প্রথম ম্যাচে সালাহর খেলতে পারা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও জনপ্রিয়তার শিখরে সালাহ

সংবাদদাতা
ক্রীড়াপ্রতিনিধি
সময়

চ্যাম্পিয়ন্স লীগের পরে বিশ্বকাপে খেলা  প্রায় অনিশ্চিত হয়ে যায় মহম্মদ সালাহর৷ চ্যাম্পিয়্যানস লিগের ফাইনালে হাই প্রোফাইল ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে কাঁধে চোট পান লিভারপুলের মহম্মদ সালাহ৷ মাঠ থেকে বেরিয়ে যাবার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি৷ দর্শকদের মধ্যেও অনেকের চোখে জল আসে৷ আসলে সালাহর মত কুশলী মিডফিল্ডার একটা দলকে দারুণভাবে উজ্জীবিত করতে পারে৷ সেই কারণে মিশর যখব ১৯৯০ সালের পর বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল তখন ফুটবল অনুরাগীরা অবশ্যই মিশরের সবচেয়ে দক্ষ খেলোয়াড়টির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন৷ যোগ্য খেলোয়াড় হিসেবেই লিভারপুলে প্রথম এগারোয় জায়গা করে নিয়েছেন৷ তাই তাঁকে ঘিরে স্বপ্ণ দেখাটা স্বাভাবিক৷

মহম্মদ সালাহ নিজেকে পুরোপুরি ফিট করার জন্যে প্রাণপন চেষ্টা করছেন---হালকা অনুশীলন করতেও দেখা গেছে তাকে৷ যদিও কোচ লেহিতা বলছেন, যে ধীরে ধীরে সালাহ সুস্থ হয়ে মাঠে নামার উপযোগী হয়ে উঠছেন৷ কিন্তু বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা আছে৷ বোঝা যাচ্ছে যে সালাহর প্রথম ম্যাচে খেলা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা৷

বিশ্বকাপে নিজের দেশের হয়ে মাঠে নামার স্বপ্ণে বিভোর সালাহ এবার মেসি -রোনাল্ডোকে ছাপিয়ে যেতে পারে---অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞ এই ধারণা পোষণ করেন৷ আর তাঁর সমর্থকরা সেই আশাতেই মাঠে আসবেন৷ অনেকেই রাশিয়াতে সফল সালাহর সঙ্গে সেলফি তোলার জন্যে উদগ্রীব৷ আসলে ফুটবল বডি কণ্টাক্ট গেম হলেও এতটাই আবেগের যে একজন দক্ষ খেলোয়াড়, তিনি যে দেশেরই হোন না কেন তাঁর জনপ্রিয়তাসারা বিশ্বের কোনে পৌঁছে যায় নিমেষে৷ ফুটবলের সফলতা এখানেই যে পেলে, মারাদোনা, রোনাল্ডো, মেসিরা অনেকের কাছেই ‘ঘরের ছেলে’ হয়ে যান৷ এখানেই ফুটবলের সফলতা---ফুটবলের মাধ্যমে এমন সম্পর্ক গড়ে উঠলে ফুটবল বেঁচে থাকুক মানুষের শিরায় শিরায়৷