মুর্শিদাবাদ  জেলার নবীপুর মহিলা পরিচালিত আনন্দমার্গ সুকলে একটি মনোজ্ঞ আলোচনা সভা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ৫ই নভেম্বর ২০১৭, রবিবার বিকেল ৩ টে থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত নবীপুর আনন্দমার্গ সুকলের  অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দ তপারতি আচার্যার উদ্যোগে বিদ্যালয়ের   হলঘরে দেড়শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে  একটি মনোজ্ঞ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷ উক্ত আলোচনা সভায়  মহান দার্শনিক ও শিক্ষাগুরু শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে  মাল্যদান করে  অতিথিবৃন্দ মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন৷

অনুষ্ঠানের সভাপতির আসন গ্রহণ করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্রী নরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস মহাশয়৷ প্রধান অতিথি আনন্দমার্গের প্রবীণ সন্ন্যাসী কেন্দ্রীয় কমিটির প্রবীণ সদস্য আচার্য্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত  ‘‘অধ্যাত্ম বিজ্ঞান ও নব্যমানবতাবাদ ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা’’ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন৷

বিশেষ অতিথির  আসন গ্রহণ করেন আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বার্লিন সেক্টারের সেক্টোরিয়াল সেক্রেটারি আচার্য ধ্যানেশানন্দ অবধূত৷ তিনি ‘‘বৈয়ষ্টিক ও সামূহিক জীবন সর্বাত্মক উন্নতির ক্ষেত্রে যোগবিজ্ঞানের ভূমিকা’’ বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন, মানুষের শরীরে  নার্ভকে সতেজ রাখতে হলে হরমোনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ নিয়মিত যোগাভ্যাসের ফলে  মানুষের শারীরিক, মানসিক  ও আত্মিক উন্নতি ঘটে৷ এগুলি সবই ধর্মসাধনার অঙ্গীভূত৷ এই সঙ্গে স্বাত্তিক আহার, পরিমিত জলপান,নিয়মিত উপবাস, সৎসঙ্গ, স্বাধ্যায় এগুলি  জীবনের একান্ত প্রয়োজনীয়৷

বিশেষ অতিথির আসন গ্রহণ করেন  রেঁণেশা আর্টিষ্ট এ্যান্ড রাইটার্স এ্যসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য রবীশানন্দ অবধূত৷ তিনি ‘‘বর্তমান ক্ষয়িষ্ণু সমাজ ও উত্তরণের উপায় ’’ প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন---মানুষকে ধর্মের পথে অগ্রসর হতে হবে৷ ধর্ম সাধনা মানুষের জন্য  আর সঙ্গে সঙ্গে জগতের সার্বিক কল্যাণের কাজেও  তাকে অগ্রসর হতে হবে৷ সারা বিশ্বজুড়ে আজ  অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান- সঠিক চিকিৎসা- প্রকৃত শিক্ষার প্রকৃতই অভাব৷  তাই মানুষকে ধর্মসাধনার পথে নিয়ে এসে জগৎকল্যাণে নিয়োজিত করাতে হবে৷

 নির্বাচিত প্রভাত সঙ্গীতের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন অবধূতিকা আনন্দ কীর্তিলেখা আচার্যা৷ সভাপতির ভাষণের পর বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা অবধূতিকা আনন্দ তপারতি আচার্যা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন৷   এরপর অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষিত হয়৷ সমবেত দর্শকরা অনুষ্ঠানটির ভূয়সী প্রশংসা করেন৷ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শ্রী গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য৷