ভারতীয় সমাজব্যবস্থায় স্নেহ-প্রেম-দয়া-ভক্তি প্রভৃতি সৎ গুণাবলী একসময় ছিল মানুষের সহজাত৷ আর এই সহজাত সুবৃত্তিসমূহের ফলে মানবিক মূল্যবোধও ছিল অপরিসীম৷ সে সময় কত জ্ঞানীগুণী মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে, যারা নিজ নিজ ভাবনাচিন্তায় কর্মসাধনায় দেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবের শিখরে নিয়ে গেছেন৷ কেবলমাত্র বাঙলাতেই জন্ম নিয়েছিল শত শত মনীষী, যাঁরা সাহিত্যে-কাব্যে-সঙ্গীতে-বিজ্ঞান সাধনায় ও ধর্ম তথা আধ্যাত্মিক চর্চায় বিশেষ অবদান রেখে গেছেন৷ যেহেতু দেশ তখন ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের পদানত সেই কারণে দেশকে মুক্ত করতে স্বাধীনতার বেদীমূলে আত্মনিবেদন করেছিলেন শত শত বিপ্লবী৷ যাঁদের মূল প্রেরণা ছিল ‘গীতা’---যাঁরা বলীয়ান ছিলেন আধ্যাত্মিক ও নৈতিক বলে৷ এই সব বিপ্লবীরা, মনীষীরা কেবল বাঙলাতেই নয়, ভারতবর্ষকে বিশ্বের দরবারে এক বিশেষ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন৷ সমাজ এগিয়ে চলেছে, ভারতের যে প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থা তা ছেড়ে মানুষ আধুনিক ব্যবস্থা তথা পাশ্চাত্ত্য ব্যবস্থাকে গ্রহণ করেছে৷ একটা সময় ছিল নারীদের শিক্ষার আলো থেকে দূরে রাখা হত৷ সর্বাংশে না হলেও অনেকাংশে নারীরা এখন শিক্ষার আলোয় এসেছেন৷ পুরুষদের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিচ্ছে নারীরাও৷ শিক্ষার স্পর্শ পেয়ে অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা শুধু যে স্বনির্ভর তাই নয়, সমাজের অনেক ক্ষেত্রেই তারা সুপ্রতিষ্ঠিত৷ শিক্ষায় আধুনিকতার স্পর্শ, পাশ্চাত্ত্য শিক্ষা ভারতকে অনেক এগিয়ে নিয়ে চলেছে৷ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ভারতের প্রভূত উন্নতি ঘটেছে৷ বিজ্ঞানের কল্যাণে শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, শিল্প, পরিবহন, প্রতিরক্ষা সর্বক্ষেত্রেই এসেছে গতি৷ মহাকাশ গবেষণায়, মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রেও ভারতের স্থান বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির মধ্যেই৷
আধুনিক শিক্ষা, বিজ্ঞানের স্পর্শ, পাশ্চাত্ত্য প্রভাব ভারতকে দিয়েছে অনেক কিছু, আবার সেই সঙ্গে কেড়ে নিয়েছেও অনেক কিছু৷ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মধ্যে যে সব গুণাবলী, যে সুবৃত্তি সমূহ অর্থাৎ স্নেহ-প্রেম-দয়া-ভক্তির আধিক্য ছিল, আজ তা বহুলাংশেই অন্তর্হিত৷ ভারতবাসীর যে প্রাণধর্ম, জীবনের যে মূল্যবোধ তা অনেকের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাবে না, তা সে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিতই হোক বা অল্প শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষই হোক৷ বরং শিক্ষার আলো যাদের মধ্যে সে ভাবে পৌঁছায়নি (ভারতবর্ষের অনেক মানুষ আছে যাদের কাছে শিক্ষার আলো এখনও দূর অস্ত) তাদের মধ্যে জীবনের মূল্যবোধ যা আছে, আধুনিকতার স্পর্শে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ জনের মধ্যে তা দুর্লভ৷ জীবনের মূল্যবোধ, সুপ্রবৃত্তি এসব আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত কিছু মানুষের কাছে অতীতের গল্প গাথা বা ব্যাকডেটেড৷ আসলে মানুষ ডিগ্রিধারী শিক্ষিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু শিক্ষার সঙ্গে কৃষ্টি-সংসৃকতির সমন্বয় সাধন করেনি অর্থাৎ কালচার গড়ে ওঠেনি৷
সমাজে আজ নেমে এসেছে চরম অবক্ষয়৷ ক্রুরতা, কপটতা, নীচতা আজ যেন মানুষের মজ্জাগত৷ উপযুক্ত নীতিশিক্ষার অভাব আজ সর্বত্র৷ মানুষের মধ্যে আজ এই স্নেহ-প্রেম-দয়া-মায়া নেই বললেই চলে৷ মানুষ আজ মানুষকে খুন করতে দ্বিধাবোধ করে না৷ ক্রোধ, হিংসা, কামনা একশ্রেণীর মানুষের মধ্যে এতই প্রবল যে সামান্য কারণে, সামান্য মত বিরোধে অপরের প্রাণ কেড়ে নিতে মানুষের হাত কাঁপে না৷ অর্থসম্পদের লোভে নিজের নিকট আত্মীয় বাবা, মা, ভাইকেও খুন করার ঘটনাও হামেশাই ঘটছে বর্তমান সমাজে৷ এছাড়া রাজনৈতিক হিংসা দলাদলীর ক্ষেত্রে তো কথাই নেই৷ কত প্রাণ যে অকালে ঝরে পড়ছে তার ইয়ত্তা নেই৷
একসময় ভারতীয় সমাজে নারী জাতি ছিল বিশেষ মর্যাদায়৷ যারা মাতা-ভগ্ণীরই জাতি---সেই নারীরা আজ মনুষ্যরূপধারী একশ্রেণীর পশুর কামনার স্বীকার৷ শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ ও তৎপরে খুন আজ যেন তাদের কাছে অতি সহজলব্ধ৷ এক্ষেত্রে শিশু থেকে বৃদ্ধা সকলেই মনুষ্যধারী পশুদের কামনার শিকার৷ আবার যৌন ক্ষুধার তাড়নায় তাড়িত পুরুষেরা যে কোনও বয়সেরই হতে পারে কিশোর থেকে পৌঢ় পর্যন্ত৷
যে দেশ শত শত আধ্যাত্মিক সাধক, যোগী, মহাপুরুষের সাধনক্ষেত্র, যে দেশ শত শত মনীষীর মনীষার সিদ্ধ ভূমি, যে দেশ বিপ্লবীদের, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দেশপ্রেমের বন্যায় প্লাবিত, সংগ্রামে, ত্যাগের মহিমায় অত্যুজ্জ্বল, সেই দেশের এমন অবস্থাটা অত্যন্ত লজ্জার, দুঃখের ও অগৌরবের৷
স্বাধীনতা প্রাপ্তির আগে পর্যন্ত ভারতীয় সমাজের অবস্থা ছিল অন্যরকম৷ তখন সদ্গুণাবলীর যথেষ্ট প্রাবল্য ছিল---ছিল জীবনবোধ মানবিক মূল্যবোধ৷ স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর প্রথম কয়েকটা বছর ছিল ভালই৷ দিন যতই এগিয়েছে ততই ঘটেছে অবস্থার অবনতি৷ দেশভাগ জনিত উদ্বাস্তু সমস্যা, যা মূলতঃ পশ্চিমবঙ্গের বুকেই চেপে বসেছে, অবশ্যই অবক্ষয়ের যে একটি অন্যতম কারণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ ছিন্নমূল উদ্বাস্তুদের বিশৃঙ্খল জীবন-যাপন বাঙলার সমাজ জীবনকে কলুষিত করেছে৷ ব্যাপক পাশ্চাত্ত্য প্রভাবও যে সমাজ জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে সে কথাও অনস্বীকার্য৷ কিশোর, কিশোরী যুবক-যুবতীদের পোশাক-পরিচ্ছদে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে৷ অনেক ক্ষেত্রেই পোশাক কুরুচিপূর্ণ৷ আর এর জন্যে অভিভাবকরাও নিজেদের দায় এড়াতে পারেন না৷
সমাজের অবনমনের জন্যে দায়ী করা যেতে পারে রাজনীতিকদেরও৷ নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে রাজনৈতিক নেতারা, রাজনৈতিক দলগুলি এমন সব মানুষদের মদত দিয়ে থাকেন যারা সমাজের বুকে স্বচ্ছ নয়৷ এই সব অস্বচ্ছ ব্যষ্টিরা নানা অসামাজিক কাজে যুক্ত থেকেও রাজনৈতিক নেতাদের দৌলতে পার পেয়ে যায়৷ অসামাজিক বিভিন্ন কাজ সমাজের অবক্ষয় ডেকে আনছে৷
পুঁজিবাদী শাসন ব্যবস্থায় শাসক ও শোষক তাদের শোষণ যন্ত্রকে মজবুত করতে সমাজের সর্বক্ষেত্রে প্রভাব খাটিয়ে থাকে৷ কাব্য, সাহিত্য, সঙ্গীত, শিল্প সর্বক্ষেত্রকেই তারা নিজেদের মত করে পরিচালিত করে থাকে৷ সমাজের মেরুদণ্ড ছাত্র যুবদের ধবংসের পথে ঠেলে দিতে তাদের সামনে নানা প্রলোভন, কুহেলিকার জাল বিস্তার করে থাকে৷ পুঁজিবাদীদের অর্থে পুষ্ট কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীর দল সেই ধরণের চিন্তাভাবনা নিয়েই কাব্য-সাহিত্য-সঙ্গীত-শিল্প প্রভৃতি তুলে ধরে৷ যুব সমাজের চিন্তাধারা নিম্নমুখী থাকলে লাভবান হবে শোষকরা৷ কারণ প্রতিবাদী কণ্ঠ উঠে আসবে না৷
দূরদর্শন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যা অন্যতম অবদান, তার ভূমিকাও মোটেই সুবিধার নয়৷ দূরদর্শনের ব্যাপক প্রসারের ফলে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজটা সহজ হয়ে গেছে৷ আর তাতেই বাড়ছে বিপত্তি৷ বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি বিজ্ঞাপন চিত্রগুলিকে এমন ভাবে তৈরী করে যা সম্পূর্ণভাবে কুরুচিকর ও ন্যক্কারজনক৷ বিজ্ঞাপনের পোশাক-পরিচ্ছদ এমন ভাবেই থাকে যা আদিম যুগের কথাই মনে করিয়ে দেয়৷ দূরদর্শনের বিভিন্ন চ্যানেল অর্থ উপার্জনের তাগিদে সেগুলির প্রচার ঘটিয়ে চলেছে, যা একেবারে গৃহস্থের হেঁসেলে প্রবেশ করে ফুলের মত সুন্দর শিশুমনগুলিকে কলুষিত করে চলেছে৷ কারণ চলমান ছবির আকর্ষণ শিশুমনকে সহজেই নাড়া দেয়৷ সমাজের মান নিম্নগামী করতে পুঁজিবাদীদের, শোষক গোষ্ঠীর এ এক অতি সূক্ষ্ম কৌশল৷
এছাড়া বিনোদনের নামে দূরদর্শনের বিভিন্ন চ্যানেলে যে সমস্ত সিরিয়াল দেখানো হয় তা নিয়ে অনেক প্রশ্ণ থেকে যায়৷ অধিকাংশ সিরিয়ালের প্রতি ছত্রে হিংসা ও শঠতা, যা কোন শিশুর চরিত্রের মধ্যে দিয়েও ফুটিয়ে তোলা হয়ে থাকে৷ অভিনয় যে শিশু করছে ও যারা দেখছে তাদের সকলের মনেই কি এর প্রভাব পড়ছে না৷ শিশুমন যে সময় বিকশিত হওয়ার কথা সেই সময় এই ধরণের দয়া-মায়াহীন হিংসায় পরিপূর্ণ অভিনয় করা ও দেখা শিশুদের ভবিষ্যৎকে যে অন্ধকারের দিকেই ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে এ বিষয়ে বিচারবোধ সম্পন্ন সকল মানুষই বোধ করি একমত হবেন৷ এই একইভাব অন্যান্য চরিত্রও৷ বিবাহ একটি সামাজিক অনুষ্ঠান, জাগতিক নারী-পুরুষের সামাজিক বন্ধন৷ অধিকাংশ সিরিয়ালেই দেখানো হচ্ছে তা সহজেই ভেঙ্গে ফেলা যায় ও সেই সঙ্গে রয়েছে একাধিক বিবাহের পালা৷ এগুলিকে কী বিনোদন বা সামাজিক চিত্র বলা চলে? এসব কি সুরুচির পরিচয়? বিনোদনের নামে দূরদর্শনের পর্দায় এই ধরণের সিরিয়ালের প্রদর্শন কী অত্যন্ত সুকৌশলে সমাজজীবনকে কলুষিত করা হচ্ছে না৷
বর্তমানে দেশে বিশেষ করে এই বাঙলায় সৃষ্টি হয়েছে চরম সামাজিক অবক্ষয়৷ মানুষের মধ্যে যে হৃদয়হীনতা, হিংসা, শঠতা---মানুষ যে খুইয়ে বসেছে জীবনের মূল্যবোধ, মানবিক মূল্যবোধ, যার ফলস্বরূপ মানবতা আজ ভূলুণ্ঠিত৷ তার কয়েকটি কারণ যা এই নিবন্ধে আলোচিত হ’ল তার কোনটাই যে উড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে না, সে বিষয়ে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ একমত হবেন বলেই বিশ্বাস৷
এভাবে চলতে থাকলে সমাজ আরও অধঃপাতে যাবে৷ প্রশ্ণ হ’ল এই অবক্ষয় কি রোধ করা যাবে না? এর উত্তরে বলতে হয় শোষকের শোষণই শেষ কথা নয়, সমাজকে ধবংস করার পরিকল্পনা যতই সুদূরপ্রসারী হোক শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হতে বাধ্য৷
এমতাবস্থায় করণীয় কী? একদিকে যেমন অন্ধকার আছে, অপরদিকে তেমনই আলোও আছে৷ অবক্ষয় যতই হোক, নৈতিকতায় প্রতিষ্ঠিত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষও আছেন, আছে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন যুবগোষ্ঠীও---তাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে৷ বড় ধরণের ভূমিকা নিতে হবে শিক্ষক ও অভিভাবকদের৷ শিক্ষকদের নিরলস চেষ্টা চালাতে হবে ছাত্রদের নৈতিক মানোন্নয়নের৷ একই ভূমিকা থাকবে, পিতা-মাতা-অভিভাবকদেরও---সুসন্তান গড়ে তোলার লক্ষ্যে৷ তাদের নিজেদেরকেও অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে৷ পিতা-মাতা ও শিক্ষকবৃন্দই পারেন দেশের যথার্থ ভবিষ্যৎ সুনাগরিক গড়ে তুলতে৷ এছাড়া বিরামহীন আন্দোলন চালাতে হবে দূরদর্শন ও অন্যত্র অশ্লীল প্রচারের বিরুদ্ধে৷ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে অশ্লীল চিত্র, হিংসায়, শঠতায় পরিপূর্ণ অসামাজিক, অবান্তর সিরিয়ালের বিরুদ্ধে৷ আন্দোলন চালাতে হবে অশ্লীল সাহিত্য ও কুরুচিকর সঙ্গীতের বিরুদ্ধে৷ সু-সাহিত্য, সু-সঙ্গীত, সু-সংসৃকতির মাধ্যমে বিপথগামী যুবকদের ঠিকপথে, সোজা পথে ফিরিয়ে আনতে হবে---দৃঢ়তার সঙ্গে তাদের কাছে বলতে হবে---
‘‘আমি ঋজু পথে চলে’ চলি ভাই৷
আবোল-তাবোল নয়,
সোজা কথাটি বলে’ যেতে চাই---’’
---প্রভাত সঙ্গীত৷
আর বলতে হবে---
‘‘মনকে কোন ছোট কাজে নাবতে দেবো না৷’’
---প্রভাত সঙ্গীত৷
এককথায় গড়ে তুলতে হবে সাংস্কৃতিক বিপ্লব৷ সাংস্কৃৃতিক বিপ্লবের মাধ্যমেই সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব৷ এ ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে সু-সংস্কৃতি মনস্ক মানুষকে ও সু-সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংঘটনকে৷ যারা যুবকদের চেতনা জাগ্রত করতে সুস্থ মানসিকতা ও জীবনের মূল্যবোধ সামাজিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক বোধবুদ্ধির উদ্রেক ঘটাতে দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রভাত সঙ্গীতের কথা শোণাতে পারবে---
রক্তিম কিশলয়,
আমি রক্তিম কিশলয়,
সোজা পথে চলি আমি,
বাঁকা পথে কভু কভু নয়৷৷
আমার সুমুখে আছে শ্যামল শোভা,
আমার দু’পাশে আছে অরুণ আভা৷
উঁচু শিরে চলি আমি,
নীচু শিরে কভু কভু নয়৷৷
আমার বাহুতে আছে বজ্রের বল,
আমার আঁখিতে আছে দৃষ্টি বিমল৷
সোজা কথা ভাবি আমি৷
বাঁকা কথা কভু কভু নয়৷৷
- Log in to post comments