রসগোল্লা কার? এনিয়ে দীর্ঘদিন লড়াই চলছিল৷ দীর্ঘ লড়াই-এর পর ওড়িশাকে হারিয়ে পশ্চিমবঙ্গ জয় আদায় করে নিল৷ রসগোল্লার জি.আই. রেজিষ্ট্রেশন পেল পশ্চিমবঙ্গ৷ জিই.আই.মানে হ’ল জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন৷
৫টি জিনিস পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব-এই দাবী ছিল৷ এই পাঁচটি জিনিস হ’ল সীতাভোগ, মিহিদানা, তুলাইপঞ্জি, গোবিন্দভোগ চাল আর রসগোল্লা৷ প্রথম চারটি নিয়ে কেউ আপত্তি করেনি৷ কিন্তু রসগোল্লার ক্ষেত্রে দাবী উঠেছিল ওড়িশার পক্ষ থেকে৷ জগন্নাথের রথযাত্রা উৎসবে প্রচলিত প্রথাতে মাসির বাড়ী থেকে ফেরার পর মন্দিরের রত্নভান্ডারের নিকটে লক্ষীনারায়ণের পুষ্পাঞ্জলির জগন্নাথদেব অভিমানী স্ত্রীকে রসগোল্লা-ভোগ দেন৷ কিন্তু এই রসগোল্লা যে বাঙলা থেকে আনিয়ে ভোগ দেওয়া হত না, তার কোনো প্রমাণ নেই!
ইতিহাস বলে, ১৮৬৮ সালে বাগবাজারের নবীন ময়রা এই রসগোল্লার উদ্ভাবন করেছিলেন৷ তাঁরই উত্তরাধিকারী হল কলকাতার কে .সি.দাশ-এর মিষ্টির দোকানের মালিক৷
যাই হোক, জি.আই কর্তৃপক্ষের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবেদনই মঞ্জুর হয়৷ এখন বাঙলার দাবী মান্যতা পেল---রসগোল্লা বাঙলারই৷