রক্ত ঝরা বন্ধ হোক, গণতন্ত্রে শাসকগণ আর্থিক উন্নয়নে মন দিন

সংবাদদাতা
প্রবীর সরকার
সময়

আইনের রক্ষক ও ধারক মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট এর রায় মেনেই যে ৩৪ শতাংশ আসনে পঞ্চায়েতের বোর্ড ঘটনের আয়োজন হয় সেখানকার অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে বিক্ষোভ মারামারি ও হত্যাকান্ড ঘটে, গোলাগুলি চলায় সেটা মর্মান্তিক ও গণতন্ত্রের কলঙ্ক ছাড়া কিছুই নয়৷ এমন মর্মান্তিক ঘটনা ভারতের অন্য কোন রাজ্যে হয়েছে বলে অন্ততঃ স্মরণে আসছে না৷ কিন্তু দেখা গেল সেই একই অভিযোগ রাজনৈতিক দলগুলির তা সরকার পক্ষ বিরোধীদের আর বিরোধী পক্ষ সরকার পক্ষের উপর দোষারোপ করছে৷

ইতিবৃত্তের প্রেক্ষিতে কিন্তু আমরা সেই প্রথম থেকে দেখে আসছি সেই ১৯৪৭ সালের আগে  থেকে রাজনীতির কারবারিরা নিছক নিজেদের সংকীর্ণ স্বার্থ সিদ্ধি র জন্য রক্তঝরা বিভৎস্য কান্ড করে আসছে যাতে হতদরিদ্র জনগণের প্রাণ ও তাদের ছেলেমেয়েরাই মারা পড়ছে৷ লক্ষ লক্ষ মানুষ মরেছে সেই বিদেশী ইংরেজ সরকার ও এদেশের স্বার্র্থন্ধ নেতা যারা দেশভাগ করে নেতার আসনে বসতে মরিয়া ছিল৷ ঠিক আজও দেখা গেল সেই সব নেতা ও নেত্রীদের উস্কানীতেই পঞ্চায়েত বোর্ড ঘটনকালে বিজয়ী প্রার্থী থেকে আরম্ভ করে ঐ সব অঞ্চলের সমর্থকগণ অকালে প্রাণ হারালো গুলিবিদ্ধ হয়ে না হয় ছোড়া ও লাঠির আঘাতে৷ এমন কি এমনও দেখা গেল পুরুলিয়ার মাটিতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে  প্রার্থী সদলবলে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের ছত্রছায়ায় এসে হাজির হলো৷

আবার এমনও ঘটনা ঘটলো এক সময়ে যারা কংগ্রেসে ছিল তারা তৃণমূলে সপরিবারে এলো কিন্তু সেই পরিবারের তৃণমূল নেতা অকালে প্রাণ হারালে সেই জঘন্য দলীয় রেসারেসির কারণে৷

এটা কেমন ধরনের রাজনীতি? এটা কেমন ধরণের গণতন্ত্রের বাতাবরণে হিংসা হিংসী কান্ড? পঞ্চায়েতে তো প্রতিবেশী হিসাবে সবাই একই স্থানে বাস করে থাকে৷ মতামত আলাদা হতেই পারে এটাতো গণতন্ত্র৷ গণতন্ত্রতার জন্য হত্যা করে বিরোধী বলে জীবন কেড়ে নিয়ে পরিবারকে পথের কমেছে৷ কিন্তু কেন্দ্র এর কর্মচারীও অন্যান্যরা বেসিক  ৭ শতাংশ ডি.এ ২ শতাশ করে পাবে৷ আর রাজ্যের আর্থিক সংকট সেখানে কর্মচারীরা বঞ্চিত হবেন৷ কেমন কেন্দ্র সরকার?

আমরা আমাদের সেই ১৯৪৭ সাল থেকেই দেখে আসছি তা হলো যে রাজনৈতিক দলগুলো দখল করেই চলেছে৷ তারা সব রাজার হালে আছে৷ তাদের সম্পত্তির বৃদ্ধি কারোর কারোর আকাশ ছোঁয়া৷