কিভাবে চলতে হবে৷ কারণ নাগরিকগণই হলেন সুপ্রিম অথরিটি---সরকার অর্থাৎ সেই নির্বাচিত প্রতিনিধি যাঁরা শাসনে যাবেন তাঁদের কেমন হতে হবে আর নাগরিকগণ কাদের বোট দানে সরকারে পাঠাবেন৷

৩০শে এপ্রিল ১৯৮২ – রাতের চেয়ে অন্ধকার এক সকাল

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

৩০শে এপ্রিল ১৯৮২–দিনটা ছিল শুক্রবার৷ প্রভাত সূর্যের রাঙা আলো গায়ে মেখে জেগে উঠেছে মহানগর কোলকাতা৷ ঘুম ভাঙা চোখে কেউ বা থলি হাতে বাজারের পথে, কেউ বা ঘর থেকে বার হয়ে গলির চায়ের দোকানে ভীড় জমিয়েছে৷ আর পাঁচটা দিনের মতই সাধারণ একটি দিন৷ তখনও কেউ বোঝেনি এই সকালটা আর পাঁচটা সকালের মত সাধারণ হয়ে থাকবে না৷

৩০শে এপ্রিল : কলকাতার কলঙ্ক

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

বাঙালীর গর্বের শহর এই কলকাতাকে আমরা ‘কল্লোলিনী কলকাতা’, আনন্দময়ী নগরী, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির পীঠস্থান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের উৎকৃষ্ট উদাহরণ ইত্যাদি নামে চিনি৷ আর সেই কলকাতার বুকেই সংঘটিত হয়েছে ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল মানবেতিহাসের জঘন্যতম, কলঙ্কময়, নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড যার শিকার হয়েছিলেন একটি জনসেবামূলক আধ্যাত্মিক সংঘটন ‘আনন্দমার্গ’-এর ১৭ জন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীগণ৷ পরমহংস রামকৃষ্ণদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ভগিনী নিবেদিতা, মাদার টে

আজকের চরম দুর্দ্দিনে দেশের সৎনীতিবাদী মানুষকে এগিয়ে আসতেই হবে

প্রভাত খাঁ

সারা ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মোট জন সংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ যাঁরা নিম্নমধ্যবিত্ত ও গরিব হতদরিদ্র তাঁদের বেঁচে থাকার সব অধিকার হরণ করে বর্তমান কেন্দ্র সরকার এমন একপেশে পুঁজিপতি তোষনের জঘন্য শাসন চালিয়ে যাচ্ছে যেটাকে মোটেই জনগণের সরকার বলা চলে না!