স্বপ্ণপূরণের লক্ষ্যে ভারতের সবথেকে দ্রুত সাঁতারু বীরধবল খাঁড়ে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

এ এক Kharenঅধরা স্বপ্ণ যা কিছু পারিবারিক চাপের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়ে অধরায়ই থেকে যেত৷ কিন্তু না মনের জোর ও চেষ্টা সব প্রতিকূলতাকেই জয় করে আবার প্রতিষ্ঠিত হবার সাহস জোগায়, তা প্রমাণ করে দিলেন ভারতের সবথেকে দ্রুত সাঁতারু বীরধবল৷ তিনি মাত্র ১৫ বছর বয়সে ক্রীড়াজগতে বিশাল খ্যাতি অর্জন করেছিলেন৷ ১৬ বছর বয়সে অলিপিক্সে সবচেয়ে অল্পবয়সি ভারতীয় সাঁতারু হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন৷ ২০১০ সালে এশিয়ান গেমসে পদক জয়ও করেছিলেন৷ এরপর মহারাষ্ট্র সরকার তাঁকে তেহসিলদারের একটি চাকরি দেয়৷ আর পারিবারিক পরিস্থিতির চাপে, নিজের মা-বাবার কথা ভেবে তিনি চাকরী ছেড়ে ক্রীড়াজগৎকে বেছে নিতে পারেন নি ৷ তাই গত ৬ বছর ধরে তিনি নিজের মনের আশা আকাঙ্ক্ষাকে বিসর্জন দিয়ে চাকরী করে গেছেন৷ কিন্তু এবার আর তিনি নিজেকে আটকে রাখতে পারলেন না৷ এশিয়ান গেমসে ৫০ মিটার বাটারফ্লাই-তে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন৷ কিন্তু তাতে তিনি তৃপ্ত হননি৷ তিনি চেয়েছিলেন সোনা জিততে৷ কিন্তু তার চাকরী জীবন তাঁর সেই স্বপ্ণপূরণের পথে বাধা সৃষ্টি করেগেছে গত ৬ বছর৷ তিনি বিশাল আপসোস করছেন এই সময়টার জন্য৷ কিন্তু না তিনি হেরে যেতে শেখেন৷ একসময়ে খিদে পেলে খাবার জন্যে তার ও পরিবারের কাছে কিছু খাবার না থাকলেও শুধু বিস্কুট খেয়েও তিনি দিন কাটিয়েছেন , তাই কঠিন পরিস্থিতির সাথে লড়ার ক্ষমতা তার আছে৷ আর এখন তার স্বপ্ণপূরণের জন্য তিনি দিনে ৬ঘন্টা সাঁতার ও ২ ঘন্টা করে জিম প্রতিদিন করছেন৷ এই দুই অস্ত্র নিয়েই এগিয়ে চলেছেন বীরধবল কমনওয়েলথের দিকে নিজের অধরা স্বপ্ণ পূরণের লক্ষ্যে৷