প্রয়াত অনিলবরণ দাসের স্মরণসভা

লেখক
নিজস্ব সংবাদদাতা

গত ২রা মে২০১৭, আমরা বাঙালীর কোলকাতা জেলা কমিটি ও গুণগ্রাহীদের যৌথ  উদ্যোগে প্রয়াত অনিল বরণ দাশের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হল কোলকাতার হাজরা মোড় এর নিকটে শ্রী এস.পি.সিং এর বাস গৃহের সম্মুখে উন্মুক্ত স্থানে৷

এই স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন আমরা বাঙালীর বরিষ্ট ও একনিষ্ঠ কর্মী শ্রী গোরাপদ দে মহাশয়৷

সভার শুরুতেই  উপস্থিত সকলে অনিলবরণ দাশের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন৷

এরপর একে একে প্রত্যেকে তাঁর ভাষণরত প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন৷

এরপর প্রয়াত দাশের সান্নিধ্যে  ও তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবনের সাথী হয়ে তাঁকে কে কিভাবে পেয়েছেন, তার  উপর বক্তব্য রাখেন৷ বক্তব্য রাখেন কালিপদ দেবনাথ, সুনীল চক্রবর্ত্তী, দলেন্দ্রনাথ রায়, দিব্যেন্দু চৌধুরী, বিভূতি দত্ত, খুশীরঞ্জন মন্ডল, উৎপলকুন্ডু, অরূপ মজুমদার, বিকাশ বিশ্বাস, উজ্জ্বল ঘোষ, জয়ন্ত দাস ও এস.পি. সিং প্রমুখ৷

বক্তারা বলেন, প্রয়াত অনিলবরণ দাশ ছিলেন প্রকৃত বিপ্লবী৷ বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসার পর তিনি স্বদেশী আন্দোলনের প্রতি আকৃষ্ট হন৷ তাঁর মধ্যে আদর্শের প্রতি  টান ছিল প্রগাঢ়৷ আধ্যাত্মিকতাই ছিল জীবনের ভিত্তি৷ তিনি আমাদের পাশে থেকে শিখিয়ে গেছেন আন্দোলন করে কীভাবে দাবী আদায় করতে হয়৷ দার্শনিক শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকারের প্রাউট দর্শনের প্রতিষ্টার জন্যে তাঁর আজীবন নিরলস প্রচেষ্টা আমাদের এগিয়ে যেতে উদ্ধুদ্ধ করেছে৷

তাঁর জ্বালাময়ীও যুক্তিগ্রাহ্য বক্তব্যে কংগ্রেস ও বামপন্থী নেতাদের হৃৎ-কম্প শুরু হয়ে যেত৷ এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির অনেকেও তাঁর বক্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করতেন৷

প্রয়াত অনিল বরণ দাশ ভয় কাকে বলে জানতেন না৷ অসীম সাহস ছিল তাঁর মনে৷ বাঙালীস্থানের বহুজায়গায় এমনকি গ্রামে গিয়ে ও তিনি আমরা বাঙালী সংঘটনের প্রচার ও প্রসার ঘটিয়েছেন৷ তাই এই সংঘটনের এমন কোনও কর্মী নেই যিনি প্রয়াত দাশের নাম শোনেননি৷ তিনি মাউথ পিস হাতে পেলে ঘন্টার পর ঘন্টা বক্তব্য রেখে যেতেন৷

তাঁর স্মরণ সভা শেষে জনসভায় পরিণত হয়৷ এই স্মরণ সভার বক্তাদের বক্তব্যের মধ্যেই  ফুটে উঠেছিল বর্তমানের নোংরা ও ভিত্তিহীন রাজনৈতিক দলগুলির কার্যকলাপের চিত্র৷

বক্তারা বলেন, রাম ও বজরংবলীর দোহাই দিয়ে হিন্দুধর্মের পক্ষে সস্তা সেন্টিমেন্ট সৃষ্টি করে কোনও একটি রাজনৈতিক দল এদেশে একটা জাতিদাঙ্গা বাধাবার চেষ্টা করছে৷

প্রকৃত ধর্মের মূল কথা, মানুষ মানুষ ভাই ভাই, মানুষকে ঘৃণা করা পাপ৷