প্রবন্ধ

মহাপুরুষ স্মরণে

পত্রিকা প্রিতিনিধি

১২ই জানুয়ারী বিভিন্ন ক্লাব, প্রতিষ্ঠান ও পার্টির পক্ষ থেকে সোৎসাহে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মোৎসব পালন করা হয়৷ বিভিন্ন নেতা–নেত্রী, বুদ্ধিজীবী, অভিনেতা, অভিনেত্রী, শিল্পী, শিক্ষাবিদ্ এই সমস্ত অনুষ্ঠানে বত্তৃণতার ফুলঝুরি ছড়ান৷

কিন্তু মনে প্রশ্ণ জাগে শুধু এ করেই কি বিবেকানন্দর আর্দশকে আজকে যুব সমাজের মনে জাগরূক করা যাবে! বর্তমানে রেওয়াজটাই তা–ই৷ মহাপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যে খুব জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান করা হয়৷ তাতেই আমরা মনে করি, মহাপুরুষের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের দায়িত্ব আমরা যথাযথভাবেই পালন করছি৷

বিশ্বের সমস্ত সম্পদে সর্বসাধারণের যৌথ অধিকার

প্রাউটিষ্ট

এ বিশ্বের ধন–সম্পত্তির মালিকানা ন্যায়তঃ ব্যষ্টির না সমাজের–এ নিয়ে দার্শনিকদের মধ্যে এখন বিরাট দ্বন্দ্ব৷ ব্যষ্টি মালিকানাবাদীরা বলেন, ব্যষ্টিই যখন কলকারখানা গড়ে তুলছে–শ্রম দিয়ে বুদ্ধি দিয়ে জমি–জায়গা করেছে–তাহলে এতে তার চরম মালিকানা তো সম্পূর্ণ ন্যায়সম্মত সিদ্ধ৷ প্রাউট দর্শন এখানে স্পষ্ট ভাবে বলছে ঃ এ বিশ্বের কোন সম্পদ মানুষ সৃষ্টি করে নি যিনি সমগ্র বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন সেই পরম ব্রহ্ম বা ভূমাসত্তাই সব সম্পদের স্রষ্টা–তিনিই প্রকৃত মালিক৷ মানুষ শুধু প্রকৃতিদত্ত সম্পদকে নিয়ে ‘ফিজিক্যাল মিক্সচার’ বা ‘কেমিক্যাল কম্পাউন্ড’ বানিয়েছে বা আকারগত পরিবর্তন করেছে মাত্র৷ তাই কোনও মানুষ এর প্রকৃত মালিক হতে প

দলতান্ত্রিক স্বৈরাচারীতা থেকে বাঁচতে সৎনীতিবাদীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতেই হবে

প্রভাত খাঁ

বর্তমান পৃথিবী এমন এক অনিশ্চিতের মধ্যে পড়েছে যেটার হাত থেকে তাকে রক্ষা করার প্রায় কেউই নেই কারণটা মূলতঃ একটাই যারা অত্যন্ত শিক্ষা দীক্ষায় মানসিকতায় নিম্নস্তরের তারা অধিকাংশ দেশে রাষ্ট্রীয় ভার হাতে নিয়েই সেই দলতন্ত্রের দলাদলিতে মেতে উঠেছে৷ সুশাসন করতে যে উন্নত দৃষ্টিভঙ্গী ও উদার মানসিকতা প্রায় মোটেই নেই৷ সেই কারণে অহেতুক যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় মেতে উঠেছে৷ শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সার্বিক উন্নতিটাই ব্যহত হচ্ছে৷ তাই যারা মহাজ্ঞানী বুদ্ধিমানগণ তাঁরা রাজনীতি পরিধির মধ্যে আসতে চাননা৷ মূলতঃ নিম্ন মানসিকতার আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপর মানুষই এখন রাজনীতিতে ছড়ি ঘোরাচ্ছে৷ এরা সব সময় অসৎ মানুষ পরিবেষ্টিত হয়ে থাকে আর

শীতকাল ও রবীন্দ্রসঙ্গীত

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

 হেমন্তের পরে আসে শীত৷ সকালবেলা পাকা ধানের শিষে শিষে ঝলমলিয়ে ওঠে শিশিরবিন্দু৷ ‘সকাল হতে সন্ধ্যে’ সমস্ত ক্ষেত মুখর হয়ে ওঠে ধান কাটার গানে৷ চাষীর গোলায় ধান আর ধরে না, ছড়াছড়ি যায় গৃহের প্রাঙ্গণে৷ শুধু ধান নয়৷ শাকসব্জীর ক্ষেতও ফসলে পরিপূর্ণ ৷ পালং শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, কড়াইশুটি, বেগুন, টম্যাটো, নতুন আলু, মূলো, বিট, গাজর--আরো কত রকম ফসল৷ খুব সস্তা! যত পারো খাও৷ তাই বুঝি আমাদের কবি রবীন্দ্রনাথ শীতকালকে এমন সশ্রদ্ধ প্রণাম নিবেদন করেছেন---

নমো, নমো, নমো৷

নমো, নমো, নমো৷

তুমি ক্ষুধার্তজনশরণ্য,

অমৃত-অন্ন-ভোগ ধন্য করো,

অন্তর মম ৷৷

বাংলা ভাষা সংস্কৃতি অর্থনীতিকে হিন্দি আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে হবে

তপোময় বিশ্বাস

সম্প্রতি বাঙলায় সংঘটিত নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বহিরাগত অবাঙালীদের৷ আর.জি.করের তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার নৃশংস হত্যাকাণ্ড হোক, ট্যাব কেলেঙ্কারিই হোক বা সুশান্তকাণ্ডই হোক বাঙলার মোটামুটি সমস্ত অপরাধেই দুষৃকতী তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে বহিরাগতরা৷ কারা এই বহিরাগত মূলত বিহার, উত্তর প্রদেশ,ঝাড়খণ্ডের মতন হিন্দী বলয়ের রাজ্য থেকে দিন মজুরের কাজের সন্ধানে বাঙলাতে আসছে এরা৷ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষজন অন্য রাজ্যে কাজের সন্ধানে গেলে সেই রাজ্যের আঞ্চলিক সংস্কৃতির সঙ্গে একীভূত হওয়ার চেষ্টা করে৷ এক্ষেত্রে এই সব হিন্দী বলয়ের বহিরাগতরা কিন্তু উল্টো৷ বাঙলাকে খোলা বাজার ও দূর্বৃত্তদের উন্মুক্ত

প্রাউটের দৃষ্টিকোন থেকে বাঙলায় শোষণের স্বরূপ

পত্রিকা প্রিতিনিধি

‘‘সাম্রাজ্যবাদী শোষকরা তাদের শোষণকে যুক্তি ও তথ্যের ওপর দাঁড় করানোর জন্যে প্রথমেই তারা জাতীয় সমর্থন আদায় করতে সচেষ্ট হয়৷ এর জন্য তারা একটা তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠা করে৷ সেই তত্ত্ব হলো জাতীয়তাবাদের তত্ত্ব৷ জাতীয়তাবাদের সেন্টিমেন্ট দিয়ে তারা তাদের শোষণকে যুক্তিসিদ্ধ ও নিয়মতান্ত্রিক বলে প্রতিষ্ঠা করতে চায়৷’’

শাসকের মনোরঞ্জন করতে গিয়ে সংবাদমাধ্যম দায়িত্ববোধ হারিয়েছে

সঞ্জীব বিশ্বাস

এই মুহূর্ত্তে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী তথা কলিকাতা মহানগরী থেকে বেশ কয়েকটি বাংলা দৈনিক পত্রিকা বের হয়৷ তারপর সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক মিলে আরও বেশকিছু বাংলা ভাষায় ট্যাবলয়েডের সন্ধান পাওয়া যায় শহরের বুকস্টলগুলিতে৷ উক্ত ট্যাবলয়েডগুলি যে রাজ্যের বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে তা তাঁদের ঘোষণা থেকেই পাঠক কুল জানতে পারেন৷ তাছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকাগোষ্ঠী ও ব্যবসায়ী সংস্থা আছে যারা মাসিক ও পাক্ষিক ম্যাগাজিন প্রকাশ করে থাকে৷ কিন্তু আলোচ্য বিষয় হচ্ছে যারা নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের নামে দৈনিক সংবাদ প্রকাশ করছে৷ কারণ এই সকল সংবাদপত্রের পরিবেশিত বিষয়গুলির প্রতি একটু লক্ষ্য করলে অবশ্যই প্রশ্ণ আসে, নিরপে

প্রসঙ্গ: টিভির টকশো ও কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

টিভিতে বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেল সন্ধ্যার পরেই আলোচনার (ঝগড়ার!) আসর বসায়৷ ‘ঘণ্টা খানেক’ সহ নানান শিরোনামে৷ প্রথম প্রথম এগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল ,অনেকেই ভাবতেন আলোচনার মাধ্যমে ভালো কিছু বেরিয়ে আসবে যা হয়তো সমাজের উপকারে লাগবে৷ কিন্তু না, সাধারণ মানুষের ভুল ভাঙতে বেশী সময় লাগে নি৷ চ্যানেল মালিকদের পক্ষপাতিত্ব ও সঞ্চালকদের কলতলার ঝগড়ার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো কাজে এই আলোচনাগুলো আসছে বলে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা মনে করছেন না৷ সঞ্চালকদের চিৎকার ও লাফালাফি, টেবিল চাপড়ে বা ধমক দিয়ে কথা বলার কায়দা দেখলে মনে হবে - এদের চেয়ে সমাজ হিতৈষী বোধহয় আর কেউ নেই!

পৌষ সংক্রান্তি, গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান ও আধ্যাত্মিকতা

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

বাঙালী জীবনের বারো মাসে তেরো পার্বণের একটি পৌষ সংক্রান্তি৷ এই দিনটি মকর সংক্রান্তি নামেও খ্যাত৷ শীতের মরসুমে পৌষ সংক্রান্তির নাম উচ্চারিত হলেই ভোজনবিলাসী বাঙালীর মনের পর্দায় ফুটে ওঠে স্বাদে-গন্ধে ভরপুর পিঠে-পুলির চিত্র৷ আগেকার দিনে মা-ঠাকুমা-দিদিমারা ছিলেন পিঠে-পুলির বিষয়ে এক-একজন বিশেষজ্ঞা৷ সাধারণতঃ সংক্রান্তির বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই এগুলির প্রস্তুতি শুরু হয়৷ চালের গুঁড়ি, নারকেল, খোয়াক্ষীর, নলেন গুড় ইত্যাদি রকমারি উপকরণ যোগাড়করে পিঠে পুলি তৈরীর হরেক আয়োজন৷ ভাপা পিঠে, দুধ পুলি, গোকুল পিঠে, ভাজা পুলি, পাটিসাপ্ঢা, নলেন গুড়ের পায়েস আরও অনেকরকম পিঠে-পুলির রমরমা৷ এখনও যে সব পরিবারে বয়স্কা মহিলারা

নীতিবাদীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধই মানুষের সমাজ ও সৃষ্টিকে রক্ষা করতে পারে

প্রভাত খাঁ

সততা, সেবা, নিষ্ঠা, মানবিক মূল্যবোধ সম্বন্ধে যদি সমাজের বুকে বেশকিছু ব্যষ্টির আন্তরিকতা ও আগ্রহ না থাকে তা হলে সমাজের কল্যাণ হয় না আর কল্যাণকামী মানসিকতারও প্রতিফলন সম্ভব নয়৷