স্কুল কলেজগুলি হ’ল মানুষ গড়ার কারখানা৷ এই স্কুল কলেজে শিক্ষিত হয়ে ওঠা মানুষেরাই সমাজের ধারক-বাহক হয়ে ওঠে৷ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি হ’ল এসবের নিয়ামক৷ তাদের মধ্যে আবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান শীর্ষে৷ এই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হোষ্টেলে একের পর এক বীভৎস র্যাগিং-এর অভিযোগ সবাইকে বিস্মিত করেছে৷
গত মাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ ল কলেজ হোষ্টেলে র্যাগিং-এর অভিযোগ তুলেছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ৷ তাঁদের অভিযোগ কয়েকমাস ধরে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা নীচু ক্লাশের পড়ুয়াদের ওপর নানান্ভাবে শারীরিক, মানসিক নির্র্যতন করে চলেছে ৷ বহুবার অনেক অনুরোধ ও কাকুতি মিনতি করেও র্যাগিও বন্ধ হয় নি৷ তখন তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন৷ এই অভিযোগ তদন্তের জন্যে কমিটিও তৈরী হয়েছে৷ এখনও তার ফয়সলা হয় নি৷
এই র্যাগিংয়ের অভিযোগের নিষ্পত্তি হতে না হতেই আবার নতুন র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল৷ অভিযোগকারী আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া৷ তার ওপর র্যাগিংয়ের নামে পাশবিক অত্যাচার চলেছে৷ অভিযোগকারীর মাথা,মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তারপর হোষ্টেলে বেঁধে রাখা হয়েছে৷ অভিযোগকারী কোনপ্রকারে পালিয়ে বেঁচেছেন৷ তারপর তিনি ইউ.জি.সি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন)-এ অভিযোগ করেছেন৷ তখন ইউ.জি.সি. বিশ্ববিদ্যালয়কে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে কড়া চিঠি লিখেছেন৷ অভিযোগকারী বলছে, সে নিরুপায় হয়েই ইউ.জি.সি-তে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছে৷ খবর পাওয়া যাচ্ছে তৃণমূলের দুইগোষ্ঠী একে অপরের ওপর র্যাগিং চালাচ্ছে৷ এ নিয়ে বাদানুবাদ চলছে৷ আগে তো ছাত্র ফেডারেশন ও ছাত্র পরিষদের মধ্যে নানানভাবে লড়াই চলত৷ এখন ছাত্র ফেডারেশন পিছু হটার পর তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে৷ দলীয় রাজনীতির কী ভয়ঙ্কর পরিণতি!