মেদিনীপুর মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলায় অবস্থিত আনন্দমার্গ স্কুলে গত ৬ই সেপ্টেম্বর,২০১৮ (বৃহস্পতিবার) কৌশিকী নৃত্য প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রথমে বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রাদের মধ্যে ও পরে অভিভাবিকাদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা তৃতীয় ও চতুর্থশ্রেণীর ছাত্রছাত্রাদের মধ্যে ও পরে অভিভাবিকাদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রতিযোগিতার পূর্বে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রারা সমবেতভাবে ‘প্রভাত সঙ্গীত’ পরিবেশন করে৷ এরপরে প্রতিযোগিতা শুরু হয়৷ ৩৬জন প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়স্থান অধিকার করে যথাক্রমে সোহন মোদক, অর্পিতা পাত্র ও সমীর মল্লিক৷ অভিভাবিকাদের মধ্যে সেরা তিনজনকে বেছে নেওয়া হয়৷ তাঁরা হলেন-শ্যামলী হাজরা (গিরি), গৌরী সিং ও শিবানী মাহাতো৷ বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কল্পনা গিরি, শিপ্রা সাউ, সোমা বেহারা ও ইলা পাত্র৷ বিজয়ী প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আচার্য নিত্যতীর্থানন্দ অবধূত , অবধূতিকা আনন্দশতদীপা আচার্যা৷ প্রভা রায় ও শ্রীরঞ্জিত ঘোষ মহাশয়৷ সকল শিক্ষকদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সর্বাঙ্গ সুন্দর হয়ে ওঠে৷ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য ১৯৭৮ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী সকল মানুষের (বিশেষতঃ মহিলাদের) শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য এই যৌগিক নৃত্যের উদ্ভাবন করেছিলেন৷ বর্তমানে অনেকেই এই কৌশিকী নৃত্য অনুশীলন করে চলেছেন৷
RAWA মেদিনীপুর শাখা পরিচালিত প্রভাত সঙ্গীতের ৩৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রভাত সঙ্গীত, প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য ও অংকনের প্রারম্ভিক প্রতিযোগিতা গত ৯ই সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর শহরে শুরু হয়েছিল৷ দুইশতাধিক প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল৷ সকল প্রতিযোগীকেই অংশগ্রহণের জন্য সংশাপত্র দেওয়া হয়৷ এছাড়া প্রথম তিনজন স্থানাধিকারীকে সংশাপত্র সহ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় যাদের মধ্যে প্রথম দুজন প্রতি বিভাগ থেকে কলিকাতায় অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে ২৩ শে সেপ্টেম্বর৷ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য এই ৫০১৮টি প্রভাত সঙ্গীত রচনা করেছেন ও সুরারোপ করেছেন শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার যা সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে৷