ভারতীয় ক্রিকেটে এই মহারথী কখনও সতীর্থ ছিলেন৷ একজন হলেন ভারতীয় প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ও অন্যজন ভারতীয় দলের প্রাক্তন উইকেট কিপার সাবা করিম৷ তাদের মধ্যেই জানা গেছে গত সোমবার বোর্ড মিটিং-এ যুক্তিতর্কের লড়াই বেধে যায় বিহারের রঞ্চি খেলাকে নিয়ে৷
সৌরভ ও সাবা দুইজনেই ক্রিকেট বোর্ডের দুইজন গুরুত্বপূর্ণ মেম্বার৷ সৌরভ হলেন টেকনিক্যাল কমিটির হেড ও সাবা হলেন জেনারেল ম্যানেজার৷
বিচারপতি লোঢা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিহারকে এবারের রঞ্চি ট্রফিতে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি৷ কিন্তু সেই প্রস্তাব মানতে রাজি নন সৌরভ৷ সাবা হলেন বিহার থেকে উঠে আসা উইকেট কিপার যিনি বাংলা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন, তাই সৌরভ ও কমিটির আরও সদস্য খারিজ বা নাকচ করে দিয়েছেন৷ কারণ বিহার রাজ্যকে খেলার সুযোগ দেওয়া হলে অন্য রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থা আবার আদালতে নিয়ে যেতে পারে৷বোর্ড এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়৷ সৌরভদের পাল্টা প্রস্তাব ছিল নির্দিষ্ট নীতি মেনে বিহারকে রঞ্চিতে ফেরার পথ দেখানো উচিত৷ তদের অনূর্দ্ধ ১৬,১৮ ও ২৩ পর্র্যয়ের ক্রিকেটে খেলার অনুমতি দেওয়া হোক৷ এই স্তরে ভাল ফল করলে তাদের রঞ্চি ট্রফিতে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করে কমিটি৷ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সি.ই.ও-এর উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ গত সোমবার প্রায় তিনঘন্টা বৈঠকের পর রঞ্চি ট্রফিতে প্রিকোয়ার্টার ফাইনাল খেলার রাউন্ড চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ সেরা ১৬টি দলকে নিয়ে এই রাউন্ড শুরু হতে পারে এই বছর থেকে৷ এছাড়া রঞ্চি ট্রফির আগে জাতীয় ওয়ানডে টুর্ণামেণ্ট বিজয় হজারে শেষ করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷