গত বুধবার বাঙলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত ১৭ রানে জিতেছে৷ গ্রুপের সেরা হিসেবে ফাইনালে গেল ভারত৷ কাগজে কলমে ফেভারিট হলেও টি-টোয়েণ্টিতে যে কোনও দলই ম্যাচ জিতে নিতে পারে৷ বাঙলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল ২১৪ রান তাড়া করে৷ সুতরাং ভারতের ২০ ওবারে ১৭৬ রানের গণ্ডী অতিক্রম করা খুব দুসাধ্য ব্যাপার বাঙলাদেশের কাছে ছিল না৷ অথচ ভারত জিতল ও শেষ রক্ষা করতে পারল না বাঙলাদেশ৷ বাঙলাদেশের অধিনায়ক মামুদুল্লাহ ভাল ব্যাটসম্যান৷ শ্রীলঙ্কার বিরুদেধ তাঁর ব্যাটিংকে পাথেয় করেই শেষ হাসি হাসে বাঙলাদেশ৷ ভারতের বিরুদ্ধেও তিনি সাবলীলভাবে ব্যাট করছিলেন৷ কিন্তু প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট খুইয়ে বিপাকে পড়ে তাঁর দল৷ নবম ওভারে বাঙলাদেশ চার উইকেট হারিয়ে ৬১ রান করেছিল৷ সেখান থেকে পনেরতম ওভারের শেষে রান সংখ্যা ১১৬ রান৷ হাতে তখনও ছয়টি উইকেট৷ কিন্তু ভারতীয় বোলিং ব্রিগেড আর সুযোগ দেয়নি বাঙলাদেশী ব্যাটসম্যানদের৷ ১৯-তম ওভারে মুশাফিকুর আর মিরাজকে আটকে দেন শার্দুল ঠাকুর৷ ওই ওভারে মাত্র ৪ রান বোর্ডে যোগ হয়৷ শেষ পর্যন্ত ভারতের জয় নিশ্চিত হয়৷ তবে ৫৫ রান করে মুশাফিকুর ৭২ রান করে অপরাজিত থেকে যান৷
এই সফরে ভারতের পাওনা রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতের তরুণ খেলোয়াড়দের সাফল্য৷ টীম ইণ্ডিয়ার ওয়াশিংটন সুন্দর, আর বিজয় শঙ্কর খুব ভাল বল করছেন৷ সুন্দর বেশী বল ঘোরান না, কিন্তু ঠিক জায়গায় বল রাখতে পারেন৷ টি-তে যেটা দরকার সেটা করতে দারুণ পারদর্শী তিনি৷ সব সময় বল রাখেন উইকট-টু-উইকেট৷ আর বিজয় শঙ্করের মিডিয়াম পেস আগামী বিশ্বকাপে কাজে লাগতে পারে৷ অন্যদিকে মনীশ পাণ্ডে আর সুরেশ রায়না দারুণ ব্যাট করছেন এই সিরিজে৷ রায়নার একটা বড় গুণ হ’ল স্কোর বোর্ডকে সব সময় সচল রেখে ব্যাট করেন৷ ডট বল খেলবেনই না৷ নূ্যনতম একটি রান প্রতি বলে তাঁর চাই-ই৷ এই মানসিকতা নিয়ে ব্যাট করে তিনি মিডল অর্ডারে ভারতের ভরসা হিসেবে বিবেচিত৷
যাইহোক অনেক তারকা খেলোয়াড় না নিয়ে এসেও যে ভারত ভাল পারফরম্যান্স করছে তা যথেষ্ট প্রশংসার৷ এই সিরিজের ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কা অথবা বাঙলাদেশ যেই আসুক না কেন---জিতে ফেরা সহজ হবে না, কারণ দ্বিতীয় সারির দল পাঠালেও ভারত কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী৷