মাণিকবাবুরা ক্ষমতায় আর নয়

সংবাদদাতা
দীপক সরকার
সময়

ভাবলে আশ্চর্য লাগে! পশ্চিমবঙ্গের প্রতি গ্রামে গ্রামে যে সিপিএমের একক মালিকানা ছিল, যাদের কথার প্রতিবাদ করলে শাস্তি হিসাবে ‘সামাজিক বয়কট’ করা হ’ত তার ধোপা-নাপিত-মুদির কাছে যাওয়া বন্ধ হ’ত, যারা অল্প প্রতিবাদী মানুষ তাদের গোপনেই খুন করে পুঁতে দেওয়া হ’ত৷ আনন্দমার্গের সন্ন্যাসীদের মিথ্যা বদনাম দিয়ে দিন-দুপুরে খুন করিয়ে দিতে যাদের হাত কাঁপত না, প্রতিবাদী নারী নির্যাতনে তো সিপিএম একটা অলিম্পিক প্রাইজ পেতে পারত (অনিতা দেওয়ান স্মরণীয়)৷ ওরা ক্ষমতায় থাকার জন্য যার তার মুণ্ডু কেটে সেই রক্ত মৃতের মায়ের মুখে মাখিয়ে দিয়ে রাবণের অট্টহাসি হাসত৷ শুধু এ রাজ্যেই নয় এই প্রতিবেদকের কিছু বছর প্রাক্তন প্রেসিডেণ্ট চাবেজের ভেনেজুয়েলায় থাকার অভিজ্ঞতা আছে৷ বর্তমান প্রেসিডেণ্ট মাদুরো৷ একই অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে কেবল সৈন্যবাহিনীকে সন্তুষ্ট রেখে গরীবদের ওপর শোষণের, ভয়ের, দারিদ্র্যের, খুনের বিশৃঙ্খলার রোলার চালাচ্ছে৷ যাদের সামান্য সুযোগ আছে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে---এই হ’ল সর্বহারাদের শেষ করে দেবার কমিউনিজম৷ কেবল স্বজন-পোষণ, কেবল নিজেদের দলীয় স্বার্থ, লাখোপতি হওয়ার প্রতিযোগিতা৷ আমাদের পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম রাজা-মহারাজাদেরও একই  স্টাইল ছিল৷  খাও-পিও-জিও কিংবা খাও-খাও-খাও৷ কেউ বাধা দিলে মুণ্ডু কেটে নাও৷ ওরা তখন ভবিষ্যতের দেওয়াল লিখন পড়েনি, পড়লেও অর্থ বোঝে নি৷ অহংকারে মত্ত ছিল৷ তারপর একদিন গুমরে থাকা গণশক্তির এক সমবেত লাথিতে ৩৪ বছরের রাজা হ’ল খান খান৷ এখন ওদের কালীঘাটের ভিখারীর দশা৷ সিপিএমের কট্টরপন্থী শিবিরের প্রতিনিধি প্রাক্তন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের এখন ল্যাজে গোবরে অবস্থা৷ গত ১৮ই জুন ২০১৮, কলিকাতা ইউনিভারসিটি ইনষ্টিটিউটের ভাষণে তিনি আদর্শের মুখোসটা ফেলে দিয়ে আসল মুখটা বের করলেন৷ এখন নাকি সিপিএমের পরম বন্ধু হওয়ার যোগ্য দল একমাত্র কংগ্রেস!!

ছিঃ ছিঃ মানিক সরকার! একদিকে আন্তর্জাতিক কমিউনিষ্ট দর্শনের কথা বলেন অন্যদিকে আদর্শহীন কংগ্রেসের পায়ে তেল দিয়ে যেতে চান! যতই করুন, মানুষ আপনাদের চিনে নিয়েছে৷ যতদিন আমাদের প্রিয়জনের খুন করা মৃতদেহগুলোতে  প্রাণ ফিরিয়ে দিতে না পারছেন, ততদিন গণশক্তি আপনাদের থেকে মুখ ফিরিয়েই থাকবে৷ একথাটা লিখে রাখুন৷ লাল ঝাণ্ডার ডাণ্ডা যতই লম্বা করুন, লাভ নেই৷ আসলে আপনারা কুয়োর ব্যাঙ৷ আপনাদের বুদ্ধির মুক্তি চাই৷ ‘প্রাউট’ জানুন৷