লোকসভা নির্বাচন আসন্ন৷ তাই দেশের কর্ষককুলের মন পেতে উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ গত ৪ঠা জুলাই ধানচাষীদের উৎপাদিত ধানের নূ্যনতম সহায়ক মূল্য ২০০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র৷ আর তাড়াহুড়ো করে তারপরের দিনই নূ্যনতম সহায়ক মূল্যে উৎপাদিত চাষীদের ফসল বিক্রি করার বিষয়টি আইনি অধিকারে পরিণত করার সুপারিশ করেছে ‘কমিশন ফর এগ্রিকালচার্যাল কষ্টস্ এ্যাণ্ড প্রাইসেস’ (সি এ সি পি)৷ বিভিন্ন শস্যের নূ্যনতম সহায়ক মূল্য নির্র্ধরণ করে এই কেন্দ্রীয় কমিটি৷
কমিটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গ্রামাঞ্চলে কর্ষকগণ নিয়ন্ত্রিত পাইকারী বাজারের সুবিধা পান না৷ তাই স্থানীয় হাটগুলিতে চাষীরা তাদের উৎপাদিত ফসল সরকার ঘোষিত দামের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়৷
তাই নূ্যনতম সহায়ক মূল্যে ফসল বিক্রিকে আইনি অধিকারে পরিণত করলে চাষীদের সুবিধা হবে বলে সি.এ.সি.পি মনে করে৷ সাধারণ ধানের নূ্যনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল পিছু ২০০ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫০ টাকা ও গ্রেড্ ‘এ’ প্রকারের ধানের দাম ১৬০ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫০ টাকা করা হয়েছে৷
ধানের নূ্যনতম মূল্য বাড়ানোর ফলে সরকারের খাদ্য ও ভর্তুকি বিল বাবদ খরচ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা বাড়বে বলে কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন৷
ধানের মতো তুলো ও ডালের সহায়ক মূল্যও কেন্দ্রীয় সরকার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
এখানে উল্লেখ্য, গত বছর সুপ্রিমকোর্টে এক মামলার সূত্রে কেন্দ্রীয় সরকার কোর্টে রিপোর্ট দাখিল করেছে যে, বছরে ভারতে ১২ হাজার কর্ষক আত্মহত্যা করে৷ তার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কর্ষককুলের ক্ষোভ প্রশমন করতেই যে এইভাবে নির্বাচনের পূর্বে ধানের সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করা হ’ল তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷
অপরপক্ষে মোদী সরকারের ৪ বছরের ব্যর্থতা ও পশ্চিম বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা বলে মোদীকে আর নির্বাচিত না করার আবেদন রাখছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷